

ক্যাম্পাস প্রতিনিধি :
অনির্দিষ্টকালের জন্য তামীরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসার টঙ্গী ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আজ বুধবার (১৯ নভেম্বর) মিল্লাতের টঙ্গী ক্যাম্পাসের অধ্যক্ষ ডা. মো. হেফজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তামীরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসা, টঙ্গীর শিক্ষক, অভিভাবক ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে গভর্নিং বডির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত শিশু শ্রেণি থেকে কামিল পর্বের সব পাঠদান কার্যক্রম ও আলিম দ্বিতীয় বর্ষের সব পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করা হলো। অতএব উক্ত নোটিশের আলোকে অন্য নির্ধারিত সব কার্যক্রমে সংশ্লিষ্টদের উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করা হলো।
জানা যায়, গাজীপুরের টঙ্গীতে অবস্থিত তামীরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসায় ৪ দাবিতে শিক্ষার্থীদের দিনব্যাপী আন্দোলনের এক পর্যায়ে মঙ্গলবার ছাত্র-শিক্ষকদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর শিক্ষক কর্তৃক মারধরের অভিযোগ উঠলে গভর্নিং বডির প্রধান ড. কোরবান আলী এদিন সন্ধ্যায় মাদরাসায় উপস্থিত হয়ে অভিযোগপ্রাপ্ত তিন শিক্ষককে তাৎক্ষণিকভাবে বহিষ্কারের নির্দেশ দেন। ফলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
এদিকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা ৫৫ মিনিটে আলিম দ্বিতীয় বর্ষের মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীরা বেতন বৃদ্ধি, অতিরিক্ত পরীক্ষার ফি নির্ধারণ, গরিব শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা এবং স্কলারশিপ চালুর দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে যোগ দেন।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, আন্দোলন থামাতে গিয়ে কয়েকজন শিক্ষক তাদের মারধর করেন। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন এবং কারো কারো জামাকাপড়ও ছিঁড়ে যায়। মিল্লাত ছাত্রসংসদের (টাকসু) নেতা ওবায়েদসহ কয়েকজন শিক্ষার্থীর ওপরও মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে শিক্ষার্থীরা মাদরাসার প্রধান ফটক ভেঙে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নেন। প্রায় দীর্ঘক্ষণ যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে পুলিশের অনুরোধে শিক্ষার্থীরা পুনরায় ক্যাম্পাসে ফিরে আসে আন্দোলন করলে এক পর্যায়ে শিক্ষক মিলনায়তনে শিক্ষকরা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। শিক্ষার্থীরা একাডেমিক ভবনের নিচের দুটি গেটে তালা লাগিয়ে সংশ্লিষ্ট অভিযুক্ত শিক্ষকদের বহিষ্কারের দাবি তোলেন এবং শিক্ষকদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। এদিন দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শিক্ষকরা অবরুদ্ধ অবস্থায় শিক্ষক মিলনায়তনের ভেতরেই অবস্থান করতে থাকেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০