----আশফা খানম
আরবি শব্দ ‘সফর’ র্অথ ‘খালি’ বা ‘শুন্য’ । প্রাক ইসলাম যুগে এ মাস আসার পূর্বে আরববাসী মক্কা শহর ছেড়ে স্থানান্তরিত হতো খাদ্য সংগ্রহের জন্য। মক্কা শহর সে সময় শুন্য বা খালি হবার কারণে এ মাসের নামকরণ করা হয় ‘সফর’ । আবার ‘সফর’ এর সওয়াদ এর অন্য অর্থ হলুদ বর্নে বদলে যাওয়া । এ মাসে বসন্তকাল থাকে। ফলে সবুজ বর্ণের পাতা হলুদ বর্ণ ধারণ করতো তাই এ মাসকে ‘সফর’ বলা হয়। আরবী হিজরী বর্ষের দ্বিতীয় তম মাস এ ‘সফর’ । আলহামদুলিল্লাহ্ আমরা ‘সফর’ মাসটি অতিক্রম করছি । এ মাস নিয়ে নানা ধরনের কুসংস্কারের প্রচলন আছে। অথচ আমরা জানি বিশ্বনবী মুহাম্মদ (সাল্লাহু আলাইহি ওয়সাল্লাম) এর মাধ্যমে বিশ্ব ব্রক্ষান্ডের স্রষ্ঠা মহান আল্লাহ পাক সুবহানু ওয়াতাআলা তাআলা ইসলামের পতাকাতলে জাগতিক কুসংস্কারের মূলোৎপাটন করেন । ‘সফর’ মাসের ঐ সকল কুসংস্কার এবং পবিত্র কালাম কুরআন ও হাদিসের আলোকে ইসলাম ধর্মে এর স্বরুপ উদঘাটনই এ লেখার প্রতিপাদ্য । কারণ মুসলমান হিসেবে আমাদের এ সকল বিষয়ে সতর্ক থাকা জরুরি । এ সকল কুসংস্কার বা প্রথা পালনে নেকী তো নেই বরং কবীরা গুনাহ হয় । ‘সফর’ মাস সম্পর্কে প্রচলিত কুসংস্কার বা ভ্রান্ত ধারণাসমূহঃ ১। এ মাসে সংঘটিত বৈবাহিক সম্পর্ক সফল হয় না; ২। এ মাসে ব্যবসা শুরু করলে তা সফল হয় না; ৩। এ মাসে দুর দেশ যাত্রা শুভ হয় না; ৪। এ মাস নানা দুর্ভাগ্য ও দুর্যোগে ভরপুর; ৫। বিশেষত সফরের ১ম দিন থেকে ১৩ তম দিন দুর্ভাগ্যে ভরা; ৬। কোন ব্যক্তি ‘সফর’ মাসের ১৩ তম দিনে গরীবদের মাঝে খাবার বা অর্থ বিতরণ করলে তা তাকে ‘সফর’ মাসের দুর্ভাগ্য থেকে রক্ষা করবে এ কুসংস্কার ধারণ করা ও পালন করা হয়; ৭। ‘সফর’ মাসের শেষ বুধবার উদযাপন করা এবং এ দিনকে ছুটি হিসেবে পালন করা হয় । এছাড়া প্রাক ইসলামিক যুগে ‘সফর’ মাসকে সাপ বা কেঁচোর সাথে তুলনা করা হতো । এ মাসকে তারা অভিশপ্ত বা অশুভ মাস বলতো । শুধু তাই নয় মূর্তিপূজারীরা ‘সফর’ মাসের ১৩ তম দিনকে অশুভ মনে করে । বিশ্বনবী মুহাম্মদ (সাল্লাহু আলাইহি ওয়সাল্লাম) অবিশ্বাসীদের এ সকল কুসংস্কার এবং তাদের মূর্খতা, অজ্ঞতাকে দূরীভূত করেন । অথচ আমাদের মধ্যে এখনো অনেক মুসলমান আছেন যারা উপরে উল্লেখিত কুসংস্কার গুলোকে লালন পালন করেন । কিন্তু রাসুল মুহাম্মদ (সাল্লাহু আলাইহি ওয়সাল্লাম) বলেন যে, কোন সময়ের ভালো কাজ সে সময়ের জন্য শুভ হয় । আর