ঢাকাবুধবার , ১২ মার্চ ২০২৫
  1. সর্বশেষ

ড্রাগ আগ্রাস‌নের কব‌লে তরুণ প্রজন্ম (শেষ পর্ব)

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
৪ জুলাই ২০২৪, ৫:০৫ অপরাহ্ণ

Link Copied!

* কিভাবে বুঝবেন আপনার সন্তান মাদকাসক্ত?

মাদকাসক্তি নিমূলের আগে জানতে হবে, মাদকাসক্তির লক্ষণ গুলি কি কি? কেউ মাদক গ্রহন করলে তার লক্ষণ কিভাবে অনুধাবন করা যায়, তা জানা একান্ত দরকার।

# আচরনগত পরিবর্তন ঃ

১. হঠাৎ করেই স্বাভাবিক আচরণে পরিবর্তন আসতে পারে। অন্যমনস্ক থাকা, একা থাকতে পছন্দ করা।

২. অস্থিরতা প্রকাশ, চিৎকার, বেঁচামেচি করা।

৩. অসময়ে ঘুমানো, ঝিমানো কিংবা হঠাৎ চুপ হয়ে যাওয়া।

৪. কারণে-অকারণে খারাপ ব্যবহার করা। অসংলগ্ন ও অস্পষ্ট কথাবার্তা বলা।

৫. কোথায় যায়, কার সঙ্গে থাকে=এসব বিষয়ে জানতে চাইলে বিরক্ত হওয়া, গোপন করা তিংবা মিথ্যা বলা।

৬. ঘর অন্ধকার করে জোরে মিউজিক শোনা।

নির্জন স্থানে, বিশেষত বাথরুপে বা টয়লেটে আগের চেয়ে বেশি সময় কাটানো।

৭. রাত করে বাড়ি ফেরা, রাত জাগা, দেরিতে ঘুম থেকে ওঠা।

৮. হঠাৎ নতুন অপরিচিত বন্ধু বান্ধবের সঙ্গে বেশি মেলামেশা করা।

৯. বিভিন্ন অজুহাতে ঘন ঘন টাকা পয়সা চাওয়া।

১০. স্বাভাবিক খাওয়া দাওয়া কমিয়ে দেওয়া।

১১. অভিভাবক এবং পরিচিত জনদের এড়িয়ে চলা।

১২. স্বাভাবিক বিনোদন মাধ্যমে ক্রমশ আগ্রহ হারিয়ে ফেলা।

১৩. বাড়ির বিভিন্ন জায়গা থেকে ক্রমাগত টাকা পয়সা ও মূল্যবান জিনিসপত্র হারিয়ে যাওয়া।

১৪. ঋন করার প্রবনতা বেড়ে যাওয়া।

# মাদক আগ্রাসন প্রতিরোধে করনীয় ঃ-

মাদকদ্রব্য চিরকালই ছিল মানব সভ্যতায়। প্রানের মদ যখন ফুরিয়ে গেল তখনই শুরু হয়েছিল ড্রাগের কাড়াকাড়ি। তাই মাদক দ্রব্যকে একেবারে নির্মূল করা কখনও সম্ভব নয়। প্রয়োজন কঠোর হস্তে প্রতিরোধের। থাইল্যান্ডের মতো দেশে নীল মাদক ইয়াবা দমনের জন্য ৩ হাজার ব্যবসায়ীকে ক্রসফায়ারের মতো নির্মম আইন প্রয়োগ করতে হয়েছিল।

* মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর যুদ্ধ ঘোষনা করতে হবে। সর্ব্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে মাদক নির্মূলের প্রতি। সে ক্ষেত্রে কোন ছাড় সহ্য করা হবে না। মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনার জন্য একটি বিশেষ বাহিনী তৈরি করতে হবে। মাদক নির্মূলের জন্য মাদক ব্যবসায়ীদের ফিরে আসার আল্টিমেটাম দিতে হবে,না মানলে ক্রসফায়ারের নির্দেশ দিয়ে তা কঠোর হস্তে বাস্তবায়ন করতে হবে। বন্ধ করতে হবে মাদকের রাজনৈতিক পৃষ্টপোষকতা। মাদককে জাতীয় শক্রু ঘোষনা দিতে হবে।

