পবিত্র কাবাঘর। ছবি: সংগৃহীত
প্ল্যাটফর্মটির অফিসিয়াল টুইটার থেকে এক পোস্টে বলা হয়, ‘নুসুক হজযাত্রী ও ভ্রমণকারীদের অনেক বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য ও সেবা দেবে। এ ছাড়া খুব সহজে ও স্বাচ্ছদ্যে ওমরাহ করার জন্য তথ্য দিয়ে সহায়তা করবে নুসুক।’
নতুন একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম চালু করেছে সৌদি আরব সরকার। ভিশন-২০৩০ সামনে রেখে দেশটিতে হজযাত্রী এবং মক্কা ও মদিনা শহর ভ্রমণের বিভিন্ন সুবিধা দিতেই প্ল্যাটফর্মটি চালু করা হয়েছে বলে জানায় সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়।
যে কোনো বিষয়ের চেয়ে অনন্য প্ল্যাটফর্ম ‘নুসুক’ গতকাল সোমবার উন্মোচন করা হয়। এই প্ল্যাটফমটির মাধ্যমে এখন থেকে মক্কা ও মদিনায় ভ্রমণকারীরা তাদের নিজেদের পরিষেবার জন্য ওমরাহর ভ্রমণপথ নির্দিষ্ট করতে পারবেন।
ওয়েবসাইটটিতে বলা হয়, ‘নুসুকের মাধ্যমে ভ্রমণকারীরা খুব সহজেই সৌদিতে তাদের ভ্রমণকে সংগঠিত করতে পারবেন। এর মাধ্যমেই ই-ভিসায় আবেদন করা, হোটেল বুক করা এবং ফ্ল্যাইট বুক করার মতো সুবিধা পাবেন।’
এ ছাড়া ওয়েবসাইটটি ওমরাহ বা হজযাত্রীদের জন্য বিভিন্ন বিষয়ের বিস্তারিত তথ্য সরবরাহ করবে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, এটি আবাসন, ল্যান্ডমার্ক এবং পবিত্র সাইটগুলো ভ্রমণের ক্ষেত্রে তারা চাইলে সেগুলো তালিকায় যুক্ত করতে পারবেন।
বুকিং প্রক্রিয়া সহজ করতে ইন্টার্যাক্টিভ ম্যাপ ছাড়াও শহরে ভ্রমণের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের পরিবহন সম্পর্কিত তথ্য ও সেবা পাবেন নুসুক থেকেই।
প্ল্যাটফর্মটির অফিসিয়াল টুইটার থেকে এক পোস্টে বলা হয়, ‘নুসুক হজযাত্রী ও ভ্রমণকারীদের অনেক বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য ও সেবা দেবে। এ ছাড়া খুব সহজে ও স্বাচ্ছদ্যে ওমরাহ করার জন্য তথ্য দিয়ে সহায়তা করবে নুসুক।’
বিবৃতিতে জানানো হয়, প্ল্যাটফর্মটি হজ মন্ত্রণালয় দেশটির পর্যটন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যৌথভাবে তৈরি করেছে।
নুসুক ডট এসএ (nusuk.sa) তাদের সার্ভিস প্রোভাইডারদের সঙ্গে এর একটি স্লোগান ঠিক করেছে। ‘ভিজিট সৌদি আরব’ স্লোগান নিয়ে ওমরাহযাত্রী ও সৌদির মক্কা ও মদিনা ভ্রমণকারীদের নানাবিধ সুবিধার প্যাকেজ দেবে।
হজ ও ওমরাহ এবং হজযাত্রীদের এক্সপেরিয়েন্স প্রোগ্রাম কমিটির চেয়ারম্যান ড. তৌফিক বিন ফাউজান আল-রাবিয়াহ বলেন, ‘সবশেষ প্রযুক্তির সমন্বয়ে হজযাত্রী ও পর্যটকদের মানসম্মত পরিষেবা দিতে নুসুক প্ল্যাটফর্মটি আনা হয়েছে।’
পর্যটন মন্ত্রণালয়ের চেয়ারম্যান এবং সৌদি পর্যটন কর্তৃপক্ষের পরিচালক আহমেদ আল-খতিব বলেন, ‘নতুন এই প্ল্যাটফর্ম সৌদি আরবের ভিশন-২০৩০ বাস্তবায়নের মূল চাবিকাঠি। বিশ্বের সব মুসলিমদের সৌদিতে ওমরাহ ও হজের জন্য সুবিধা দিতেই এটির উন্মোচন করা হয়েছে।’