আল্লাহর অবাধ্য হয়ে পাপ কাজ ঐ সময়টাকে অশুভ সময়ে পরিণত করে এবং আমাদের জন্য অশুভ বয়ে আনে । অতএব ‘সফর’ মাস কখনই অশুভ নয় । বরং খারাপ কাজ এবং মিথ্যা বিশ্বাস বা কুসংস্কার অশুভ বা অকল্যাণ বয়ে আনে । অতএব আমাদের এ প্রথাগুলোকে অনুতপ্ত হয়ে পরিহার করা উচিত। কি করা উচিতঃ ১) ‘সফর’ মাস সম্পর্কে সকল প্রকার ভ্রান্ত ধারণা ও কুসংস্কার কে নির্মূল বা উৎখাত করতে হবে । ২) প্রকৃতপক্ষে সেই ব্যক্তি সবচেয়ে দুর্ভাগা যে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর আদেশ অমান্য করে । পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ সালাত আদায় করেনা, রোযা রাখে না, যাকাত দেয় না, হজ্ব ফরজ হওয়া সত্ত্বেও পালন করে না । হাদীসে রাসুল মুহাম্মদ (সাল্লাহু আলাইহি ওয়সাল্লাম) বলেছেন মহান ‘আল্লাহ পাক রহমানুর রহিম আমাদের কাউকে দুর্ভাগা করে তৈরী করেননি । তিনি বলেন “তোমরা কি জানো কে সবচেয়ে হতভাগা?”, সাহাবাদের অনুরোধে অতঃপর তিনি বলেন “সে সবচেয়ে হতভাগা যে সালাতকে অবজ্ঞা অবহেলা করে।’’ ৩) আমাদের ভালো বা মন্দ অবস্থা আমাদের কর্মের কারনে হয়ে থাকে । এ প্রসঙ্গে সুরা ৪২ এর ৩০ নং আয়াতে আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেছেন “তোমাদের দুর্ভাগ্য তোমাদের হাতের কামাই”। হযরত যাবির (রাঃ) কর্তৃক হাদীসে বর্ণিত রাসুল মুহাম্মদ (সাল্লাহু আলাইহি ওয়সাল্লাম) বলেছেন, “ ‘সফর’ মাসে রোগ শোকে পতিত হওয়া পূর্ববর্তীদের এ কুসংস্কার বা ভ্রান্ত ধারণা মিথ্যা ।’’ তিনি ‘সফর’ মাস সম্পর্কিত ভ্রান্ত ধারণাসমূহকে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখান করেন । অতএব আল্লাহর নির্দেশ ও রাসুলের সুন্নাহ মোতাবেক আমরা ‘সফর’ মাস সম্পর্কে সকল প্রকার কুসংস্কার বা প্রথা বা ভ্রান্ত ধারনা বিলোপ সাধনে কাজ করবো । কুসংস্কারের অনুসরণ এক প্রকার শিরকঃ- আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নিকট সকলপ্রকার গুনাহের মধ্যে সবচেয়ে অপছন্দনীয় গুনাহ্ হচ্ছে শিরক। রাসুল (সাল্লাহু আলাইহি ওয়সাল্লাম) বলেছেন “যে কোন কিছুকে অশুভ বলে বিশ্বাস করাই শিরক। এবং পেঁচা কে অশুভ মনে করার কিছু নেই।”