রবিউল হাসান,স্টাফ রিপোর্টার(চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় করোনা সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ১৩ ই জুন একদিনেই আক্রান্ত হয়েছে ৩৭ জন। ৭ থেকে ১৪ই জুন গত এক সপ্তাহে সর্বশেষ তথ্যমতে এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করানো হয়েছে ২৩৬ জনের এবং যার মধ্যে সর্বমোট আক্রান্ত হয়েছে ১৩১ জন।
ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ফটিকছড়ি কোভিড-১৯ প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি জনাব,সায়েদুল আরেফিন মন্ত্রী পরিষদ কর্তৃক জারিকৃত বিধিনিষেধ পালনের কঠোর নির্দেশনা প্রদান করেন। অন্যথায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ এবং শাস্তির আওতায় আনার ও ঘোষণা দেন।
জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে গতকাল সোমবার ফটিকছড়ির প্রধান প্রধান সড়কগুলোতে মাইকিং করা হয়।এবং বলা হয় সকল ধরনের সামাজিক আচার অনুষ্ঠান এবং গণজমায়েত নিষিদ্ধ। সকল রেস্তোরা ও খাবারের দোকান সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যবিধি মেনে আসন সংখ্যার অর্ধেক গ্রাহক ধারণ করবে।সকাল নয়টা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত দোকানপাট খোলা থাকতে পারবে।সকল গণপরিবহন আসন সংখ্যার অর্ধেক যাত্রী ধারণ করবে,তবে বাধ্যতামূলক স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে এবং মাস্ক পরিধান করতে হবে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি অফ বায়োলজিক্যাল সাইন্সের তত্ত্বাবধানে কোভিড-১৯ টেস্টিং ল্যাবরেটরির তথ্যমতে বিগত এক সপ্তাহে ফটিকছড়ি উপজেলায় করোনা আক্রান্তের পরিসখ্যানটি হলোঃ
০৭/০৬/২০২১-নমুনা সংগ্রহ ১২ জন পজিটিভ ০৬ জন
০৮/০৬/২০২১-নমুনা সংগ্রহ ২১ জন পজিটিভ ১৩ জন
০৯/০৬/২০২১-নমুনা সংগ্রহ ৩৫ জন পজিটিভ ১৮ জন
১০/০৬/২০২১-নমুনা সংগ্রহ ২৭ জন পজিটিভ ০৬ জন
১১/০৬/২০২১-নমুনা সংগ্রহ ৫৪ জন পজিটিভ ২৮ জন
১৩/০৬/২০২১-নমুনা সংগ্রহ ৫৮ জন পজিটিভ ৩৭ জন
১৪/০৬/২০২১-নমুনা সংগ্রহ ২৯ জন পজিটিভ ২৩ জন।
ফটিকছড়ি পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব মুহাম্মদ ইসমাইল হোসেন তার ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে জানান,কোভিড ১৯ পরিস্থিতির গত এক সপ্তাহের পরিসংখ্যানে চট্টগ্রাম জেলায় ফটিকছড়ি উপজেলা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। আমরা বিপদ সীমার অনেক বাহিরে চলে আসছি (অনেকটা ১০ নাম্বার মহা বিপদ সংকেত বলা যায়)
মাস্ক পরিধান করুন,স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণ করুন,নাহয় কঠিন পরিনতির জন্য অপেক্ষা করুন।
আল্লাহ করোনা ভাইরাস সহ যাবতীয় মহামারী হতে আমাদের হেফাজত করুন।করোনা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে জনসচেতনতার কোন বিকল্প নাই।জরুরি প্রয়োজনে ঘরের বাইরে গেলে অবশ্যই মাস্ক ও সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০