ঢাকারবিবার , ১৯ মে ২০২৪
  1. সর্বশেষ

সাওম: আত্মার পরিশুদ্ধতা অর্জনের প্রধান অবলম্বন

প্রতিবেদক
নিউজ এডিটর
২১ এপ্রিল ২০২০, ৯:৫০ পূর্বাহ্ণ

Link Copied!

।। ইমদাদুল হক যুবায়ের।।

“সিয়াম মানে কি
সেহরী আর ইফতারিতে
শুধুই ভুঁড়িভোজন?
সিয়াম হল ত্যাগের মাঝে
কেবল তাকওয়া অর্জন।

সিয়াম মানে কি
শুধুই উপোষ থাকা?
সিয়াম হল মিথ্যা আর পাপাচার থেকে
নিজকে বিরত রাখা।”

মানবিকবোধ জাগ্রতকরণ, মহান আল্লাহর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ, শয়তানের সকল আক্রমণ থেকে আত্মরক্ষা, মানসিক ও দৈহিক উন্নতি সাধনের মাধ্যম হলো সাওম। আর সাওমের মাস রামাদ্বান হলো- সকল পাপ পঙ্কিলতা থেকে মুক্ত হয়ে সত্যিকারের একজন মানুষ হওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়। অন্যভাবে বলা যায়, মাহে রামাদ্বান হলো নিজের পাপরাশি মোচন করে আল্লাহ তা‘আলার সান্নিধ্য ও সন্তুষ্টি লাভের বাৎসরিক মওসুম। ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের মধ্যে রামাদ্বানের সাওম অন্যতম। এ মাস মুসলিম উম্মাহের জন্য এক শ্রেষ্ঠ নি‘য়ামত। এ মাসের সাওম পালন মুসলিম উম্মার জন্য ফরয করা হয়েছে। এ মাসের গুরুত্ব চিত্রায়িত হয়েছে কবি তারিকের নিম্নোক্ত পংক্তিমালায়। যেমন-

“দাও খোদা বেড়ে দাও ঈমানের দৃষ্টি,
রামাদ্বানের সাওমটা মুমিনের কৃষ্টি।
রহমতে পূর্ণ
পাপরাশি চূর্ণ
রামাদ্বানের ফলটা আহা বেশ মিষ্টি।।”

আলোচ্য নিবন্ধে আত্মার পরিশুদ্ধতা অর্জনে সাওমের ভূমিকা কী? এ বিষয়ে সাম্যক আলোকপাত। ওয়াবিল্লাহিত তাওফীক।

‘সাওম’ এর শাব্দিক অর্থ
এক: সাওম বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত বহুল প্রচলিত একটি শব্দ, যার উৎপত্তি ফার্সি ভাষা থেকে। আরবীতে যাকে সাওম, বহুবচনে (صيام) সিয়াম বলা হয়। الصوم ব্যুৎপত্তিগত অর্থ الإِدْرَاكُ وَالْإِمْسَاكُ – তথা বিরত থাকা । (আল-মু‘জামুল ওয়াসিত পৃ. ২৫৬) চাই তা আহার করা, কথা বলা কিংবা পথ চলা হোক। এ অর্থ সরাসরি আল-কুরআনে এসেছে।
এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তা‘আলা বলেন-
﴿فَإِمَّا تَرَيِنَّ مِنَ الْبَشَرِ أَحَدًا فَقُولِي إِنِّي نَذَرْتُ لِلرَّحْمَنِ صَوْمًا فَلَنْ أُكَلِّمَ الْيَوْمَ إِنْسِيًّا﴾
“যদি মানুষের মধ্যে কাউকে দেখেন তবে বলে দিন- আমি দয়াময় আল্লাহর উদ্দেশ্যে সাওমের মানত করেছি, সুতরাং আজ আমি কিছুতেই কোনো মানুষের সাথে কথা বলব না।” (সূরা মারইয়াম, আয়াত: ২৬)

