----
শিক্ষা ঐক্য সংস্কৃতি প্রগতি এই চারটি মূলনীতিকে ধারণ করে ইন্ডিজিনাস স্টুডেন্টস্ অ্যাসোসিয়েশন, বেরোবি গঠিত হয়। এটি একটি সামাজিক ও অরাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন।
"এসো বুনোফুলেরা, জ্ঞানের মশাল জ্বালিয়ে নিজ শেকড়কে আলোকিত করি " এই প্রতিপাদ্যকে কেন্দ্র করে ইন্ডিজিনাস স্টুডেন্টস্ অ্যাসোসিয়েশন, বেরোরি কৃর্তক নবীন বরণ, বিদায়ী সংবর্ধনা ও ২য় তম কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করছেন রিনা মুর্মু, উপদেষ্টা, ইন্ডিজিনাস স্টুডেন্টস্ অ্যাসোসিয়েশন, বেরোবি।উপস্থিত ছিলেন অত্র কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রিয়দর্শী চাকমা ও সহ-সভাপতি বাসিল তপন মুর্মু সহ বিদায়ীশিক্ষার্থীবৃন্দ ও নবীন শিক্ষার্থীবৃন্দ, কমিটির নেতৃবৃন্দ, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যয়নরত আদিবাসী শিক্ষার্থীবৃন্দ।
অনুষ্ঠানটি ইংরেজি বিভাগের ১৪ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী খ্যাইসা অং মারমা'র সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইন্ডিজিনাস স্টুডেন্টস্ অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক দপ্তর সম্পাদক মাচাং ফনে বিকাশ ত্রিপুরা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি রিনা মুর্মু বলেন, তিনি বলেছেন যে সংগঠনকে এগিয়ে নিতে আদিবাসী শিক্ষার্থীদের সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে এবং সুসংগঠিত হতে হবে। ঐক্য, সাম্য, সংহতি এবং ভ্রাতৃত্ববন্ধন সুদৃঢ় রাখতে হবে।
সংগঠনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রিয়র্দশী চাকমা, তিনি বলেছেন - মেধা, মননশীল এবং সৃজনশীল কাজে মনোযোগ হতে। এমনকি তিনি এই সংগঠনকে নিয়ে স্মৃতিচারন করেন।
এছাড়াও অন্যান্য বক্তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠনে যুক্ত থেকে নিজের জ্ঞানকে বিকশিত করতে হবে। আদিবাসী শিক্ষার্থী হিসেবে নিজ সমাজের ছেলে-মেয়েদের উৎসাহ ও সহযোগিতা করতে হবে যাতে তারাও শিক্ষায় এগিয়ে আসতে পারে।
পরিশেষে, সাবেক সভাপতি মিখায়েল মার্ডী,তিনি বলেছেন - সংগঠন হচ্ছে আমাদের অস্তিত্ব কে টিকিয়ে রাখার মাধ্যম এর মাধ্যমে আমরা আমাদের মধ্যে যেমন সুসম্পর্ক বজায় থাকে, তেমনি আমরা সংগঠনের মাধ্যমে আদিবাসীদের উপর যে কোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ করতে পারবো। তার সমাপনী বক্তব্য মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০