
রিপন মিয়া, মৌলভীবাজার সদর প্রতিনিধি।
বহিঃ বিশ্বের মত বাংলাদেশ যখন করোনা সংক্রানত টেকাতে লকডাউন সহ বিভিন্ন রকমের সিদ্ধান্তে প্রতিনিহিত গ্রহণ করছে, যেখানে প্রয়োজনে ব্যাতীত সুস্থ মানুষদের ঘর থেকে বাহিরে না যাউয়ার জন্য বলা হচ্চে। সেখানে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার মোস্তফাপুর ইউনিয়নের এক সিএনজি চালকের করোনা পজেটিভ থাকা সত্তে অ সিএনজি চালক সিএনজি চালিয়ে জেলার বিভিন্ন প্রান্থে ঘুরে চলছেন। শুধু সেখানেই শেষ নয় বিভিন্ন চা স্টলে গিয়ে আড্ডা দিয়েছেন,সেলুনে গিয়ে চুল কেটেছেন।
উল্ল্যেখ্য যে এই সিএনজি চালককের গত ১০ জুন করোনা সন্দেহে নমুনা কালেকশন করা হয়। ১৬ জুন তার করোনা পজেটিভ আসে। বিষয়টি জানিয়ে এই রোগীকে আইসোলেশনে থাকতে বলে মৌলভীবাজার সিভিল সার্জন কার্যালয় এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হয়। কিন্তু এই ব্যক্তি আইসোলেশনে না থেকে সেদিন থেকেই সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালিয়ে যাত্রী পরিবহন করেছেন। শুক্রবার (১৯ জুন) পর্যন্ত ।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম যানান- স্বাস্থ্য বিভাগের মাধ্যেমে আমরা অভিযোগ পেয়ে এই ব্যক্তির আইসোলেশন নিশ্চিত করেছি । তার বয়স ৫০ বছর । ঘরে প্রাপ্ত বয়স্ক ছেলেমেয়ে রয়েছে। আমরা জানতে পেরেছি তিনি প্রায় এক সপ্তাহ আগে করোনা পজিটিভ। এটা জানার পরও গতকাল শুক্রবার (১৯ জুন) পর্যন্ত সেলুনে-চায়ের দোকান-ভিন্ন ইউনিয়নে বেড়াতে গিয়েছেন, সি এন জি চালিয়েছেন।
আজ শনিবার (২০ জুন) আমরা তার বাড়ি, সেলুন ও সম্ভাব্য অন্যান্য জায়গায় লকডাউন করেছি। আক্রান্ত এই ব্যক্তির বাড়ির পাশে কাবাডি খেলার জন্য অনেক তরুণদের পেয়েছি। এই রকম দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ আমাদেরকে আহত করেছে। সংক্রমণ আইনে কোন শাস্তি দেওয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন , আমরা সতর্ক করে দিয়ে এসেছি, কোন শান্তি দেওয়া হয়নি। তবে আমরা নজর রাখছি।
সিভিল সার্জন তৌউহীদ আহমেদ বলেন- এই রকম দ্বায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ করোনা বিরুদ্ধে আমাদের যুদ্ধকে কঠিন করে দিচ্ছে। সবার পেছনে পুলিশ বা স্বাস্থ্যবিভাগের কর্মী দেওয়া যাবে না। মানুষ নিজে সচেতন না হলে এ কাজ গুলো বাস্তবায়ন কঠিন। এই রকম ঘটনা যেনো আর না ঘটে তাই প্রশাসনের কঠোর হওয়া প্রয়োজন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০