মুহা. ইকবাল আজাদ
গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন সর্বোচ্চ ২৭০৯ জন। মোট নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১৯.৮৭ শতাংশ। পাশাপাশি গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যুবরণ করেছেন চিকিৎসাধীন থাকা সর্বোচ্চ ৩৪ জন আক্রান্তকারী। যাদের মধ্যে পুরুষ ২৯ জন এবং নারী ৫ জন। তাছাড়া গত একদিনে সুস্থ হয়েছেন ১৩৭৩ জন। আজ (শনিবার) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা নিয়মিত অনলাইন প্রেস বুলেটিনে এ কথা জানান।
গতকাল দেশে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৩০৩৪ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছিলেন ৫১ জন করোনা রোগী। পাশাপাশি সুস্থ হয়েছিলেন ১৭৬২ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন মোট ১ লাখ ১০ হাজার ৯৮ জন রোগী।
দেশে এ পর্যন্ত মোট ৭৭টি ল্যাবে নিয়মিত করোনার নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে। শেষ ২৪ ঘন্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে মাত্র ১০৬৩২টি। এ পর্যন্ত মোট ১০১৭৬৭৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
শেষ কয়েকদিনে জ্যামিতিক হারে বেড়ে চলা আক্রান্তকারীর সংখ্যা ইতিমধ্যে ১ লাখ ছাড়িয়েছে। আজকের আক্রান্তসহ মোট রোগীর সংখ্যা ২ লাখ ২ হাজার ৬৬ জন। আক্রান্তদের রোগীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শনাক্ত ২১-৩০ বছর বয়সী তরুণরা। পাশাপাশি মৃত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৫৮১ জনে।
মৃত রোগীদের বয়স বিশ্লেষণে ০-১০ বয়সের ০ জন, ১১-২০ বয়সের ০ জন, ২১-৩০ বয়সের ১ জন, ৩১-৪০ বয়সের ১ জন, ৪১-৫০ বয়সের ১ জন, ৫১-৬০ বয়সের ১৫ জন, ৬১-৭০ বয়সের ৫ জন এবং ৭০ বয়সের অধিক ১১ জন। বয়স অনুসারে সবচেয়ে বেশি মারা গেছেন ৫০ উর্ধ্ব বয়সী রোগী। মোট মৃত রোগীর মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ৭৯.০৪ শতাংশ এবং নারীর সংখ্যা ২১ শতাংশ।
দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সুস্থতার হার ৫৪.৪৯ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১.২৮ শতাংশ। বিভাগ অনুসারে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ঢাকা বিভাগে। মোট আক্রান্তকারীর সিংহভাগ ঢাকা শহরে।
প্রসঙ্গত, গত ৮ই মার্চ বাংলাদেশে প্রথম ৩ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়। ১৮ই মার্চ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে প্রথম মৃত্যু ঘটে। গত একমাস ধরে দেশে করোনায় আক্রান্তকারী এবং মৃত্যুর সংখ্যা যেন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে।