আরিফুল ইসলাম,স্টাফ রিপোর্টার,লামা:
“জলাতঙ্ক নির্মূলে টিকাদানই মুখ্য” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে র্যালী ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়েই বান্দরবানের লামা উপজেলায় বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস-২০১৯ পালিত হয়েছে। রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উদ্যোগে এ দিবসটি পালিত হয়। দিবসটি উপলক্ষে সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তার নের্তৃত্বে একটি র্যালী বের করা হয়। র্যালিটি লামা শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাঃ উইলিয়াম লুসাই মেমোরিয়াল হলরুমে আলোচনায় মিলিত হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদুল হক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লামা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল, এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর এ জান্নাত রুমি, লামা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও গজালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বাথোয়াইচিং মার্মা, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ জাহেদ উদ্দিন, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা জুয়েল মজুমদার প্রমুখ। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ রেজাউল করিম, স্বাস্থ্য পরিদর্শক নাজিম উদ্দিনসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, এনজিও প্রতিনিধি, হাসপাতালের কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ। আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, জলাতঙ্ক একটি মরণব্যাধী। এ রোগে মৃত্যুর হার প্রায় শতভাগ। প্রতি মিনিটে একজন করে মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করে এবং আক্রান্তদের শতকরা ৫০ ভাগই শিশু যাদের বয়স ১৫ এর নিচে। কুকুর, বেজি, বিড়ালের কামড়ে ও আচড়ানোর ফলে জলাতঙ্ক রোগ হয়। তাই এসব প্রাণী হতে সর্বদাই সতর্ক থাকতে হবে। আর এসব প্রানী দ্বারা আহত হলে যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহন করতে হবে। এক্ষেত্রে কবিরাজ কিংবা পল্লী চিকিৎসকের কাছে না যেতে পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে। ২০২২ সালের মধ্যে জলাতঙ্ক মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা, সিডিসি অপারেশন প্লানের জুনোটিক ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রাম ও কাজ করে যাচ্ছে। জলাতঙ্ক একটি মারাত্মক মরণ ব্যাধি। কিন্তু এ রোগটি শতভাগ প্রতিরোধ যোগ্য। সঠিক সময়ে যথাযথ টিকাদানের মাধ্যমে এ রোগ থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব। শিশুদের এ রোগ থেকে সুরক্ষা দিতে সকলে এগিয়ে আসি,কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করি। অভিভাবকত্বের জায়গা থেকে নিজ নিজ শিশুকে সচেতন করি। এবং নিজেও সচেতন হই। ২০২২ সালের মধ্যে জলাতঙ্ক মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সরকারকে সহযোগিতা করি।