* সৎ যোগ্য ও অন্যায়ের প্রতি আপোষহীন ব্যক্তিদের দিয়ে মাদক নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর পূর্ণগঠন করতে হবে। জেলা ভিত্তিক মাদক নিয়ন্ত্রন কমিটি গুলোকে পূর্নগঠন করে ঢেলে সাজাতে হবে। সেক্ষেত্রে রাজনৈতিক মনোনয়ন বাদ দিয়ে মাদকের বিরুদ্ধে আপোষহীন ব্যক্তিদের দিয়ে কমিটি করতে হবে। কমিটি গুলোকে সর্বদা সচল রাখতে হবে। মাদকমুক্ত শিক্ষাঙ্গন তৈরির জন্য প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাদক নির্মূল কমিটি গঠন করে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।

* সকল ধরণের মাদক দ্রব্য নিষিদ্ধ করতে হবে। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে এব্যাপারে হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে।

* মাদকসক্তদের অন্যতম প্রধান কারণ বেকারত্ব,তাই বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

* মা বাবার স্নেহ মমতা দিয়ে পরিবার গুলোকে শান্তির আখঁড়ায় পরিনত করতে হবে। এছাড়া মাদকের ভয়াবহভাবে ব্যাপারে জনসাধারণের সচেতন করতে হবে। এবং শিক্ষা ব্যবস্থাকে নৈতিক মানদন্ডে সাজাতে হবে। তৃতীয় বিশ্বের গরীব দেশগুলোর জন্য ক্ষুধা ও দারিদ্রতার পাশে মাদকাসক্ত এক মারাত্মক অভিশাপে পরিনত হয়েছে। বাংলাদেশে তা মহামারী আকার না নিলেও পার্শ্ববর্তী ও সাম্প্রতিক রির্পোগুলোর আলোকে তা দেশে এক মারাত্মক অবস্থা সৃষ্টি করতে পারে। তাই জনগনের সহজ সরল মন ও সুস্থ মন ও উন্নত নৈতিক চরিত্রের আলোক শিখা দিয়ে মাদকের ধ্বংস সাধন করে একটি সুন্দর সোনার বাংলা গড়ার জন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
ছানাউল্লাহ
সাংবা‌দিক ও কলা‌মিস্ট

486 Views

আরও পড়ুন

চিরিংগা ইউনিয়ন পরিষদের নবনিযুক্ত প্রশাসককে বরণ করলেন ইউনিয়ন জামায়াত

শান্তিগঞ্জে প্রবাসবন্ধু ফোরামের ত্রৈমাসিক সভা

বাংলাদেশ-কোরিয়ান টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারের সাথে মেমোরেন্ডাম অব আন্ডারস্ট্যান্ডিং চুক্তি স্বাক্ষরিত

সুনামগঞ্জ সাহিত্য সংসদ গণপাঠাগার হতে শেখ একেএম জাকারিয়াকে অব্যাহতি

মাদারগঞ্জে চকলেটের লোভ দেখিয়ে ৪ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কলারোয়া উপজেলা শাখার উদ্যোগে রমজান ও যাকাতের গুরুত্ব শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

জেলা কারাগার ডান্ডাবেরীর বাণিজ্য চরমে
জেলার আবু মুছার হাতে বন্দি কক্সবাজার জেলা কারাগার, বন্দিদের জীবন দুর্বিষহ!

কবিতা:- ছোবল

রংপুরে হত্যা মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

পর্যটন নগরীর নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশের কঠোর নজরদারি, ফিরছে পর্যটকদের আস্থা

ছাতকে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে মসজিদের ইমাম আটক

তা’মীরুল মিল্লাতে দাখিল ২৪ ও আলিম ২৬ ব্যাচের ‘ইনতিফাদা ইফতার মাহফিল’ অনুষ্ঠিত