যাহিলিয়াতের যুগে মুশরিকরা মনে করতো যে ঘরের সামনে পেঁচার আচঁড় থাকবে সেই ঘর অভিশপ্ত হয়ে ধ্বংস হয়ে যাবে । আমাদের নবী মুহাম্মদ (সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এ বিশ্বাসকে মিথ্যা বলেছেন । কারণ এ সকল ভ্রান্ত ধারনা বা কুসংস্কার লালনের মাধ্যমে আমরা এটি প্রমান করি যে, মহান সৃষ্টি কর্তা আল্লাহ ব্যতীতও আমাদের ভাগ্য নির্ধারনের কর্তৃত্ব অন্য জন্তু জানোয়ার বা পাখির বা চন্দ্র বা নক্ষত্র বা মাসের আছে (নাউযুবিল্লাহ) । আমাদেরকে মনে রাখতে হবে একমাত্র সর্বময় ক্ষমতার মালিক আল্লাহ সুবহানুওয়াতাআলা সৃষ্টির সব কিছুর উপর শুধু তাঁরই কর্তৃত্ব । রাসুল হযরত মুহাম্মদ (সাল্লাহু আলাইহি ওয়সাল্লাম) বলেন “কোন কিছুকে অশুভ ভাবা শিরক। তিনি এটি ৩(তিন) বার বলেন । এরপর বলেন “প্রত্যেকের মধ্যে কিছু কুসংস্কার আছে । কিন্তু আল্লাহর উপর বিশ্বাস রাখলে তিনি তা দূরীভূত’করে দেন । (সুনানে আবু দাউদ) আল্লাহ বলেন পবিত্র কুরআনে লোকমান সুরার ১৩ নং আয়াতে “আল্লাহর সাথে শরীক করোনা, শিরক হচ্ছে অতি বড় যুলুম । তিনি আরো বলেন “নিশ্চই জেনো আল্লাহর সাথে শিরক করার যে পাপ তা তিনি ক্ষমা করেন না ।" (সুরা নিসা আয়াত ৪৮)। আরেক হাদীস থেকে আমরা জানতে পারি আল্লাহর যে সকল মুমিন বান্দারা কোন কিছুকে অশুভ বা কুসংস্কার কে অবিশ্বাস করেন তারা মহান আল্লাহর অনুগ্রহ ও দয়ায় বিনা হিসেবে জান্নাতে যাবেন । ‘সফর’ মাসে সংঘটিত উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটনাঃ ১) ১লা সফরে কারবালার বন্দীরা সিরিয়ায় ইয়াজিদের প্রাসাদে প্রবেশ করে । ২) ১৩ ই ‘সফর’ সুকাইনা বিনতে হুসাইন (রাঃ) শহীদ হন । তিনি বিবি সাকিনা নামে পরিচিত এবং ইমাম হুসাইন (রাঃ) এর কন্যা হন । ৩) ২৭ শে ‘সফর’ নবী মুহাম্মদ (সাল্লাহু আলাইহি ওয়সাল্লাম) মক্কা থেকে মদীনায় হিজরত করেন । ৪) ২৮ শে ‘সফর’ প্রিয় নবী ও রাসূল হযরত মুহাম্মদ (সাল্লাহু আলাইহি ওয়সাল্লাম) অসুস্থ হন । ৫) ২৮ শে ‘সফর’ বিশ্ব নবীর প্রানপ্রিয় দৌহিত্র ইমাম হাসান (রাঃ) শহীদ হন । ৬) ইসলামের ইতিহাসে দুটি গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধ আবওয়ার যুদ্ধ এবং খাইবরের যুদ্ধ ‘সফর’ মাসে সংঘটিত হয় । ৭) ’সফর’ মাসেই হযরত খালিদ এবং আমর বিন আস আস দ্বীন ইসলাম কবুল করেন । ৮) বিশ্ব নবী হযরত মুহাম্মদ (সাল্লাহু আলাইহি ওয়সাল্লাম) এর প্রানপ্রিয় কন্যা বিবি ফাতেমা (রাঃ) এবং হযরত আলী (রাঃ) ‘সফর’ মাসে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন । উপরে উল্লেখিত ঘটনাসমূহ ছাড়াও আরো অনেক উল্লেখযোগ্য শুভ ঘটনা যা ‘সফর’ মাসে সংঘটিত হয় সেগুলো