ঢাকাবুধবার , ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  1. সর্বশেষ

৭ মাসে হাফেজ হলেন ১১ বছর বয়সী আল মাহির

প্রতিবেদক
নিউজ এডিটর
১ মার্চ ২০২৪, ১:৫২ পূর্বাহ্ণ

Link Copied!

দুই ভাই যে ভাবে হাফেজ হলেন……….

নোয়াখালী প্রতিনিধি

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার জামিয়া ইয়াকুবিয়া বসুরহাট মাদরাসার ১১ বছর বয়সী ছাত্র আল মাহির শাহরিয়ার মাত্র ৭ মাসে কোরআনে হাফেজ হয়েছেন। অপরদিকে, একই প্রতিষ্ঠান থেকে ১১ মাসে কোরআনে হাফেজ হয়েছেন ১৩ বছর বয়সী তারই বড় ভাই আল ফাহিম শাহরিয়ার। দুই ভাই অল্প সময়ে কোরআন মুখস্থ করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। ছেলেদের জন্য দোয়া চেয়েছেন মা সালমা সুলতানা লিলি। সমাজের বিশিষ্টজনরা মনে করে মানুষ এ থেকে আরো বেশি দ্বীনি শিক্ষায় অনুপ্রাণিত হবে।

জানা যায়, বাবা ও নানার ইচ্ছায় প্রথমে বড় ছেলে আল ফাহিম শাহরিয়ারকে বাড়ির পাশে জামিয়া ইয়াকুবিয়া বসুরহাট মাদরাসার হিফজ বিভাগে ভর্তি করা হয়। বড় ছেলে ১১ মাসে পবিত্র কোরআন মুখস্ত করে কোরআনে হাফেজ হন। এতে পরিবারে দেখা দেয় পরিবর্তন। এরপর ছোট ছেলে আল মাহির শাহরিয়ারকেও ভর্তি করা হয় একই মাদরাসার হিফজ বিভাগে। সে ওই মাদরাসা থেকে মাত্র সাত মাস একদিনে কোরআন মুখস্ত করে ফেলেন। ছেলেদের এমন সাফল্যে খুশি মা-বাবা সহ এলাকাবাসী। মায়ের আশা ছোট ছেলে আল ফারিক শাহরিয়ার আরও কম সময়ে কোরআনে হাফেজ হবেন। তারা দুই ভাই বসুরহাট পৌরসভার ৬নম্বর ওয়ার্ডের বটতলী এলাকার হাজী তাজুল ইসলামের বাড়ির প্রবাসী মাইন উদ্দিনের ছেলে।

হাফেজ আল ফাহিম শাহরিয়ার ও তার ছোট ভাই আল মাহির শাহরিয়ার বলেন, মা-বাবা ও নানার আন্তরিক উৎসাহে আমরা কোরআনে হাফেজ হয়েছি। আমরা আমাদের শিক্ষক এলাকাবাসীসহ সবার কাছে কৃতজ্ঞ।

শিক্ষার্থীদের মা সালমা সুলতানা লিলি বলেন, আমার বাবা তার নাতিদেরকে হাফেজ বানানোর জন্য আমাকে উৎসাহ দেয়। আমার তিন ছেলে যেন হাফেজ হয়। নাতিরা যেন তার নানা মারা গেলে নানার জানাজা পড়াতে পারে। প্রথমে কিন্ত আমি ছেলেদের মাদরাসায় দিতে চাইনি। ওদের বাবা আমার সাথে অনেক জোরাজুরি করে বলে একটা ছেলেকে হাফেজ বানিয়ে দেখ। যখন আমার বড় ছেলে হাফেজ হয়। তখন আমার মধ্যে কথাবর্তা,আদব কায়দা, নামাজ কালামে পরিবর্তন চলে আসে। তখন আমার দ্বিতীয় ছেলেকে হিফজ বিভাগে ভর্তি করিয়েছি।

জামিয়া ইয়াকুবিয়া বসুরহাট মাদরাসার শিক্ষক হাফেজ আব্দুল মান্নান বলেন, দুই ভাই অনেক মেহনত করে কোরআন মুখস্ত করে। মাঝখানে ছোট ভাইয়ের একটু সমস্যা করেছিল। পরে তা আবার ঠিক হয়ে যায়। ১৯৯৪ সালে মাদরাসা প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে এই মাদরাসা থেকে এখন পর্যন্ত ৫০জন কোরআনে হাফেজ হয়। আমার হাতে এ মাদরাসা থেকে ২৫জন ছাত্র হাফেজ হয়।

মুহতামিম জামিয়া ইয়াকুবিয়া বসুরহাট মাদরাসার মুফতি মুহাম্মদ ইদ্রিস বলেন, এ মাদরাসা প্রতিষ্ঠা পর থেকে ৫০জন ছাত্র হাফেজ হয়। দুই ভাই অনেক মেহনত করে কোরআনে হাফেজ হয়েছে। আমি তাদের ওস্তাদকেও ধন্যবাদ জানাই তারা ছাত্রদের পিছনে খুব মেহনত করেছে। শুধু মাদরাসার শিক্ষকরাই নয় এলাকাবাসীও শুভ কামনা জানিয়েছেন হাফেজ দুই ভাইয়ের জন্য। তাদের প্রত্যাশা ইসলাম প্রসারে ভূমিকা রাখবে এ হাফেজরা।

991 Views

আরও পড়ুন

চট্টগ্রামে প্রিমিয়ার ব্যাংকের স্থানান্তরিত ব্রাঞ্চ, সাব ব্রাঞ্চ ও এটিএম উদ্বোধনে ব্যবস্থাপনা পরিচালক

যুব রেড ক্রিসেন্ট অ্যালামনাই এর ১ম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

মহানবী (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তি করায় উত্তাল বুটেক্স হল

আমীরে জামায়াতের আগমন উপলক্ষে শহর শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের স্বাগত মিছিল ৪ই ফেব্রুয়ারী

টঙ্গীতে নির্মাণাধীন ৭ তলা ভবনের দেয়াল ধসে পড়ে মা-মেয়ে আহত, হাসপাতালে ভর্তি

রূপগঞ্জে এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারের গোডাউনে ভয়াবহ আগুন

হাওর উৎসবে হাওর বিষয়ক মন্ত্রনালয় গঠনের দাবি

শান্তিগঞ্জে সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী’র ব্যক্তিগত সহকারি জুয়েল গ্রেপ্তার

উৎসবমুখর পরিবেশে রুহিয়া থানা প্রেসক্লাবের বার্ষিক বনভোজন-২০২৫ অনুষ্ঠিত 

শহিদ আবরার থেকে জুলাই বিপ্লবের রাজসাক্ষী “আকর”

জামায়াতের সমর্থন ছাড়া কেউই সরকার গঠন করতে পারবে না–হামিদুর রহমান আযাদ

“গরীবের ডাক্তার’’ হিসেবে নিজেকে বিলিয়ে দিতে চাই- খালেদ বিন রশিদ