মোহাম্মদ মন্জুরুল আলম চৌধুরী।
অতিমারি করোনাভাইরাসের আক্রান্ত এবং মৃত্যুর ভয়াবহতা যেন এখন ডেঙ্গুর ওপর ভর করেছে। মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ বৃদ্ধির কারণে আক্রান্ত এবং মৃত্যু ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এক তথ্য থেকে জানা যায়, দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি সবচেয়ে ভয়াবহ ছিল ২০১৯ সালে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রাক্-বর্ষা জরিপের তথ্য বলছে, এবারের পরিস্থিতি ২০১৯ সালের চেয়েও কয়েক গুণ খারাপ। গত পাঁচ বছরের মধ্যে এবার ডেঙ্গু জ্বরের বাহক এডিস মশার ঘনত্ব এবং সম্ভাব্য প্রজননস্থলের সংখ্যা সর্বোচ্চ। পাশাপাশি “দিন দিন ডেঙ্গুর ভয়াবহতা বেড়েই চলেছে চট্টগ্রামে। প্রকোপ শুরু হতে না হতেই ডেঙ্গুতে একের পর এক মৃত্যুর ঘটনা উদ্বেগও বাড়াচ্ছে। চলতি বছর চট্টগ্রামে এখন পর্যন্ত মোট ১২ জন ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এর মাঝে তিন জনের মৃত্যু হয় জানুয়ারিতে। ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে জুন মাসে (১৪ জুন থেকে ৩০ জুনের ম ধ্যে)। আর তিন জনের মৃত্যু হয়েছে চলতি জুলাইয়ের প্রথম চার দিনে। মৃতের তালিকায় শিশু থেকে শুরু করে কিশোর, তরুণ, মধ্যবয়সী ও বৃদ্ধ কেউ বাদ নেই। তবে আক্রান্তদের মাঝে শিশুদের মৃত্যুর হার তুলনামূলক বেশি”{সূত্রঃ দৈ/ আজাদী, ৬ জুলাই’২৩}।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শেষ ২৪ ঘণ্টায় (৫ জুলাই’২৩) চট্টগ্রামে আরও ৪৮ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে চলতি মৌসুমে চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৬১ জনে। গতকাল পর্যন্ত বিভিন্ন হাসপাতালে ১২৬ জন রোগী চিকিৎসাধীন বলেও জানিয়েছে সিভিল সার্জন কার্যালয়। এর মাঝে চমেক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৩৬ জন। চিকিৎসকদের মতে ডেঙ্গুর লক্ষণ হচ্ছে, তীব্র জ্বর (যা টানা ৪/৫ দিন অথবা একবার কমে আবারো আসতে পারে), বমি বমি ভাব, পেট ব্যথা, মাথা ব্যথা ও শরীরে বিভিন্ন জায়গায় লালচে দাগ বা র্যাশ দেখা দিতে পারে। জ্বরের প্রথম তিন দিনের মধ্যে অবশ্যই ডেঙ্গু (এনএস–ওয়ান) টেস্ট করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। তাঁরা আরও বলেন পরীক্ষায় ডেঙ্গু ধরা পড়লেও সাথে সাথে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন পড়ে না। তবে কিছু অ্যালার্মিং উপসর্গ দেখা দিলে রোগীকে অবশ্যই হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে। অ্যালার্মিং উপসর্গের মধ্যে রয়েছে– তীব্র জ্বরের সাথে পেট ব্যথা, বমি, রক্তচাপ কমে যাওয়া, শরীরে বিভিন্ন জায়গায় লালচে দাগ বা র্যাশ, প্রস্রাব–পায়খানায় বা অন্য কোন ভাবে রক্ত যাওয়া। এসব অ্যালার্মিং উপসর্গ থাকলে রোগীকে অবশ্যই দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে। পরিতাপের বিষয়, বেশ কিছুদিন জ্বরে ভুগলেও ডেঙ্গুসহ কোন টেস্ট না করে রোগীকে বাসায় রাখা হচ্ছে। পরবর্তীতে রোগীর অবস্থা খুব খারাপ হলে তখন রোগীকে হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, শুধু দেরি করার