ইবি প্রতিনিধি :
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে র্যাগিংয়ের নামে নির্যাতনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করতে হাইকোর্ট কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসককে এ নির্দেশ দিয়েছেন।
একজন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও একজন প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তার সমন্বয়ে তদন্ত কমিটিকে ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। এছাড়াও অভিযুক্তদের ক্যাম্পাস ছাড়তে বলা হয়েছে, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
একজন আইনজীবীর করা রিটের শুনানি শেষে গত বৃহস্পতিবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
একইসঙ্গে এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের করা কমিটির প্রতিবেদনও দাখিল করতে বলা হয়েছে। আর নির্যাতনে জড়িত দুই শিক্ষার্থীকে ক্যাম্পাস ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি নির্যাতনের শিকার হওয়া শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে রাতভর নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণের ঘটনায় গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন গত বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের নজরে আনেন আইনজীবী গাজী মো. মহসীন ও আজগর হোসেন তুহিন। তখন তাদের লিখিত আবেদন দিতে বলেন আদালত। সে অনুসারে তারা রিট করেন।
গত রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাতে ইবির দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে এক নবীন ছাত্রী ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ফুলপরীকে রাতভর নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) হল প্রভোস্ট, প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ছাত্রী।
অভিযুক্ত শিক্ষার্থী শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা। তিনি পরিসংখ্যান বিভাগের স্নাতক শেষ বর্ষের ছাত্রী। এসময় তার সঙ্গে ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের তাবাসসুমসহ আরও কয়েকজন ছিলেন বলেও জানা যায়।