দুই: এখানে ‘সাওম’ শব্দটি আরবী। ফারসী ভাষায় একে রোযা বলা হয় এবং বাংলা ও উর্দূ ভাষায় তা বহুল প্রচলিত। আরবীতে রোযাকে (صيام) সিয়ামও বলা হয়। যেমন- আল-কুরআনে বলা হয়েছে -তোমাদের জন্য সিয়ামের বিধান দেওয়া হলো।

তিন: ইসলামী বিশ্বকোষে ‘সাওম’ এর অর্থ করেছে ‘কোনও জিনিস হতে বিরত থাকা এবং ইহা পরিত্যাগ করা।’ (ইসলামী বিশ্বকোষ, পৃ. ২১০)

চার: আফীফ আবুল ফাত্তাহ আত তাব্বারাহ বলেন- সাওম অর্থ হচ্ছে, ‘কোনো কিছু থেকে বিরত থাকা।’ (রূহুদ্দীন আল ইসলামী, খণ্ড-১, পৃ. ২৫৩)

পাঁচ: ইবনুল মানজুর সাওমের অর্থ করেছেন- ‘খাদ্য, পানীয়, যৌনতা ও অনর্থক কথা বার্তা পরিহার করা। বিভিন্ন অভিধানেও সাওম বা সিয়াম শব্দের অর্থ বিরত থাকা অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।’

‘সাওম’ এর পারিভাষিক অর্থ

এক: ইসলামী পরিভাষায় সাওম হলো-
﴿هُوَ الْإِمْسَاكُ عَنِ الطَّعَامِ وَالشَّرَابِ والجماع مِنْ طُلُوْعِ الْفَجْرِ إِلَى غُرُوْبِ الشَّمْسِ مَعَ النِّيَّةِ. ﴾
‘সাওমের নিয়তে সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত যাবতীয় আহার, পানাহার ও স্ত্রী সহবাস থেকে বিরত থাকাকে সাওম বলে ।’ (আল-মু‘জামুল ওয়াসিত, পৃ. ২৫৭)

দুই: আফীফ আবুল ফাত্তাহ বলেনঃ “আল্লাহ তা‘আলার নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে ফজর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত যাবতীয় খাবার, পানাহার ও যৌন সংযোগ থেকে বিরত থাকার নামই হচ্ছে সাওম।” (রূহুদ্দীন আল ইসলামী, খণ্ড-১, পৃ. ২৫৩)

তিন: “According to Sari’ah fasting means to abstain completely from foods, drinks and intimate intercourse before the break of the dawn till sunset”
অর্থাৎ, ‘শরীয়তের পরিভাষায় সাওমের নিয়তে সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত যাবতীয় আহার, পানাহার ও স্ত্রী সহবাস থেকে বিরত থাকাকে সাওম বলে।’

সারকথা হলো-
সুবহে সাদেক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আল্লাহর এবাদত ও সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে পানাহার, দাম্পত্য মিলন ইত্যাদি সব ধরনের রোযা ভঙ্গকারী কর্ম থেকে বিরত থাকা হল সিয়াম বা রোযা। আত্মার পরিশুদ্ধি, আধ্যাত্মিক উন্নতি, মানবিক মমতাবোধের বিকাশ, তাকওয়া ও সততা অর্জনের জন্য সকল যুগের সকল বিশ্বাসী মানুষের অন্যতম প্রধান অবলম্বন হলো সিয়াম। আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন:
﴿فَمَنْ شَهِدَ مِنْكُمُ الشَّهْرَ فَلْيَصُمْهُ﴾
অর্থাৎ, “সুতরাং তোমাদের মধ্যে যারা এই মাস পাবে তারা যেন এই মাসে সিয়াম পালন করে।” (সূরা বাকারা, আয়াত:১৮৫)

