জুবায়ের, জবি প্রতিনিধি :
চট্টগ্রামে ইসকনের সমসাময়িক কার্যক্রমের প্রেক্ষিতে তাদেরকে জঙ্গি সংগঠন হিসেবে আ্যখা দিয়ে নিষিদ্ধের দাবিতে বিবৃতি দিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ইসলামি ছাত্র আন্দোলন শাখা। ইসকনের প্রধান নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভুর বিতর্কিত কর্মকাণ্ড ও ইসকনের উগ্রবাদী আচরণের সূত্র ধরেই এই দাবি জানানো হয়।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ইসলামি ছাত্র আন্দোলন জবি শাখার প্রচার সম্পাদক শাহিন আলম প্রেরিত এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়। ইসকনের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স প্রয়োগ করার কথাও বিবৃতিতে স্পষ্ট করা হয়।
ইসলামি ছাত্র আন্দোলন জবি শাখার সভাপতি মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহিদ বিবৃতিতে জানান, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বন্ধনের এই ভূমিতে ইসকন ক্রমান্বয়ে সন্ত্রাসী ভূমিকায় অবতীর্ণ হচ্ছে। অথচ এই দেশের মানুষ প্রতিটি সংকটে নাগরিক হিসেবে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অনুসারীদের পাশে দাঁড়াতে কুণ্ঠাবোধ করেনি কখনো। বিনিময়ে এরা অকৃতজ্ঞ ও দেশদ্রোহী আচরণ প্রদর্শন করা শুরু করেছে। এই সংগঠনকে বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে।
সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান আকাশ বলেন, বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মানুষ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার জন্য মন্দির পাহারা দিয়েছিল, বন্যায় মাথায় করে খাবার-ত্রাণ তাদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিয়েছিল। বিপরীতে তারা ভারতের প্রেসক্রিপশনে এই দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এমনকি দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রের মূলহোতা বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেফতার করায় আজকে তার মুক্তির দাবিতে আন্দোলন করার সময় হামলা চালিয়ে সাইফুল ইসলাম আলিফ নামে চট্টগ্রামের এক সরকারি আইনজীবীকে হত্যা করেছে।
নেতৃদ্বয় আরো বলেন যে, এমন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর এই দুঃসাহস তারা কোথায় পায় এটা খুঁজে বের করতে হবে। খুনিকে বিচারের আওতায় আনার পাশাপাশি উগ্রবাদী সংগঠনকে নিষিদ্ধ করতে হবে। তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য ধর্মীয় দাঙ্গার পরিকল্পনা তাদের সকল কর্মকাণ্ডকে নিষিদ্ধের মাধ্যমেই বানচাল করতে হবে।
উল্লেখ, ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের সমর্থকদের হামলার স্বীকার হয়ে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ প্রাণ হারান।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০