-----------------------------
সমাজের অধঃপতন ও বিপদের সময় দেখা যায়, আমরা কত শ্রেণির মানুষ একটা সমাজকে নিয়ে ভাবি। একটি ভংগুর সমাজকে টেনে তুলতে কতগুলো মানুষের চিন্তা, কর্ম, আর সহযোগিতা প্রয়োজন হয়? স্বাভাবিকভাবে দেখলে মনে হবে। আমাদের চলার পথে সমাজের কোন অবদান নেই। কিন্তু মূল বিষয় হলো, আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপে রয়েছে সমাজ ও সামাজিক প্রক্রিয়ার নানা অবদান। উদহরণসরূপ বলা যায়, যখন আমাদের সমাজে কোন বিপর্যয় নেমে আসে বিশেষ করে মহামারি, অগ্নিকান্ড বা খরা, বন্যা জলোচ্ছ্বাসের মত কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ তখন আমাদের চারপাশ থেকে সহযোগিতার অসংখ্যা হাত বেরিয়ে যায় নানা সংগঠনের নামে। অনেক সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়েও তাদের কাজ করতে দেখা যায়। বিভিন্ন স্থানে অগ্নিকা-, ভবন ধস, জাহাজ ডুবিতে এর যথেষ্ট প্রমাণ আমরা দেখেছি। অর্থাৎ আমাদের জীবন পরিচালনা করার পথে যেমন পরিবারের ভূমিকা রয়েছে, তেমনি সমাজের নানা ধরনের সংগঠনের ভূমিকাও রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে।
চীনা দার্শনিক কনফুশিয়াস এর একটি মহামূল্যবান উক্তি দিয়েই লেখা শুরু করছি। He who wished to secure the good of others, has already secured his own. অর্থাৎ যে ব্যক্তি অন্যের কল্যাণের ইচ্ছা পোষণ করে সে প্রকৃত প্রক্ষে নিজের কল্যাণই নিশ্চিত করে। সামাজিক সংগঠনে যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে মানুষের কল্যাণে কাজ করার প্রেরণা পাওয়া যায়। সামাজিক সংগঠনগুলোতে যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে ইতিবাচক গুণাবলী তৈরী হয়। মানুষের মধ্যে নেতৃত্ব-গুণ তৈরী হয়। দায়িত্বশীলতা বাড়ে, সামাজিক দায়বদ্ধতা বাড়ে। একজন সামাজিক সংগঠনের কর্মী গান আবৃত্তি কিছু যদি নাও জানে তবুও তিনি একজন সংগঠন না করা মানুষের চেয়ে আলাদা। প্রতিটি সামাজিক সংগঠনের মৌলিক বিষয় একই। সামাজিক সংগঠন সবার মতকে শ্রদ্ধা করা, সদস্য হিসেবে নিজ দায়িত্ব পালন করা, নিজেকে বিকশিত করা, একসঙ্গে কাজ করতে উদ্বুদ্ধ হওয়া সহনশীল হওয়া, ইত্যাদি শেখায়। তাছাড়া সুনির্দিষ্ট কিছু মূল্যবোধের ভিত্তিতে কার্যক্রম পরিচালনা করতেও শিক্ষা দেয় সামাজিক সংগঠন। এখন মানুষ মানুষে যে অসহিষ্ণুতা, অস্থিরতা সামাজিক অবক্ষয় দেখা যায় এগুলো দূর করতে হলে সুস্থ সংস্কৃতির বিকাশ প্রয়োজন। সামাজিক সংগঠনের মাধ্যমে সামাজিক সুস্থতা আনা সম্ভব। নিজেকে একজন চৌকস মানুষ হিেিসবে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে একজন উদার মানুষ হতে হলে লেখাপড়ার পাশাপাশি একজন শিক্ষার্থীকে সামাজিক দায়বদ্ধতায় কাজ করতে হবে। আকাশ আমায় শিক্ষা দিল উদার হতে ভাইরে, কর্মী হওয়ার মন্ত্র আমি বায়ুর কাছে পাইরে। সেজন্য শিক্ষার্থীদের সমাজ সেবামূলক সংগঠন করতে হবে। একটি কথা মনে রাখতে হবে শুধু পরীক্ষায় ভাল ফল করলেই হয়না। সফল মানুষ হতে হলে নানা দিক থেকে চৌকস হতে হয়। ব্যাক্তির সঙ্গে সমাজের বন্ধন যখন দুর্বল হয়ে পড়ে তখন সমাজে নানা ধরনের বিশৃঙ্খলা ও অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি তৈরী হয়। সেই ক্ষেত্রে ব্যক্তির সঙ্গে সমাজের সম্পর্ক মধুর করার পেছনে আদর্শ সংগঠনের ভূমিকা অগ্রগণ্য। মানুষে মানুষে সম্পর্ক যত গভীর ও মধুর হবে সমাজ তত ভালো থাকবে, সুন্দর হবে সামাজিক বিশৃঙ্খলা ও কম থাকবে। এলাকা, পাড়া ও মহল্লার আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ সামাজিক সমস্যা দূরীকরণ এবং সুশৃঙ্খল সমাজ গঠন করার জন্য সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের উদ্ভব অনেক আগ থেকেই। এখানে কোনো রাজনৈতিক স্বার্থ নেই। এখানে রাজনীতি যার যার সামাজিক সংগঠন সবার। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এমন সব নিয়ন্ত্রন ব্যবস্থা সমাজের জন্য পাথেয় হিসেবে কাজ করে আসছে। ব্যক্তির সঙ্গে সমাজের বন্ধন সুদৃঢ় করতে আইনের শাসনের প্রয়োজনীয়তাও অনস্বীকার্য। সামাজিক সংগঠন কল্যাণমূলক কাজ করতে মানুষকে উৎসাহিত করে। পবিত্র কুরআন মাজিদে এরশাদ হচ্ছে “তোমরা কল্যাণমূলক কাজে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে অগ্রসর হও।
(সুরা বাকারা ১৪৮)
হযরত আলী (রা:) বলেছেন মানুষের দুঃখ দেখে তুমি যদি তার বিপদে এগিয়ে না আস তবে মনে রেখো তুমি ও একদিন বিপদে পড়বে তখন কেউ তোমার কান্না শুনবে না। ইংরেজীতে একটি কথা আছে A man who builds wall instead of bridge has no right to complain if he is alone অর্থাৎ কেউ যদি সেতুর বদলে প্রাচীর রচনা করে নি:সঙ্গ হলে অভিযোগ করার অধিকারটিও সে হারায়। হিন্দু ধর্মশাস্ত্র মতে মানুষের মধ্যে রজ: গুন রয়েছে তম: গুন ও রয়েছে। রজ: গুণ হলো সৎকর্ম। সবধর্মই সৎকর্মকে মানুষের সর্বোচ্চ গুণ হিসেবে বিবেচনা করে। সামাজিক সংগঠন যুক্ত হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে মানুষের কল্যাণে কাজ করা যায়। মানুষে মানুষে বন্ধুত্বের বিকাশ ঘটানো যায়, রবীন্দ্রনাথ বলেছেন আমরা বন্ধুর কাছ থেকে মমতা চাই, সমবেদনা চাই, সাহায্য চাই। সেজন্যই বন্ধুকে চাই। আমাদের মহানবী নবুয়ত পাওয়ার আগেই সমাজ সেবার জন্য তরুণদের নিয়ে হিলফুল ফুজুল নামে সেবা সংঘ গঠন করেছিলেন। নবুয়ত পাওয়ার পর ও তিনি সাহাবীদরে নিয়ে সংঘবদ্ধ ভাবে কাজ করেছেন। হযরত শাহজালাল (রহ:) সিলেটে এসেছিলেন ৩৬০ জন আওলিয়া (সহযাত্রী) নিয়ে। মহামতি বুদ্ধের আশ্রমে থাকতেন সাধনার জন্য শত শত ভিক্ষু। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ সংঘবদ্ধ হওয়ার সফলতার বিস্ময়কর উদাহরণ। বাঙ্গালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাধারণ মানুষের অভূতপূর্ব অংশগ্রহন, সহযোগিতা ও সমর্থন নয় মাসে বাংলাদেশের বিজয় অর্জন ও সংঘবদ্ধতার কারণেই সম্ভব হয়েছে। সামাজিক সংগঠন মানুষকে সবার কাছে পরিচিত করে তুলে। সংগঠনে যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্য আদান-প্রদানের মাধ্যমে সবাই লাভবান হয়। যেমন আপনার যদি একটি আপেল থাকে আপনি যদি অন্য একজনকে দেন অন্যজন ও যদি আপনাকে একটি আপেল দেয়, উভয়েরই একটি করে আপেল থাকলো। অন্যদিকে যদি আপনার একটি আইডিয়া থাকে আপনি যদি অন্যজনের সাথে শেয়ার করেন এবং অন্যজন যদি আপনার সাথে আর একটি আইডিয়া শেয়ার করে উভয়েরই দুটি করে আইডিয়া হয়ে গেল। সংগঠন মানুষের কল্পনাশক্তিকেও শাণিত করতে পারে। আইনস্টাইন বলেছেন Imagination is more powerful than knowledge. আমেরিকান ঔপন্যাসিক জ্যানেট প্লেনার বলেছেন genius is immediate but talent takes time প্রতিভা তাৎক্ষণিক, ঐশ্বরিক, কিন্তু মেধাবী হতে সময় লাগে, পরিশ্রম ও লেখাপড়ার মাধ্যমে মেধাকে বিকশিত করা যায়। এক্ষেত্রে সংগঠন অনেক উপকারে আসে।