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
﴿كُلُّ عَمَلِ ابْنِ آدَمَ لَهُ إِلاَّ الصِّيَامَ فَإِنَّهُ لِي وَأَنَا أَجْزِي بِهِ وَالصِّيَامُ جُنَّةٌ وَإِذَا كَانَ يَوْمُ صَوْمِ أَحَدِكُمْ فَلا يَرْفُثْ وَلا يَصْخَبْ فَإِنْ سَابَّهُ أَحَدٌ أَوْ قَاتَلَهُ فَلْيَقُلْ إِنِّي امْرُؤٌ صَائِمٌ وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ ﴿لَخُلُوفُ فَمِ الصَّائِمِ أَطْيَبُ عِنْدَ اللَّهِ مِنْ رِيحِ الْمِسْكِ لِلصَّائِمِ فَرْحَتَانِ يَفْرَحُهُمَا إِذَا أَفْطَرَ فَرِحَ وَإِذَا لَقِيَ رَبَّهُ فَرِحَ بِصَوْمِهِ﴾
অর্থাৎ, “আদম সন্তানের সকল কর্ম তার জন্য। একমাত্র ব্যতিক্রম হলো সিয়াম, তা শুধু আমারই জন্য এবং আমিই এর প্রতিদান দিব। সিয়াম হলো ঢাল। তোমাদের কেউ যদি দিনে সিয়াম পালন করে তবে সেই দিনে সে অশ্লীল বা বাজে কথা বলবে না ও চিল্লাচিল্লি, হৈচৈ বা ঝগড়াঝাটি করবে না। যদি কেউ তাকে গালি দেয় অথবা তার সাথে মারামারি করে তবে সে যেন বলে, আমি সিয়ামরত, আমি সিয়াম রত। মুহাম্মাদের জীবন যাঁর হাতে তার শপথ, সিয়ামরত ব্যক্তির মুখের ক্ষুধা-জনিত গন্ধ আল্লাহর নিকট মেশকের সুগন্ধির চেয়েও প্রিয়। সিয়াম পালনকারীর জন্য দুইটি আনন্দ রয়েছে যখন সে আনন্দিত হয়:
(১) যখন সে ইফতার করে তখন সে তার ইফতারীর জন্য আনন্দিত হয় এবং
(২) যখন সে তার প্রতিপালকের সাথে সাক্ষাৎ করবে তখন সে তার সিয়ামের জন্য আনন্দিত হবে।” (বুখারী, আস-সহীহ, খণ্ড-২, পৃ. ৬৭৮; মুসলিম, আস-সহীহ, খণ্ড-২, পৃ. ৮০৭)

রাসূলুল্লাহ (সা.) আরো বলেন:
﴿اَلصِّيَامُ جُنَّةٌ مِنَ النَّارِ كَجُنَّةِ أَحَدِكُمْ مِنَ الْقِتَالِ وَصيَامٌ حَسَنٌ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ مِنْ كُلِّ شَهْرٍ﴾
অর্থাৎ, “যুদ্ধে তোমাদের যেমন ঢাল থাকে, তেমনি জাহান্নামের আগুন থেকে ঢাল হলো সিয়াম। আর প্রতি মাসে তিন দিন সিয়াম পালন করা ভালো।” (ইবনু খুযাইমা, আস-সহীহ, , খণ্ড-৩, পৃ. ১৯৩; আলবানী, সহীহুত তারগীব, খণ্ড-১, পৃ. ২৩৮। হাদীসটি সহীহ)

প্রতি মাসে তিন দিন সিয়াম ছাড়াও যথাসম্ভব বেশি বেশি নফল সিয়াম পালনে উৎসাহ দিয়েছেন রাসূলুল্লাহ (সা.); কারণ সিয়াম একটি তুলনাবিহীন ইবাদত। আবূ উমামা (রা.) বলেন, “আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল, আমাকে একটি আমল শিখিয়ে দিন। তিনি বলেন,
﴿عَلَيْكَ بِالصَّوْمِ فَإِنَّهُ لا عَدْلَ لَهُ﴾
অর্থাৎ, “তুমি সিয়াম পালন করবে, সিয়ামের মত আমল আর নেই।” আবূ উমামা বলেন, আমি তিনবার তাঁকে একইরূপ অনুরোধ করলাম এবং তিনি তিনবারই একই উত্তর দিলেন।” এজন্য আবূ উমার প্রায় ১২ মাসই সিয়াম পালন করতেন।” (নাসাঈ, খণ্ড-৪, পৃ. ১৬৫; ইবনু খুযাইমা, আস-সহীহ, খণ্ড-৩, পৃ. ১৯৪; হাকিম, আল-মুসতাদরাক, খণ্ড-১, পৃ. ৫৮২; আলবানী, সহীহুত তারগীব, খণ্ড-১, পৃ. ২৩৮। হাদীসটি সহীহ)