কারণেই এবং শুরু থেকে যথাযথ চিকিৎসা না পাওয়ায় অনেক রোগীর মৃত্যু হচ্ছে। সারাদেশে বেশির ভাগ রোগীর ক্ষেত্রে আমরা এরকম ঘটনাই ঘটতে দেখছি। পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও ডেঙ্গুর প্রকোপ যে নেই তা নয়। কিন্তু সেখানে মৃত্যুর হার খুবই কম। আমাদের দেশে শুধু দেরি করার কারণেই এবং শুরু থেকে যথাযথ চিকিৎসা না পাওয়ায় অনেক বেশি রোগীর মৃত্যু হচ্ছে। দেশে মৃত্যুর হার বাড়ার জন্য মানুষের অসচেতনতাও দায়ী। পাশাপাশি ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশুর মৃত্যুর কারণ হিসেবে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের শিশু স্বাস্থ্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সনত কুমার বড়ুয়া বলছেন, বিভিন্ন জটিলতা দেখা দিলেও ঠিকমতো বলতে না পারায় আক্রান্ত শিশুদের অবস্থা দ্রুত খারাপের দিকে যায়। দেরি হয়ে গেলে আর রিকভার করা সম্ভব হয় না বলে শিশুর অকালে মৃত্যু হচ্ছে।
পাশাপাশি “চলতি বছর গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত ডেঙ্গু জ্বরে ৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত ৯ হাজার ৮৭১ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় (গত সোমবার সকাল আটটা থেকে গতকাল সকাল আটটা পর্যন্ত) চলতি বছরে এক দিনে ডেঙ্গুতে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা ছিল সর্বোচ্চ। এই সময়ে মারা গেছেন পাঁচজন। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬৭৮ জন। দেশে কোনো বছরের প্রথম ছয় মাসে ডেঙ্গুর এমন ভয়াবহ রূপ আর কখনো দেখা যায়নি। ২০১৯ সালে প্রথম ছয় মাসে মারা গিয়েছিলেন ৮ জন। আক্রান্ত হয়েছিলেন ২ হাজার ২০৮ জন” {সূত্রঃ প্র/ আলো, ৬ জুলাই’২৩}
সাধারণত গ্রীষ্ম-প্রধান দেশে ডেঙ্গু এবং ডেঙ্গু জ্বর একটি অত্যন্ত সাধারণ ভেক্টর-বাহিত ভাইরাসঘটিত রোগ। ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী এডিস মশার মাধ্যমে মানুষ ডেংগুতে আক্রান্ত হয়ে থাকে। এডিস মশা সাধারণত পরিষ্কার পানিতে বংশ বিস্তার করে। সাধারণত ১৯টি জায়গায় এডিস মশা বেশি বসবাস করে থাকে বলে জানিয়েছেন ভি নাগপাল নামক একজন কৃটপতঙ্গ বিশেষজ্ঞ। এগুলো হলো- পুরনো টায়ার, লন্ড্রি ট্যাংক, ঢাকনাবিহীন চৌবাচ্চা, ড্রাম বা ব্যারেল, অন্যান্য জলাধার, পোষা প্রাণীর পাত্র, নির্মাণাধীন ভবনের ব্লক, ফেলে রাখা বোতল ও টিনের ক্যান, গাছের ফোকর ও বাঁশ, দেয়ালে ঝুলে থাকা বোতল, পুরনো জুতা, ফুলের টব, পরিত্যক্ত খেলনা, ছাদে, অঙ্কুরোদগম উদ্ভিদ, বাগান পরিচর্যার জিনিসপত্র, ইটের গর্ত ও অপরিচ্ছন্ন সুইমিং পুলে এডিস মশা জন্ম নেয়। এ কারণে অফিস, ঘর এবং এর আশেপাশে যেন পানি না জমে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কোথাও পানি জমা থাকলে ২-৩ দিন পর পর তা পরিবর্তন করুন। অনেক সময় ফুলের টবে, এসি বা ফ্রিজের নিচের মতো স্থানে পানি জমে থাকে, ডেঙ্গুর মৌসুমে এসব স্থান পরিষ্কার রাখা খুবই জরুরী। প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী লক্ষ লক্ষ ডেঙ্গু সংক্রমণ ঘটে। সময় এবং অঞ্চল-বিশেষে এই রোগ মহামারির আকারও ধারণ করে। বিনা চিকিৎসায়, ভুল চিকিৎসায়, এবং