রাবি প্রতিনিধি :
বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ) দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে রাবির(রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের) সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
পূর্বঘোষিত সময় অনুযায়ী আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারন শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন শুরু করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগরের সামনে থেকে শুরু করে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা।
এসময় পুলিশের সাথে তাদের ধাক্কাধাক্কি হয়।
আন্দোলনে অংশ নেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারন শিক্ষার্থীরা বলেন, একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী দেশ নিয়ে চিন্তা করবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তাকে হত্যা করা হবে এটা কোন আইনে আছে? আমরা দেখেছি আবরারের মা- বাবার আহাজারি। কেনও তাদের সন্তান কে হত্যা করা হলো।
তাহলে আমরা কি ভেবে নিবো ওটা দেশ প্রেমিক নাকি আবরার দেশ প্রেমিক।
এসব ঘটনা থেকে আমরা বুঝে নিতে পারি এরাই ভারতের দালাল, পাকিস্তানের দালাল।
শিক্ষার্থীরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, দেখুন সোনার ছেলেরা দেশ প্রেমিককে কিভাবে নির্মম ভাবে হত্যা করলো। অনতিবিলম্বে খুনিদের বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে বহিষ্কার করে দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করার পাশাপাশি সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান।
কর্মসূচী শেষে সাধারন শিক্ষার্থীরা পাঁচ দফা দাবী উথ্থাপন করেন,
★আবরার হত্যা কান্ডের সাথে জড়িত সকলকে দ্রুত বিচারের আওতায় নিয়ে সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে।
★রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে দুর্নীতির সাথে যারা জড়িত তাদের সকলকে বহিষ্কার করতে হবে।
★দেশ বিরোধী সকল চুক্তি বাতিল করতে হবে।
★সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের জন্য ছাত্রলীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে।
★রাবি শিক্ষার্থীদের চলাচলের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিতে হবে।
উল্লেখ্য, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়াকে কেন্দ্র করে গত রবিবার রাত ২টার দিকে বুয়েট ছাত্রলীগ নেতারা আবরার ফাহাদকে মেরে অচেতন অবস্থায় শেরে বাংলা হলের দ্বিতীয়তলায় ফেলে রেখে যায়। সেখান থেকে কতৃপক্ষ তার মরদেহ উদ্ধার করে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০