নফল সিয়াম পালনের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ দিন হলো আশুরার দিন, আরাফাতের দিন এবং শাওয়াল মাসের ৬ দিন। এছাড়া প্রতি সপ্তাহে সোমবার ও বৃহস্পতিবার এবং প্রতি আরবী মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ নফল সিয়াম পালন বিশেষ গুরত্বপূর্ণ ইবাদত।

আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান প্রমাণ করেছে যে, মাসে কয়েক দিন সিয়াম পালন করা দৈহিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন:
﴿إِذَا جَاءَ رَمَضَانُ فُتِّحَتْ أَبْوَابُ الْجَنَّةِ وَغُلِّقَتْ أَبْوَابُ النَّارِ وَصُفِّدَتْ الشَّيَاطِينُ﴾
অর্থাৎ, “রামাদ্বান মাস যখন আগমন করে তখন জান্নাতের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয়, এবং জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়, এবং শয়তানদেরকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করা হয়।” (বুখারী, আস-সহীহ, খণ্ড-২, পৃ. ৬৭২; মুসলিম, আস-সহীহ, খণ্ড-২, পৃ. ৭৫৮)
রাসূলুল্লাহ (সা.) আরো বলেন:
﴿أَتَاكُمْ رَمَضَانُ شَهْرٌ مُبَارَكٌ فَرَضَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ عَلَيْكُمْ صِيَامَهُ تُفْتَحُ فِيهِ أَبْوَابُ السَّمَاءِ وَتُغْلَقُ فِيهِ أَبْوَابُ الْجَحِيمِ وَتُغَلُّ فِيهِ مَرَدَةُ الشَّيَاطِينِ لِلَّهِ فِيهِ لَيْلَةٌ خَيْرٌ مِنْ أَلْفِ شَهْرٍ مَنْ حُرِمَ خَيْرَهَا فَقَدْ حُرِمَ﴾
অর্থাৎ, “তোমাদের নিকট রামাদ্বান মাস এসেছে। এই মাসটি বরকতময়। আল্লাহ তোমাদের উপর এই মাসের সিয়াম ফরয করেছেন। এই মাসে আসমানের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয়। এবং এ মাসে জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই মাসে দুর্বিনীত শয়তানদেরকে শৃঙ্খলিত করা হয়। এই মাসে এমন একটি রাত আছে যা এক হাজার রাত অপেক্ষা উত্তম। যে ব্যক্তি সেই রাতের কল্যাণ থেকে বঞ্চিত সে একেবারেই বঞ্চিত হতভাগা।” (নাসাঈ, আস-সুনান, খণ্ড-৪, পৃ. ১২৯; আলবানী, সহীহুত তারগীব, খণ্ড-১, পৃ. ২৪১। হাদীসটি সহীহ)
সিয়াম ফরয করার উদ্দেশ্য সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন:
﴿يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ﴾
অর্থাৎ, “হে ঈমানদারগণ, তোমাদের উপর সিয়াম লিপিবদ্ধ (ফরয) করা হয়েছে, যেরূপভাবে তোমাদের পূর্ববর্তীগণের উপর তা লিপিবদ্ধ করা হয়েছিল, যেন তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পার।” (সূরা বাকারা, আয়াত: ১৮৩)