প্রমান করে যে ‘সফর’ মাস অশুভ বা অকল্যানকর নয়। আমাদের কর্ম দ্বারাই আমাদের নিয়তি কল্যাণ বা অকল্যাণকর হয় । কুরআন ও হাদীসের আলোকে ‘সফর’ মাস সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারনা দুরীকরণঃ “নিশ্চয় আল্লাহর বিধান ও গননায় মাস ১২ টি, আসমানসমূহ ও পৃথিবী সৃষ্টির দিন থেকে তার মধ্যে চারটি সম্মানিত । এটি সুপ্রতিষ্ঠিত বিধান । সুতরাং এর মধ্যে তোমরা নিজেদের প্রতি অত্যাচার করো না । (সুরা তাওবা ৩৬) এছাড়া সুরা তাগাবুনে ১১ নং আয়াতে আল্লাহ বলেন “কোন দুর্ভাগ্য আল্লাহর নির্দেশ ব্যতীত আপতিত হয় না । সহীহ বুখারীতে রাসুল মুহাম্মদ (সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন “কোন কুসংস্কার যুক্ত পেঁচা, পাখি, নক্ষত্র গননাকারী বৃষ্টি, অশুভ কিছুই ‘সফর’ মাসে নেই। তিনি আরো বলেন “‘সফর’ মাসে অশুভ বলে কিছু নেই এবং খারাপ আত্মা বলেও কিছুই নেই।”(সহীহ মুসলিম) । অতপর উভয়ের কুরআন ও হাদীসের আলোকে এ বিষয় স্পষ্ট ও পরিষ্কার যে, ‘সফর’ মাস সম্পর্কিত কুসংস্কার সমূহ ঠিক নয় এবং এ ধরনের ধারনাসমূহ লালন ও পালন ইসলাম পূর্ব যাহিলিয়াত যুগের বিশ্বাসকে ধারণা করে লালন ও পালন করারই শামিল । এ প্রসঙ্গে পরিশেষে ইবনে আক্কাস বর্ণিত সুনানে তিরমিজীর ২৫১৬ এ বর্ণিত হাদীস দিয়ে সমাপ্ত করতে চাই । রাসুল মুহাম্মদ (সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন “জেনো রাখো যদি সব সৃষ্টি একত্র হয়ে তোমার কোন উপকার করতে চাই তবুও তারা আল্লাহর নির্ধারিত পরিমাণ ছাড়া কখনো তোমার উপকার করতে পারবে না । আর যদি সব সৃষ্টি একত্র হয়ে তোমার ক্ষতি করতে চায় তবুও তারা আল্লাহর নির্ধারিত পরিমাণ ক্ষতি ছাড়া কোন ক্ষতি করতে পারবে না, কলম তুলে নেয়া হয়েছে । দপ্তরসমূহ শুকিয়ে গেছে ।" উপরের হাদীসে এ কথা সু-স্পষ্ট যে আমাদের তাকদীরে বিশ্বাস করতে হবে । যদিও আমরা বিপদে, আপদে বা দুঃসময়ে বলে থাকি সে ঐ কাজ ঐ ভাবে না করলে তার এমন হতো না। মনে রাখতে হবে আল্লাহ আমাদেরকে কারো ভালো বা মন্দ বুঝবার ক্ষমতা দিয়ে পাঠাননি । আমাদের কাউকে কারো উপর পাহারাদার বানিয়ে পাঠাননি । কারো দোষ বা ভূলত্রুটি ধরা আমাদের কাজ নয়। বরং আমাদেরকে সতর্ককারী বা সাবধানকারী হিসেবে পাঠানো হয়েছে। বরং আমরা প্রত্যেকে প্রত্যেকের কম সম্পর্কে যেন সতর্ক থাকি । মনে রাখতে হবে কারো সৌভাগ্য কোন বস্তু, দিন, ব্যক্তি বা তারকারাজি