মো. সাইফুল ইসলাম,ভোলা প্রতিনিধি::
বিশ্বে এক মহা আতঙ্ক এখন করোনা ভাইরাস।চীন থেকে ছড়িয়ে পরা এই ভাইরাস ইতিমধ্যে আক্রান্তের দিক দিয়ে চীনকে টপকে সামনে এগিয়ে বাংলাদেশ।
দক্ষিণাঞ্চলের জেলা ভোলায় ইতোমধ্যে সর্বশেষ ১৭জন সহ মোট আক্রান্ত দাড়িয়েছে ১৭৬জনে।
গত ১৮ই জুন বৃহস্পতিবার অপরাহ্নে এই তথ্য নিশ্চিত করেন ভোলা সিভিল সার্জন রতন কুমার ঢালী।
সর্বশেষ আক্রান্তদের মধ্যে রয়ছে ভোলা সদরে রয়েছে ১৪ জন,বোরহানউদ্দিন উপজেলায় ২জন এবং দৌলতখান উপজেলায় ১জন।
জেলায় মোট আক্রান্তের মধ্যে ৮০ জনই ভোলা সদরের এবং ৩জন ব্যাংক কর্মকর্তা রয়েছে।
সিভিল সার্জন কার্যালয় তথ্যানুযায়ী;ভোলায় এ পর্যন্ত ১৭৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৪৩ জন।।ভোলা সদর উপজেলায় করোনায় আক্রান্ত ৮০ জনের মধ্যে সুস্থ ২৩ জন। দৌলতখানে আক্রান্ত ১৮জনের মধ্যে সুস্থ ২ জন। বোরহানউদ্দিনে আক্রান্ত ২৩জনের মধ্যে সুস্থ ৩ জন। লালমোহনে আক্রান্ত ১৮ জনের মধ্যে সুস্থ ২ জন। চরফ্যাশনে আক্রান্ত ২৪ জনের মধ্যে সুস্থ ৪, মনপুরা উপজেলায় আক্রান্ত ৯ জনের মধ্যে সুস্থ ৭ এবং তজুমদ্দিন উপজেলায় আক্রান্ত ৪ জনের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ২ জন। আক্রান্তরা নিজ নিজ উপজেলা হাসপাতালের চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে হোম আইসোলেশনে আছেন। এছাড়াও করোনা আক্রান্ত হয়ে লালমোহন, চরফ্যাশন ও মনপুরায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে ভোলায় করোনা সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় ভোলা জেলার ৫টি উপজেলার ৪৩টি এলাকাকে রেডজোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব এলাকা যে কোন সময় লডকডাউন করা হতে পারে। এরই মধ্যে করোনা সংক্রমিত এসব এলাকাগুলোর তালিকা তৈরী করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সুত্র নিশ্চিত করেছে।
রেডজোন হতে পারে এমন এলাগুলো হচ্ছে, ভোলা পৌর এলাকার ৯টি ওয়ার্ডসহ বাপ্তা, শিবপুর, আলীনগর ও উত্তর দিঘলদী কিছু পয়েন্ট। দৌলতখান পৌর এলাকার ২,৪ নং ওয়ার্ড ও জয়নগর ইউনিয়নের একটা অংশ। বোরহানউদ্দিন উপজেলার ৭টি ওয়ার্ড ও গঙ্গাপুর ইউনিয়নের একটি অংশ। লালমোহন পৌর২,৪,৫ ও ৭নং ওয়ার্ডসহ কালমা ইউনিয়নের একটি অংশ ও চরফ্যাশন উপজেলার পৌর ২, ২, ৩, ৪, ৫, ৬ ও ৯নং ওয়ার্ডসহ আমিনাবাদ, আব্দুল্লাহপুর ও আবুবকরপুর এলাকার একটি অংশ।
জেলা সিভিল সার্জন কর্তৃক তথ্যানুযায়ী ভোলায় করোনা সংক্রমন হঠাৎ করে বেগে যাওয়ায় আমরা রেডজোনের তালিকা তৈরী করে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ে পাঠিয়েছে, সেখান থেকে অনুমোদন এলে রেডজোন ঘোষনা করে লকডাউক করা হবে।
তবে ভোলায় পিসিআর ল্যাব স্থাপনের কাজ শেষ হলেও উদ্বোধনের আশায় এখনো কাজ শুরু করা হয়নি।যদি ল্যাব চালু করা হয় তবে নমুনা পরীক্ষার জন্য ভোগান্তি পোহাতে হবেনা ভোলাবাসীর।আর দ্রুত তথ্য প্রদানে সক্ষম হলে ভাইরাস আক্রান্তের হাত থেকে হয়ত সচেতন হতে পারবে।