দেরিতে চিকিৎসার জন্য অনেক ক্ষেত্রেই রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হয়। এক তথ্য থ্যেকে জানা যায়, ডেঙ্গুতে সাধারণত বেশি ঝুঁকিতে থাকেন ১ বছরের কম এবং ৬৫ বছরের উপরে যাদের বয়স। এছাড়া গর্ভবতী নারী, যাদের ওজন বেশি, যারা ডায়াবেটিসে ভুগছেন, যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আছে, যারা হার্টের সমস্যায় আক্রান্ত কিংবা যাদের নিয়মিত ডায়ালাইসিস করতে হয়, তাদেরকে ডেঙ্গু সংক্রমণের শুরু থেকেই হাসপাতালে থাকার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। এদিকে চট্টগ্রামে ডেঙ্গুর জীবাণুবাহি এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ৮ ভবনের মালিককে ৪৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের(চসিক) ভ্রাম্যমাণ আদালত বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) নগরের উত্তর খুলশী এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করেন। বাসাবাড়ি, নির্মাণাধীন স্থাপনা, খালি জমিতেও উদ্বেগজনক হারে লার্ভা পাওয়া গেছে। পাশাপাশি প্লাস্টিকের ড্রাম, মগ, টায়ার ও সিমেন্টের পানির ট্যাংকেও লার্ভার উপস্থিতি মিলেছে। এই বছর দেরিতে বর্ষা এসেছে, দেরিতে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ডেঙ্গুর মৌসুম গত বছরের মতো দীর্ঘ হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
এতদিন প্রচলিত ধারণা ছিল এই মশাটি মূলত দিনের বেলা কামড়ায়। কিন্তু সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, এই মশাটি শুধু দিনে নয় বরং রাতেও কামড়ায়। বুঝা যায় মশাটির আচরণে পরিবর্তন ঘটেছে যা জনস্বাস্থ্যের জন্য ভয়াবহ আশঙ্কার কারণ। “সাম্প্রতিক কালে বর্ষা মৌসুম শুরুর সাথে সাথে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকায় এইডিস মশা বাহিত ডেঙ্গু রোগ ও রোগীর সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা গত বছরের তুলনায় অত্যন্ত আশঙ্কাজনক।” উদ্ভূত পরিস্থিতিতে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জনের পক্ষ থেকে পরিস্থিতি জানিয়ে সিটি মেয়রকে দেওয়া চিঠিতে ‘জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও মশা নিধনে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের’ অনুরোধ করা হয়েছে। দুঃখের বিষয়, জরিপ না থাকায় নগরী ও জেলার কোথায় কোথায় ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য আপাতত কারো কাছেই নেই। গত মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই চট্টগ্রামে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে থাকায় চট্টগ্রামে এবং এর বাইরে প্রাণহানি ঘটছে। ২০২২ সালের শেষ চার মাসে চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে ডায়রিয়া এবং কাশির মত উপসর্গ ছিল। পাশাপাশি রক্তের অনুচক্রিকা খুব দ্রুত কমে যাওয়া এবং তা বেশিদিন ধরে কমই থাকার প্রবণতা ছিল। যদিও জ্বর, ব্যথা, গায়ে র্যাশ ওঠা, রক্তচাপ কম থাকা ও ফুসফুসে পানি আসা ডেঙ্গুর সাধারণ উপসর্গ। চলতি বছর আক্রান্তদের বিষয়ে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য থেকে জানা