লক্ষ্য অর্জনের জন্য নিজের মেধাকে কাজে লাগাতে হয়। পরিকল্পিত পরিশ্রম করতে হয়। যুগে যুগে যারাই বড় হয়েছেন, মহান হয়েছেন তাদের প্রত্যেকের জীবনেই একটা লক্ষ্য ছিল। মনছবি ছিল। বরেণ্য শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেছেন কোন ভাবেই এক সেকেন্ডের জন্যও সময়কে নষ্ট করা পাপ। নিজেকে দুঃখী মনে করাও অপরাধ। ইংরেজি নাট্যকার শেকসপিয়র বলেছেন কাজ ও আনন্দ সময়কে সংক্ষিপ্ত করে দেয়। জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে হলে লক্ষ্যের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। সামাজিক সংগঠন করলে মনের দেওলিয়াত্ব ঘোচে, দুর্দশার চক্র থেকে বেরিয়ে আসা যায়। জীবন ও জগত সম্পর্কে জানা শোনা বাড়ে। সংগঠন একদিকে জীবনের পরিধি বাড়ায় অন্যদিকে মানুষকে স্বপ্ন দেখতে শেখায়। মানুষের ইতিবাচকতাকে বাড়িয়ে আশাবাদী করে। মানুষকে প্রচন্ড আত্ববিশ্বাসী করে কাজের প্রেরণা ও সাহস যোগায়। তাছাড়া সংগঠন আনন্দিত করতেও সহায়তা করে। এরিস্টটল বলেছিলেন Pleasure in the job put perfection in the work সংগঠন মানুষের নেতিবাচকতা থেকে বেড়িয়ে আসতে সহযোগিতা করে, হতাশা ও দুঃখবোধ থেকে বেড়িয়ে আসতেও মানুষকে সাহায্য করে। চলার পথে একে অন্যকে সহযোগিতা করার মানসিকতা তৈরী করে। জীবনের প্রতি মুহূর্তকে উপভোগ করার পরিস্থিতি ও তৈরী করে দেয় সংগঠন। সমাজ জীবনে সকল অবক্ষয় সমাজকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিতে অগ্রনী ভূমিকা রাখেন সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, ৭১ এর মহান স্বাধীনতা আন্দোলনের তাত্বিক ভিত্তি সুশীল সমাজেরই সৃষ্টি। ব্যক্তির সংগে ব্যক্তির এবং ব্যক্তির সংগে সমাজের সম্পর্ক সুন্দর করার পেছনে সামাজিক সংগঠন সমূহের অবদান অনস্বীকার্য। প্রায় সকল ধর্মগ্রন্থেই আছে দুটি জিনিস যা মানুষের ধ্বংস অনিবার্য করে তোলে। প্রথমটি অহংকার, দ্বিতীয়টি লোভ। সত্যিকারের সংগঠন এ বিষয় গুলো থেকে দূরে রাখতে ও সহায়তা করে।
#সংগঠনের করণীয়ঃ আমাদের সববিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে সামাজিক সংগঠন। শিক্ষা, সংস্কৃতি, সমাজসেবা, গনসচেতনতা, সুনাগরিকত্ব ইত্যাদি সহ সার্বিক সামাজিক উন্নয়নে কাজ করার লক্ষ্যেই সামাজিক সংগঠন এর প্রতিষ্ঠা করা হয়। একটি সংগঠন এর সাধারনত নিম্মে লিখিত কাজ গুলো করতে হয়।
#সমন্বয় সাধনঃ সামাজিক সংগঠন কখনোই ব্যক্তিগত কিছু নয়। একা কোন মানুষ একটি সংগঠন পরিচালনা করতে পারে না। তাই সকলের সমন্বিত উদ্দেশ্য পূরণের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান একত্র করে সংগঠন সৃষ্টি করতে হয়।
#সুনির্দিষ্ট কাঠামোঃ প্রতিটি সংগঠন একটি সুনির্দিষ্ট কাঠামোর আওতায় গড়ে ওঠে। অর্থাৎ একটি সংগঠন কোন ধরনের কাজ করবে তা সুনির্দিষ্ট থাকবে।