বা দিন বা মাস বা বছর নিয়ে আনে না । কারণ সবই মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর কর্তৃক নির্ধারিত এবং আমাদের কর্মের ফল। বিপদের সময় আমাদেরকে সবর করতে হবে এবং একনিষ্টভাবে আল্লাহর সাহায্য চাইতে হবে । সুরা তাওবার ৫১ নং আয়াতে আল্লাহ বলেছেন “হে রাসুল ওদেরকে বলে দিন আমাদের জন্য আল্লাহ যা নির্দিষ্ট করেছেন তাছাড়া আমাদের কিছুই হবে না । তিনি আমাদের কর্ম নির্ধারক এবং আল্লাহর উপরেই মুমিনদের ভরসা করা উচিৎ ।" অতএব কোন ব্যক্তি বস্তু বা পশু বা নক্ষত্র বা সময় অকল্যাণ বয়ে আনে না । যেমন দাঁড়কাক দেখলে আমরা অশুভ কিছু ঘটবার আশংকা করি । কালো বিড়াল দেখলে যাত্রা পথ থেকে ফিরে আসি । বাহিরে যাবার সময় হোঁচট খেলে অশুভ ঘটনা ঘটবার আশংকা করি । এরূপ নানা রকমের কুসংস্কার আমাদের সমাজে যুগ যুগ ধরে প্রচলিত আছে। এগুলো সবই শিরকের শামিল। অতঃপর এসকল কবীরা গুনাহ থেকে আমাদেরকে বিরত থাকতে হবে । সতর্ক থাকতে হবে যাতে এ সকল গুনাহ আমাদের দ্বারা সংগঠিত না হয় । সদা সর্বদা সকল প্রকার নেক কাজ আমরা আল্লাহ সুবহানুওয়াতাআলার উপর তাওয়াক্কুল করে শুরু করবো । (অথচ আমাদের দেশে সিনেমা শুরুর পূর্বে, এমন হারাম কাজ শুরুর পূর্বে কিসের ভিত্তিতে পরিচালক, প্রযোজকরা আল্লাহর সাহায্য চান তা আমার বোধগম্য নয়) । তবেই সকল প্রকার অকল্যাণ থেকে তিনি আমাদের রক্ষা করবেন । আমরা তার নির্দেশিত আদেশ নিষেধ মেনে চলবো তবেই তিনি আমাদের সাথে থাকবেন । যদি আমরা কিছু চাই শুধু মহান মালিক আল্লাহ রাব্বুল আল আমীনের কাছেই চাইবো । যদি আমাদের কারো সাহায্য লাগে আমরা শুধু আল্লাহ সুবহানুওয়াতাআলারই সাহায্য চাইবো । আমাদের সবাইকে অবশেষে তাঁর কাছে ফিরে যেতে হবে । অতএব ‘সফর’ মাসের কল্যাণ বা অকল্যানকর যা হয় সবই আল্লাহর ইচ্ছার ফলশ্রুতি । সুতরাং কোন দিন, মাস বা বছর অশুভ নয় । কুসংস্কার ভ্রান্ত ধারনা গুলো দুর করে আল্লাহ যেন আমাদেরকে এক আল্লাহর উপর বিশ্বাস করার এবং বিশ্বাস রাখার তাওফিক দান করেন । আল্লাহর রং এ আমরা যেন নিজেদের রঞ্জিত করি, তাঁর নুরের আলোয় এ হৃদয়কে আলোকিত করে তাঁরই নির্দেশিত সহজ সরল পথে পরিচালিত হই । আল্লাহ রাব্বুল আলআমিন আমাদের সকলকে সেই তাওফিক দান করুন । আমিন । ছুম্মাআমিন ।
লেখকঃ প্রাবন্ধিক, নারী উন্নয়ন কর্মী ও প্রিন্সিপাল- সিভিএনএস ।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০