সিয়ামের মাধ্যমে তাকওয়া অর্জন হবে। তাকওয়া অর্থ হলো হৃদয়ের মধ্যে আল্লাহর অসন্তুষ্টি ও শাস্তি থেকে আত্মরক্ষার সার্বক্ষণিক অনুভূতি। যে কোনো কথা, কর্ম বা বিশেষ কাজের আগে যে বিষয়টা গুরুত্বের সাথে আগেই চিন্তা করতে হবে সেটা হলো যে, এই কাজটি করলে এতে আল্লাহ খুশি হবেন নাকি বেজার হবেন। যদি আল্লাহর অসন্তুষ্টির বিষয় হয় তবে কোনো অবস্থাতেই সেই কাজে আগানো যাবে না।

আলোচনার প্রান্তটিকায় এসে বলবো-মাহে রামাদ্বান একটি ঈমানী পাঠশালা, সারা বছরের পাথেয় উপার্জন, সারা জীবনের মাকসাদকে শানিত করার জন্যে এটি একটি রুহানি ময়দান। যে ব্যক্তি মাহে রামাদ্বানে নিজেকে সংশোধন করতে পারল না সে আর কখন নিজের জীবনকে সংশোধন করবে বা গঠন করবে?

মাহে রামাদ্বান এমন একটি প্রতিষ্ঠান যাতে আমরা নিজেদের ‘আমল, শরিয়ত পরিপন্থী আচার ব্যবহার পরিত্যাগ ও চরিত্র সংশোধন করে নিতে পারি। আল্লাহ তা‘আলা বলেন-
﴿إِنَّ اللَّهَ لَا يُغَيِّرُ مَا بِقَوْمٍ حَتَّى يُغَيِّرُوا مَا بِأَنْفُسِهِمْ﴾ .
অর্থাৎ, “নিশ্চয়ই আল্লাহ ঐ পর্যন্ত কোনো জাতির পরিবর্তন করেন না, যতক্ষণ না তারা নিজেরা নিজেদেরকে পরিবর্তন করে নেয়।” (সূরা আর-রা’দ, আয়াত:১১)

তাই আমাদের নিজেদের অবস্থার সার্বিক পরিবর্তনের লক্ষ্যে, তাক্বওয়া অর্জনের নিমিত্তে, এ মাসে সঠিকভাবে সাওম পালন করে মহান রাব্বে কারীমের সন্তুষ্টি হাসিলের প্রানান্তকর চেষ্ট করা উচিত।

“সাওম যায়, সাওম আসে
বদলে না’তো মানুষ !
যেমন ছিল, তেমন থাকে
ফিরে না’কো হুঁশ ।”

তাই আসুন, আত্মসংযম ও আত্মশুদ্ধির প্রশিক্ষণের মাস রামাদ্বানকে কাজে লাগাই। আল্লাহ আমাদের সেই তাওফীক্ব দান করুন। আমীন।
———————
লেখকঃ
প্রাবন্ধিক ও এমপিল গবেষক
শিক্ষক,
জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, সিলেট।

70 Views

আরও পড়ুন

বিচ্ছুর বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

শারমিন মীমের কবিতা “ভেজাল”

শেরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২

শার্শায় ভোটগ্রহণ নিয়ে কর্মকার্তাদের সাথে নির্বাচন কমিশনারের ব্রিফিং

নাগরপুরে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী বিএনপি নেতা দুলাল বহিষ্কার

গাজায় চলমান গণহত্যার বিরুদ্ধে বুটেক্স শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

রূপগঞ্জের জাঙ্গীর কুদুর মার্কেট-নদীরঘাট রাস্তাসহ ড্রেন নির্মাণ কাজের উদ্বোধন

নাগরপুরে হেভিওয়েট প্রার্থী না থাকায় জমেনি উপজেলা নির্বাচন

“রাখে আল্লাহ, মারে কে” : নাইক্ষ্যংছড়ি ছালামী পাড়ায় মোটরসাইকেল মার্কার সমর্থনে উঠান বৈঠকে চেয়ারম্যান প্রার্থী তোফাইল

কবি ফিরোজ খানের কবিতা

নাইক্ষংছড়িতে প্রিজাইডিং সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ !!

লোহাগাড়ার আজিজ কাতারে মারা গেলো স্ট্রোকে