#সামাজিক উন্নয়নঃ সংগঠনকে অবশ্যই সামাজিক উন্নয়নে কাজ করতে হবে। সংগঠনের প্রতিটি সদস্যকে সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে হবে।
#নৈতিক উন্নয়নঃ যাদের নিয়ে সংগঠন গঠিত তাদের সবার আত্ম উন্নয়নে কাজ করতে হবে।
#শিল্পসংস্কৃতি চর্চাঃ সংগঠনের অন্যতম কাজ হওয়া উচিত শিল্প সংস্কৃতির চর্চার মাধ্যমে শিল্পমনস্ক মানুষ তৈরী করা। যে দেশের শিক্ষা যতবেশী সমৃদ্ধ সে দেশের মানুষ ততবেশী নৈতিকতায় সমৃদ্ধ প্রতিটি সংগঠনের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত শিল্পসাহিত্য ও নৈতিক গুণচর্চার মাধ্যমে সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সচেষ্ট থাকা।
#সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যঃ লক্ষ্য বিহীন কোন কিছুরই অস্তিত্ব বেশীদিন ঠিকিয়ে রাখা যায় না। সুতরাং সংগঠনের অবশ্যই সুনির্দিষ্ট ও গঠনমূলক লক্ষ্য থাকতে হবে।
#সংগঠকের ভূমিকাঃ একজন সংগঠকের অনেক দায়িত্ব পালন করতে হয়। সংগঠনের ভালো-মন্দ, সুনাম-দুর্নাম অনেক কিছুই সংগঠকের উপরে নির্ভরশীল। তাই সংগঠকের অবশ্যই দায়িত্বশীল হতে হবে।
সংগঠকের কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলোঃ-
১) সমন্বয় সাধনঃ একজন সংগঠককে সব সময় একজন সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করতে হয়। একা কোনো ব্যক্তি কোনো সংগঠন পরিচালনা করতে পারে না। তাই সংগঠককে সব সময় সবকিছুর মধ্যে সমন্বয় সাধন করতে হবে।
২) পরিকল্পনাঃ সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে সংগঠনকে এগিয়ে নিতে হবে।
৩) ব্যবস্থাপনা দক্ষতাঃ একজন সংগঠককে একজন ভালো ব্যবস্থাপক হতে হবে। ব্যবস্থাপনায় যে যত ভালো তিনিই তত ভাল সংগঠক।
৪) নিয়ন্ত্রন দক্ষতাঃ যে কোন কাজেই নিয়ন্ত্রন প্রয়োজন। সঠিক নিয়ন্ত্রন ছাড়া কোন উদ্যোগে সফল করা যায় না। তাই একজন সংগঠকের নিয়ন্ত্রন দক্ষতা থাকতে হবে।
৫) সৃজনশীলঃ যে কোন সামাজিক সংগঠনের সৃষ্টিই হয় সমাজকে আরো ভালো করে তৈরী করার জন্য। তাই সংগঠকদের সৃজনশীলতা বৃদ্ধির জন্য শিল্প সাহিত্যের চর্চা অব্যাহত রাখতে হবে।
৬) প্রচুর পড়াশুনা করতে হবেঃ পড়াশুনার অভ্যাস মানুষকে বিকশিত করে, সৃজনশীল করে, গতানুগতিক হতে সাহায্য করে এজন্য একজন সংগঠককে ভালো বই পড়তে হবে। খ্যাতিমান মানুষের জীবনী পড়তে হবে।
৭) নেতৃত্বের গুনঃ একটি সংগঠন পরিচালনা করার জন্য প্রয়োজন যোগ্য নেতা: যেমন হাসিখুশী ভাব, কথা বলার দক্ষতা, কর্মমুখরতা, সাহসিকতা, সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহনের ক্ষমতা, মহৎ স্বপ্ন, গনতান্ত্রিক মনোভাব, মাথাঠান্ডা রাখা, দূরদর্শীতা, সমস্যায় পড়লে সমস্যা সমাধানের অবিনায়ক হওয়া বিরতীহীন ভাবে কাজ করা ইত্যাদি।
পরিশেষে বলা যায় একটি সামাজিক সংগঠনকে সফল করতে হলে নেতাদের নেতৃত্বগুণ, দক্ষতা, ধৈর্য্য, স্বেচ্ছাসেবী মানসিকতা, সহযোগিতা-পরায়ন, দলগত সিদ্ধান্তের উপর শ্রদ্ধাশীল মনোভাব, সর্বোপরি নৈতিক গুণাবলীর অধিকারী হতে হবে। সংগঠন হলো এক সুতোয় এক এক করে এক একটা ফুল দিয়ে গাঁথা মালার মতো।
---------------------
মোহাম্মদ আবদুল হালিম
প্রতিষ্ঠাতা ও এডমিন
কক্সবাজার ব্লাড ডোনেটিং ক্লাব
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০