
শামীম ইকবাল চৌধুরী,নাইক্ষ্যংছড়ি(বান্দরবান)থেকে:
নাইক্ষ্যংছড়ি সদর উপজেলায় কলেজ ছাত্রলীগ নেতা মুমিনুল আলম মুমুর পিতা করোনা পজিটিভ সনাক্ত হয়েছেন।
ছাত্রলীগ নেতার বাবার নাম মাষ্টার মো,ইউনুছ (৫৬) । আর্দশগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক।
সদর উপজেলার পুরাতন বাস স্টেশন এলাকার ইসলামপুর গ্রামের বাসিন্দা।
আর এদিকে, সাহাবুদ্দীন নামে ৩৮ বছর বয়সী এক যুবকের করোনার লক্ষণ বা উপসর্গ দেখা দিয়েছে। তার নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয়েছে কক্সবাজার ল্যাবে।
তাকেও হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
৩০ মে প্রাথমিক ভাবে বিষয়টি ফোনে নিশ্চিত হলেও ৩১ মে দুপুর সাড়ে ৪টায় রিপোর্টের ভিত্তিতে নমুনা ফলাফল পজেটিভ বলে আরো নিশ্চিত করেন নাইক্ষ্যংছড়ি স্বাস্থ্য ও প: প: কর্মকর্তা ডা, আবু জাফর মো,ছলিম।
তিনি বলেন, গত ২৫ মে শাররীক অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালের আউটডোরে চিকিৎসা নিতে আসেন করোনা সনাক্ত হওয়া ওই শিক্ষক। তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে কক্সবাজার সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে পাঠানো হয়। সেই পাঠানো নমুনা পরীক্ষায় ৩০ মে রাত সাড়ে ৯টায় প্রাথমিক ভাবে ফোনে খুজঁ নিতে গিয়ে ফলাফল পজেটিভ জানতে পারলেও আজ ৩১ মে রবিবার ল্যাব থেকে পূনঃরায় পজেটিভের বিষয়টি আরো নিশ্চিত করা হয় রিপোর্টের ভিত্তিতে।
তবে শিক্ষকের পরিবারসহ সংস্পর্শ ব্যাক্তিদেরকে নমুনা সংগ্রহ করার সোয়াব স্টিক সংকট হওয়াতে নমুনা সংগ্রহ করতে পারচ্ছিনা।
সোয়াব স্টিকের চাহিদা দেওয়া হয়েছে।
আর এদিকে স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানান, মো,শাহাবুদ্দীন ৩৮ বছর বয়সী এক যুবকে উপসর্গ দেখা দেওয়াতে তারও নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।
তবে তার রিপোর্টস এখনো আসেনি।
এ হাসপাতালে ২৪৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করে কক্সবাজার ল্যাবে পাঠানো হলেও নমুনা টেস্টের রিপোর্টসেরর ফলাফল আসে ২১৯ জনের। বাকী ২৯ জনের রিপোর্টস এখনো আসেনি তা হলো কন্টাক্ট ট্রেসিং নমুনার রিপোর্টস গুলো।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানাযায়, সহকারি শিক্ষক একজন হার্ট সার্জারি রোগী। গেলো ২৫ রমজানে শাররীক অসুস্থতা দেখা দিলে ঢাকায় চিকিৎসা নেওয়ার জন্য আগেবাকে করোনা টেস্ট করে রিপোর্ট নিয়ে যাওয়ার জন্য স্থানীয় সদর হাসপাতালে নমুনা দেয় সহকারি শিক্ষক মো,ইউনুছ।
সেই নমুনা সংগ্রহের রিপোর্টস পজেটিভ আসাতে এলাকার মানুষের মাঝে ভয় ভীত ছড়িয়ে পড়েছে।
শিক্ষক মো ইউনুছের ছোট ছেলে মুমিনুল আলমের সাথে ফোনে কথা বলে জানা যায়,সহকারি শিক্ষক মো,ইউনুছ পুরো রমজান মাসে স্বাস্থ্য বিধি মেনে ঘরে নামাজ পড়তেন। মাঝে মধ্যে পুরাতন স্টেশনের সড়কে ১৫/২০মিনিট হাটা চলাফেরা করতেন। তবে রিপোর্ট পজেটিভ আসার পর আমাদের মাঝে সন্দেহ জেগেছে বাড়ীর পাশে পুরাতন স্টেশনে তামাক গোডাউন।
তামাক মৌসুমে বাইনকোর্ট করে বিভিন্ন চাষি থেকে তামাক ক্রয় করতেন কোম্পানীরা। সেই ক্রয়কৃত তামাক নিয়ে যেতো বড় বড় গাড়ী দিয়ে ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে। মূলত গাড়ীর ড্রাইভার ছিলো ঢাকা চট্টগ্রামের। সেখান থেকে সংক্রমণের আশংঙ্খা করছেন পরিবারের সদস্যরা।
এদিকে, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন কচি সংবাদকে জানান, করোনা মোকাবেলায় সনাক্ত হওয়া ওই শিক্ষকের বাড়ি সংলগ্ন ১০টি বাড়ি গত রাতেই লকডাউন করা হয়।
রোগীর উপসর্গ ধীরে ধীরে কমে যাওয়াতে হোম কোয়ারেন্টেইনে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
---------------------------
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০