বোয়ালখালী সংবাদদাতা :
বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারীর কারণে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। বাংলাদেশেও করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এদিকে, দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়া ও পটিয়া উপজেলার পর বোয়ালখালী উপজেলায় প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রামে আক্রান্ত ১১ জনের মধ্যে ১ জনের বাড়ি বোয়ালখালী। বিষয়টি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ হওয়ার পর তাৎক্ষণিক বোয়ালখালী উপজেলা প্রশাসনের একটি টিম আক্রান্তের বাড়িতে ছুটে যান। প্রশাসনের টিম আক্রান্ত ব্যক্তিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্সে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছেন বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
উপজেলা প্রশাসনের ফেসবুক আইডি সূত্রে জানা গেছে, বোয়ালখালী উপজেলার ৫নং সারোয়াতলী ইউনিয়নের পূর্ব খিতাপচর এলাকার অধিবাসী ৭০ বছর বয়স্ক জনৈক ব্যক্তির কোভিট-১৯ পজিটিভ আসার প্রেক্ষিতে ওই ব্যক্তিকে গতকাল মঙ্গলবার রাত আনুমানিক আড়াইটায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এ্যাম্বুলেন্সযোগে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
এছাড়া আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়িসহ আশেপাশের আনুমানিক ২০টি বাড়ি লকডাউন করার ঘোষণা দেয়া হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আছিয়া খাতুন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী, বোয়ালখালী থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল করিম, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার প্রতিনিধি ড. কৌশিক জামান ও সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার।
এদিকে, উপজেলা প্রশাসন সূত্রে আরো জানা গেছে, আক্রান্ত ব্যক্তি বোয়ালখালী উপজেলায় করোনা আক্রান্ত প্রথম ব্যক্তি। তার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, তিনি বেশ কিছুদিন যাবৎ জ্বর, সর্দি-কাশিতে ভুগছিলেন। তিনি চট্টগ্রাম নগরীর ম্যাক্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন এবং গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাড়ি আসেন। উক্ত ব্যক্তি ও তার পরিবারের সদস্যদের যাতায়াতের স্থানসহ তারা কাদের সংস্পর্শে এসেছেন সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করছে উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি।
এদিকে, বোয়ালখালীতে করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে কাজ করে যাচ্ছে বোয়ালখালী উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আছিয়া খাতুন ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোজাম্মেল হক চৌধুরী প্রতিদিন বোয়ালখালীর বিভিন্ন এলাকায় ছুটছেন। প্রশাসনকে সহায়তা করছে সেনাবাহিনী ও বোয়ালখালী পুলিশ প্রশাসন। লোকজনকে ঘরে থাকার পরামর্শের পাশাপাশি যেকোন প্রয়োজনে ইউনিয়ন করোনা প্রতিরোধ কমিটি অথবা উপজেলা প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের জন্য জনসাধারণকে আহবান জানানো হয়েছে।