নাটোরে এক সপ্তাহের ব্যবধানে হঠাৎ করে করোনা সংক্রমনের হার১৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয় ৩০ থেকে ৪৬.৬২ শতাংশে বেড়ে যাওয়ায় মাঠে নামে জেলা প্রশাসন সহ জেলা পুলিশ। শনিবার জেলা প্রশাসনের দুইটি মোবাইল টিম শহরের কানাইখালী, নিচাবাজার ও স্টেশন বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে স্বাস্থ্যবিধি না মানায় ব্যবসায়ী সহ বেশ কয়েক ব্যক্তিকে জরিমানা করে ভ্রাম্যমান আদালত। স্বাস্থ্যবিধি মানতে বাধ্য করতে শহরের বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানসহ জেলা পুলিশ কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে জনসচেতনতা বাড়াতে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার মাঠে নেমে আবারও মানুষের মাঝে মস্ক বিতরণ শুরু করছেন। একই দিন দুপুর ১২ টার দিকে শহরের কেন্দ্রিয় জামে মসজিদ এলাকা সহ ট্রাফিক মোড় এলাকায় জেলা প্রশাসক মোঃ শাহরিয়াজ ও পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা পথচারীদের মাঝে মাস্ক বিতরন করেন।
এছাড়া নাটোর সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) রনি খাতুন এবং সহকারী কমিশনার শরীফ শাওন অভিযান চালিয়ে মাস্ক না থাকায় শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৪টি মামলায় ৯হাজার ৭’শ টাকা জরিমানা করেন।জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ কাজী মিজানুর রহমান করোনা সংক্রমনের হার হঠাৎ করে বৃদ্ধি পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শুক্রবার নাটোরে সবার্ধিক ৪৬ জন মানুষ করোনায় আক্রান্ত হন। এদিন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নাটোরের আবুল কাশেম (৪৮) নামে একজন মারা যান। এনিয়ে শুক্রবার পর্যন্ত জেলায় মোট আক্রান্ত ১৭২৩ জন। মৃত্যু ২৩ জন। সুস্থ্য হয়েছেন ১৪৭৩ জন। বর্তমানে নাটোর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২৬ জন।জনসচেতনতা বাড়াতে মানুষকে মাস্ক পড়ার জন্য বলা হচ্ছে। আক্রান্তদের হোম কোয়ারেন্টাইনে সহ সকলকে ঘরে থাকার জন্য বলা হচ্ছে। জনসচেতনতা বাড়াতে শহরে মাইকিং করা হচ্ছে।পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন, সংক্রমন কমানোর জন্য মানুষকে সচেতন করতে যা যা করা প্রয়োজন তাই করা হবে।জেলা প্রশাসক মোঃ শাহরিয়াজ বলেন, যে হারে মানুষ সংক্রমিত হচ্ছে তা উদ্বেগজনক। মানুষকে ঘরে থাকতে অনুরোধ করা হচ্ছে। সংক্রমিত এলাকায় না যাওয়ার পরামর্শ দেয়া সহ পথচারীদের মাঝে মাস্ক বিতরন করা হচ্ছে। সচেতনতা বাড়ানোসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। সংক্রমন না কমা পর্যন্ত এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।