ঢাকাশনিবার , ২১ ডিসেম্বর ২০২৪
  1. সর্বশেষ

হে প্রিয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম

প্রতিবেদক
আলী উসামা
৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮:০৯ পূর্বাহ্ণ

Link Copied!

এই চিঠি তোমার নামে…
বরাবর—

হে প্রিয় রাসূল! ﷺ

হৃদয়ের ফুলদানি থেকে কিছু শব্দফুল নিয়েছি আপনার নামে মালা গাঁথবো বলে। সে মালার প্রতিটি শব্দ-দানায় ফুটাতে চেয়েছি দরূদের ফুল। আমি আপনার উপমা খুঁজতে গিয়েছি হিরে পান্না আর জহরতের কাছে; তারা লাজরাঙা হয়ে বলেছে—হে আশিক! তুমি যাঁর উপমা দিতে এসেছো, তাঁর উপমায় যে আমরা উপমেয়! আমি ফিরে আসি মণি-মুক্তার কাছে; তারাও দেখি লাজরাঙা হয়ে আছে! বুঝে নিলাম তারাও আপনার উপমায় উপমেয়। এবার আসি ফুলের কাছে; হে বাগিচার সুবাস ছড়ানো রঙবেরঙের ফুল! তোমরা কি প্রিয় নবীজীর উপমা হবে? তারা তখন তাদের লুকানো যত রঙ আর সুবাস সব ছড়িয়ে দিয়ে আমায় বলে—এই দেখো আমাদের কাছে জমানো এই অল্প গুণ ছাড়া আর কিছু অবশিষ্ট নেই? তাহলে কিভাবে হই বলো সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ মানবের উপমা! আমাদের সব রঙ আর সুবাস কুরবান হোক সেই শ্রেষ্ঠ মানবের কদমে। অতঃপর আমি পৃথিবীর সব অমূল্য রত্ন এবং ক্বীমতি বস্তুকে আপনার উপমা হতে বলেছি, কিন্তু ইয়া রাসূলাল্লাহ! সবাই বলে যে, আমরা তাঁর উপমা হতে অক্ষম। এই আশিক আপনার উপমা খুঁজতে খুঁজতে এখন ক্লান্ত-শ্রান্ত, ইশকের পিপাসা যেন মরুভূমির পিপাসিত পানি-ফুরানো পথিক বানিয়েছে। হে প্রেমময় সাক্বী! এখনো বুঝি এই পথিকের মুখে মুহাব্বতের অমৃত ছুঁয়াবেন না?

হে দরদে দিল!
এই দুর্বল কমজোর আযমী আশিক— কোন শব্দে, কোন উপমায় আপনার নিকট মুহাব্বতের নজরানা পেশ করি! আমার শব্দরা যে ভীষণ দুর্বল, বাক্যশৈলী যে খুব অক্ষম। এই হৃদয় তো বেকারার হয়ে আছে। সান্ত্বনার সেই প্রলেপটুকুও কোথাও পাই না। দূরত্বের এই ব্যবধান হৃদয়ে বেদনার হিল্লোল হয়ে আঁচড়ে পড়ছে। হে হৃদয়ের নূর, এই দরদের উপশম আপনার দিদার ছাড়া আর কী হবে বলেন?

হে হৃদয়ের প্রেমাস্পদ!
আপনাকে ভীষণ ভালোবাসি আমি। এটা সত্যি যে, আপনার সেই নূর চমকানো আলোকময় চেহারা এই দু’চোখ কখনো দেখেনি। আপনার সুমিষ্ট মায়া জড়ানো কণ্ঠস্বরও শুনেনি। আর কখনো ঈমানদীপ্ত হৃদয়ে, আপনার সিপাহী দলে থেকে তরবারি ধরেনি। কোনো দিন আমার ক্রোধ অগ্নিস্ফুলিঙ্গের ন্যায় আন্দোলিত হয়নি। আমি বদরের রণাঙ্গনে কাফেরদের জাহান্নামে পাঠাইনি। আমি উহুদ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে হতে পারিনি তলহার মতো আপনার ঢালস্বরূপ। আর না আমি মুহাজির ও আনসারদের মধ্য থেকে ছিলাম। কিন্তু হে আল্লাহর রাসূল! মহান রবের কসম, আমি আপনাকে ভালোবাসি। খুব বেশি ভালোবাসি। হৃদয় থেকে ভালোবাসি। সে ভালোবাসার দাবানল আমার অন্তরে টর্নেডোর মতো ঝড় তোলেছে। হে আল্লাহর রাসূল! আপনি কি আমায় গ্রহণ করবেন?

