ডি এইচ মনসুর, চট্টগ্রাম :
চট্টগ্রামে জুলাই মাসে ভয়ঙ্কর ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোগী আক্রান্তের হওয়ার পর আগস্ট মাসে এসে আরও একজন রোগী শনাক্ত হয়েছে৷ আগের ৬০ উর্ধ্ব নারীর পর এবার ৪০ উর্ধ্ব পুরষ রোগীর
শরীরে ধরা পড়ে।
বিগত ৬ আগস্ট থেকে এ রোগী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। চট্রগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার বাসিন্দা ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ী এ রোগী করোনার দুই ডোজ টিকাও দিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সুযত পাল বলেন, চোখ ও দাঁতের ব্যাথা নিয়ে ভুগতে থাকা ওই ব্যক্তির ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের লক্ষণ ধরা পড়ে। পরে ৫ আগস্ট পরীক্ষার রিপোর্টে তা শনাক্ত হয়। তিনি ৬ আগস্ট থেকে মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসাধীন। তার চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
রোগীর পরিবারের সদস্যরা জানান, এ রোগের প্রধান ওষুধ ইনজেকশন অ্যামফোটেরিসিন-বি। তবে এই ইনজেকশনের দাম যেমন আকাশ ছোঁয়া তেমনি অপ্রতুলও। ফলে রোগীর চিকিৎসায় হিমসিম খেতে হচ্ছে। এরআগে শনাক্ত হওয়া রোগীর জন্য ইনজেকশন জোগাড় করতেও হিমসিম খেতে হয়েছিল তার স্বজনদের। এই রোগীর জন্য প্রতিদিন ৬ ভায়াল করে ১৪ দিন অ্যামফোটেরিসিন-বি ইনজেকশনটি দিতে হবে। যার প্রতি ভায়ালের মূল্য ১৫ হাজার টাকা করে হলে দিনেই ব্যয় ৮৪ হাজার টাকা। তাও এই ইনজেকশন আনতে হয় ইন্ডিয়া থেকে। এছাড়া অন্যান্য চিকিৎসা ব্যয়তো আছেই।
চিকিৎসকদের মতে, ব্ল্যাকফাঙ্গাসের চিকিৎসা মূলত নির্ভর করে সংক্রমণের ওপর। সেজন্য কিছু ওষুধ আছে, আবার তীব্রতা বেশি হলে ইনজেকশন প্রয়োগ হয়। এই চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধের দাম বেশি হওয়ায় এবং রোগীর নিবিড় পর্যবেক্ষণের প্রয়োজন হয়। যার ফলে এই চিকিৎসা অত্যান্ত ব্যয়বহুল।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০