যায়, ডেঙ্গুতে মৃতদের মধ্যে বেশিরভাগ হাসপাতালে ভর্তির এক থেকে তিনদিনের মধ্যে মারা গেছেন। চট্টগ্রাম জেলার কীটতত্ত্ববিদ এনতেজার ফেরদাওছ জানান, “প্রতি বছর কেন্দ্রীয়ভাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দলের সাথে আমরা মশক জরিপের কাজ করে থাকি। এবার এখনও তা হয়নি। বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক মহোদয় নির্দেশনা দিয়েছেন, রবিবার (০৯ জুলাই) থেকে আমরা সার্ভের কাজ শুরু করব”। তারপরেই নগরীতে ডেঙ্গুর ‘হটস্পট’ এবং মশার ঘনত্ব সম্পর্কে জানা যাবে। চলতি বছর বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ৬৮৭ জন। আক্রান্তদের মধ্যে নগরীর বাসিন্দা ৪৭৮ জন এবং উপজেলা গুলোর বাসিন্দা ২০৯ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ৩৫৪ জন পুরুষ, ১৭২ জন মহিলা ও ১৬১ জন শিশু।
পত্রিকায় প্রকাশিত এক খবর থেকে জানা যায়, চসিকের ‘ক্রাশ প্রোগ্রাম’ কেবল আনুষ্ঠানিকতায় সীমাবদ্ধ কীনা সে প্রশ্ন তুলেছেন নগরবাসী। কেননা মশক নিধনে গত মাসে (জুন) আনুষ্ঠানিকভাবে নগরে দুই দফা ‘ক্রাশ প্রোগ্রাম’ শুরু করে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। সর্বশেষ শুরু হওয়া ১০০ দিনের কর্মসূচির মধ্যে ১৪দিন পেরিয়ে গেলেও নিয়ন্ত্রণে আসছে না মশা। বরং বেড়েইে চলেছে মশার উপদ্রব। এমনকি এ সময়ে ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী এডিস মশার উৎপাত বেড়েছে আশঙ্কাজনকভাবে। যা ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত ও মৃত্যুর হার বৃদ্ধি প্রমাণ করে। পাশাপাশি আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত ও জাতীয় গাইড লাইন মেনেও কীটনাশক না ছিটানোর অভিযোগ আছে চসিকের বিরুদ্ধে। তবে চসিকের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের দাবি প্রতিদিন ৪২ থেকে ৫০ জন স্প্রে–ম্যান ক্রাশ প্রোগ্রামের আওতায় ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কীটনাশক ছিটাচ্ছেন। এরপরও ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধির জন্য মানুষের অসচেতনতাকে দায়ী করে তারা বলছেন, কীটনাশক ছিটানো হয় বাইরে, বাসা–বাড়ির ভেতর না। তাই এডিস মশার জন্মের জন্য উপযুক্ত স্থান বাসার ছাদবাগান ও আঙিনা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকেই পরিষ্কার করতে হবে। নগর এবং এলাকাবসীদেরকে তাঁদের বাড়ির আঙ্গিনা নালা নর্দমা ছাদসহ যেসব স্থানে ডেঙ্গুর লার্ভা উৎপত্তি হয় সেসব স্থান পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য অবশ্যই সচেতন হওয়া জরুরী। শুধু তাই নয় প্রতিবেশীদের প্রতিও বিশেষ নজর রাখা এবং সতর্ক করা উচিৎ। সকলের আন্তরিক এবং ঐকান্তিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে ডেঙ্গুর প্রকোপ রোধে সমন্বয় সাধন করে নিরলসভাবে কাজ করতে হবে। সকলের মনে রাখা উচিৎ পরিস্থিতির অবনতি ঘটে তা যেন মহামারীর আকার ধারণ না করে। কেননা কীটতত্ববিদেরা হুঁশিয়ার করেছেন, এই মুহূর্তে সিটি কর্পোরেশনের প্রতিদিন মাশার ঔষধ ছিটানোর কোনো বিকল্প নেই।
লেখক :
মোহাম্মদ মন্জুরুল আলম চৌধুরী।
গুরা মিয়া চৌধুরী লেইন,দেওয়ান বাজার, চট্টগ্রাম।