জার্মানিতে মুসলিমদের বিরুদ্ধে সহিংসতার ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানিয়েছে জার্মান সংগঠনগুলোর একটি জোট। তারা সতর্ক করে দিয়েছে যে, সরকারি প্রতিষ্ঠানের ওপর আস্থার অভাবের কারণে প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) প্রকাশিত তাদের বার্ষিক প্রতিবেদনে, ক্লেইম জোট ২০২৪ সালে ৩ হাজার ৮০টি মুসলিমবিরোধী ঘটনা রেকর্ড করেছে, যা আগের বছরের ১ হাজার ৯২৬টি থেকে বেশি। পরিসংখ্যানগুলো সরাসরি তুলনামূলক নয়, কারণ বছরজুড়ে উপদেষ্টা কেন্দ্রের সংখ্যা ১৭ থেকে বেড়ে ২৬টিতে দাঁড়িয়েছে।
গ্রুপটি জানিয়েছে, আক্রান্তদের প্রায় ৭০ শতাংশ মুসলিম নারী। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জার্মানিতে মুসলিম প্রাপ্তবয়স্ক এবং শিশুদের ইহুদিবিরোধী, সন্ত্রাসী এবং ছুরিধারী অপরাধী হিসেবে দেখানো হয়, যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, রাজনৈতিক বিতর্ক এবং বৃহত্তর সমাজে সম্প্রদায়ের চিত্র প্রতিফলিত করে।
মৌখিক ও শারীরিক আক্রমণও মারাত্মকভাবে বেড়েছে, বিশেষ করে ৭ অক্টোবর, ২০২৩ তারিখে ইসরায়েলে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী হামাসের অভিযানের পর এবং এটি গত বছর জার্মানিতে সন্দেহভাজন মুসলিমদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগের সঙ্গে সম্পর্কিত।
মানবাধিকার কর্মকর্তা গুজিন চেহা বলেছেন যে, জার্মানির মুসলিম বাসিন্দাদের ওপর কিছু আক্রমণ ‘অত্যন্ত নৃশংস এবং অমানবিক’ ছিল। একটি ফিলিস্তিনি পরিবারের সামনে স্লোগান দেওয়া হয়েছিল ‘নোংরা আরবরা, ইউরোপ থেকে বেরিয়ে যাও,’ সেহা বলেছেন।
আরেকটি পরিবারের দরজার সামনে একটি শূকরের মাথা রাখা হয়েছিল। যদিও শূকর মুসলমানদের কাছে অপবিত্র।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, গত বছর জার্মানির মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে ‘রাষ্ট্র এবং নাগরিক সমাজের প্রতিষ্ঠানের প্রতি উচ্চস্তরের অবিশ্বাস’ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে, ভয়ের পরিবেশ বিরাজ করছে। ‘মুসলিমবিরোধী বর্ণবাদ’ নামক সংগঠনগুলোর ভুক্তভোগীরা খুব কমই রাষ্ট্রীয় সমর্থন বা ন্যায়বিচার চান বলে মনে করা হয়।