পবিত্র মাহে রমজানের শেষে মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে সবচাইতে বড় খুশির বার্তা নিয়ে ধনী গরীব সকলের ঘরে ফিরে আসে মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে আনন্দের বন্যা নিয়ে আসে ঈদুল ফিতর।
কিন্তু মহামারী করোনার জন্য এই বছরের ঈদ যেনো আকাশের মেঘের যতো।কিছুটা কালো অন্ধকার।যেনো মেঘ বৃষ্টির খেলা।এর মধ্যে রয়েছে হাজার হাজার পথশিশুদের ঈদের আহাযারী।নেই একমুঠো ভাতের ব্যবস্থা, নেই একটি নতুন জামা তবুও ঈদ বলে কথা।পথশিশুরা ও জানে ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে আনন্দ। কিন্তু যাদের ঘর নেই, বাড়ি নেই, থাকার কোন জায়গা নেই; তাদের ঈদ আনন্দ কী অন্য সবারমত? না, ঈদ আসে, ঈদ যায়, কিন্তুু সেই ঈদ কখনই তাদের জন্য উৎসব হয়ে ওঠেনা।
পথশিশুদের না খেয়ে খুশি থাকে সবসময়। কিন্তু এই বছরে করোনার জন্য সুখের ছিটা ফোটাও নেই পথশিশুদের জীবনে। ঈদের দিন কমলাপুর রেল স্টেশনের ফুট পথে বসে নিজের হাত-পায়ে মেহেদীর রং মাখানোর চেস্টা করেছেন একদল পথশিশুরা।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে সেখানে গিয়ে দেখা যায় পথশিশুরা রান্না করছে, আর নি:শপাশ শুশিগুলো মনের আনন্দে উদ্যানেই খেলছে। রোদে শুকায়, আবার বৃস্টি হলে ভিজে। ঈদ আনন্দ কী তা তারা বলতেই পারেনা।
এরকম অসংখ্য শিশুর ঈদ পথেই কেটে যায়, সবসময় ঈদের কোন আনন্দ তাদের স্পর্শ করতে পারেনি। ঈদের আনন্দ যে শিশুদেরই ঘিরে, সেটা শুধু স্বচ্ছল- বিত্তবানদের মাঝেই দেখা যায়। তবে অন্য সব শিশুর মত ছিন্নমূল পথ শিশুরাও ঈদের অনন্দ-উৎসব উপভোগ করবে, আর ফিরে পাবে স্বাভাবিক জীবন-এমন প্রত্যাশ আমাদের সবার।ঈদুল ফিতর এর আগের রাতে ঘুরে ঘুরে দেখলাম কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের পথশিশুদের আহাযারী।তারই একটি চিত্র নিজ কলমের মাধ্যমে লিখতে চেষ্টা।ধনী, গরীব, দিনমজুর ও পথশিশুদের সবার জীবনে হাসিখুশি ভাবে ভরে উঠুক ঈদুল ফিতর এর আনন্দ।আমরা সাধারণ মানুষ কিছুটা হলেও খেতে পারি কিন্তু পথশিশুদের কোনো খাবারের ব্যবস্থা নেই, নেই একটি নতুন জামা।আমরা বিত্তশালী যারা আছি তাদের সকলের কাছে বিশেষ অনুরোধ আপনারা কিছুটা হলেও সাহায্য সহযোগিতা করে পথশিশুদের মুখে একফোঁটা হাশি দিতে চেষ্টা করুন।যাতে করে পথশিশুদের ঈদের আনন্দ করোনার বিরুদ্ধে হাশির বণ্যা বয়ে আনে।ঈদ মোবারক।
লেখক সাংবাদিক
মোঃ ফিরোজ খান
ঢাকা বাংলাদেশ
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০