হে আমার প্রাণ প্রিয় রাসূল!
হ্যাঁ–আমি এই পৃথিবীর বুকে অনেক পরে ভূমিষ্ঠ হয়েছি। কিন্তু তা ছাড়া যে আমার অন্য কোনো উপায় ছিল না। যদি এই ধরায় ভূমিষ্ঠ হওয়াটা মানুষের ইচ্ছের অধীনে থাকতো, তাহলে অবশ্যই আমি আগে আসার ইচ্ছে পোষণ করতাম। কিন্তু আমি কী করবো? তকদিরের নেজাম এবং ইচ্ছের প্রতিবন্ধকতার সামনে। আমিতো সেই আবু বকর (রা.) নই যিঁনি আপনাকে সত্যায়ন করেছেন এবং আপনার প্রতিটি কথায় সর্বপ্রথম বিশ্বাসের দ্যুতি ছড়াতেন। আর না সেই ওমর (রা.)ও যিঁনি আপনাকে শক্তিশালী করেছেন; চুপিসারে ঈমান বাঁচানোর কালে যিঁনি সর্বপ্রথম প্রকাশ্যে— তেজদীপ্ত ঈমানের বল বক্ষে ধারণ করে তরবারি হাতে ঘোষণা করেছিলেন— “আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া অন্য কেউ ইবাদতের উপযুক্ত না এবং আল্লাহর কোন অংশীদার নেই। আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, হযরত মুহাম্মদ (সা.) আল্লার শ্রেষ্ঠ বান্দা এবং আল্লাহ প্রেরিত রসূল।” আমিতো নই সেই ওসমান (রা.) যিঁনি প্রয়োজনে আপনাকে সাহায্য করতেন। দ্বীনের তরে যিঁনি মনপ্রাণ উজাড় করে দান করতেন আর আপনার নৈকট্য হাসিল করতেন। নই সে আলী (রা.) যিঁনি আপনাকে বিপদ-আপদ থেকে সর্বদা রক্ষা করেছেন। আর না সেই আনাস (রা.) যিঁনি আপনার খেদমতে নিজেকে ধন্য করেছেন। নইতো সেই হামজা, খালিদ, আমর (রাদিআল্লাহু আনহুম)। বরং আমি এই দ্বীন পেয়েছি পরিবারের আভিজাত্যের সুবাদে।

আমি শুনিনি সেই বেলাল রা. এঁর ঈমান জাগানিয়া তাকবীরের ধ্বনি; যে ধ্বনির তজল্লিতে আলোকিত হত মুমিনের হৃদয়। আমি ভাঙতে পারিনি কোনো মূর্তি। আমি কোনো দিন কাফের সৈন্যদের সাথে যুদ্ধ করিনি। এমনকি কোনো যুদ্ধে আমার বিন্দু জখমও হয়নি। আমিতো নই সেই হাস্সান, আওস ইবনে আস সামিত, আদি, আদিয়ী, ইবনে রাওয়াহা, ইবনুল হারিস, কা’ব ইবনে যুহাইর, আল খানসা, তুফাইল ইবনে আমর (রাদিয়াল্লহু আনহুম) যাঁরা ছিলেন আপনার হৃদয়ের কবি। যাঁরা হৃদয়ের সব আবেগ অনুভূতি মিশিয়ে যথাযথ শব্দ দিয়ে আপনাকে সাজাতেন। কিন্তু এই আশিক তো ভীষণ কমজোর। নেই তেমন কোনো শব্দের সমাহার; যার থেকে উপযুক্ত শব্দ নিয়ে ইয়া রাসূলাল্লাহ— আপনার প্রতি হৃদয়ের জমানো মুহাব্বতের নজরানা পেশ করি। না আছে কলমের শক্তি, না আছে ভাবনার; তবুও বেকারার এই দিলের কাকুতিমিনতি থেকে আপনাকে নিয়ে কিছু টুটাফাটা অনুভূতি লিখেছি। হে আল্লাহর রাসূল! এই দুর্বল আশিকের কমজোর শব্দ-ঝুলির হৃদয়ের আফসানা আপনি কবুল করুন। এই অধমকে আপনি গ্রহণ করুন।

প্রেরক:
এক দুর্বল আশিক
আলী উ সা মা

342 Views

আরও পড়ুন

ক্ষমতায় গেলে নারীদের রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজে ভূমিকা রাখার সুযোগ করে দেব- আমীরে জামায়াত

সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে দূর্ঘটনায় নিহত তিন,আহত দুই

দোয়ারাবাজারে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কমিটি গঠন: সভাপতি আব্দুল হান্নান , সম্পাদক মাও: সাইফুল 

রাজশাহীতে ফ্রি ছানি অপারেশন হচ্ছে ৫০০ রোগীর।

টঙ্গী’তে বাতিঘর ফাউন্ডেশন এর আয়োজনে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত

উপদেষ্টা হাসান আরিফ না ফেরার দেশে

ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে জাতীয় নাগরিক কমিটির সংবাদ সম্মেলন।

সাংবাদিক সম্মেলনে মুহম্মদ নুরুল ইসলাম
নব্য দোসরদের কারণে কক্সবাজারে সাংবাদিকরা প্রেসক্লাবের সদস্য পদ পাচ্ছে না

টেকনাফে পুলিশে’র অভিযানে একটি অস্ত্র-১০রাউন্ড গুলিসহ আটক-১

কক্সবাজারে কৃষকলীগ নেতাকে পুলিশে দিলো শিক্ষার্থীরা

কক্সবাজারের কৃতিসন্তান মো: সাইফুল্লাহকে পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি

জনগণ ইসলামী দলের মধ্যে ঐক্য কামনা করছে: জামায়াত আমির