জহুরুল ইসলাম, নীলফামারী :
বিশ্বের মোসলমানদের পবিত্র মাহে রমজানে আল্লাহর দরবারে দোয়া করার উত্তম সময় এসেছে। দোয়া হল একটি স্বতন্ত্র ইবাদত। আল্লাহর বান্দা তার নিকট দোয়া না করলে আল্লাহ রাগান্বিত হন।
তিনি বান্দার ডাকে সর্বদা সাড়া দিয়ে থাকে। এবিষয়ে আল্লাহ তায়ালা কোরআনে বলেছেন,তোমরা আমাকে ডাক,আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দিব’(সুরা মু’মিন:৬০)।
উল্লেখ্য,রহমত,মাগফিরাত ও নাজাতের ঘোষনা নিয়ে আগমন করে মাহে রমজানের মাস। মাহে রমজানে কিছু উত্তম সময় রয়েছে যখন আল্লাহ বান্দার দোয়া ফিরিয়ে দেন না।
রহমত,মাগফিরাত ও নাজাতের ঘোষনা নিয়ে আগমন করে রমজান মাস। মাহে
রমজানের সেহরীর সময় হল ভোর রাত। রমজানের ভোর রাতে প্রত্যেক মুসলমান জাগ্রত হয়। আর ভোর রাত তথা রাতের এক-তৃতীয়াংশে আল্লাহ প্রথম আসমানে অবতরণ করেন। এবং বান্দার আবদার-আবেদন সমূহ কবুল করেন। এবিষয়ে হাদিস শরীফে বর্ণিত হয়েছে,হজরত আবু হুরায়রা রা.থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ সা.বলেছেন,
আমাদের রব প্রত্যেক রাতে দুনিয়ার আসমানে অবতরণ করেন,যখন রাতের এক-তৃতীয়াংশ বাকি থাকে। তিনি বলেন,কে আমাকে আহ্বান করবে, আমি তার ডাকে সাড়া দেব;কে আমার কাছে প্রার্থনা করবে,আমি তাকে প্রদান করব;কে আমার কাছে ক্ষমা চাইবে, আমি তাকে ক্ষমা করব। (সহিহ বুখারি: ১১৪৫)
ইফতার সামনে নিয়ে আজানের অপেক্ষা করা রোজাদারের জন্য এক মহাপরিক্ষা। এমন মূহুর্তে আল্লাহ বান্দার কমপক্ষে একটি দোয়া হলেও কবুল করেন। হাদিসে এমনই এসেছে, হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস রা.বলেন,নবীজি সা.বলেন,
ইফতারের সময় রোজাদারের একটি দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। অর্থাৎ কমপক্ষে একটি দোয়া অবশ্যই কবুল হয়ে থাকে। হাদিসের বর্ণনাকারী সাহাবি ইফতারের সময় এ দোয়া করতেন
.اللّهُمّ إِنِّي أَسْأَلُكَ بِرَحْمَتِكَ الّتِي وَسِعَتْ كُ شَيْءٍ أَنْ تَغْفِرَ لِ
অর্থ: আয় আল্লাহ,আমি আপনার সর্বব্যাপী রহমতের ওসিলায় প্রার্থনা করছি,আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন। (সুনানে ইবনে মাজাহ:১৭৫৩)
রমজান কোরআন নাজিলের মাস। এ মাসে বেশী বেশী কোরআন পাঠ করা উচিত। কোরআন খতম করে দোয়া করলে আল্লাহ তা কবুল করেন। তাই তারাবি ও নিজ নিজ কোরআন খতমের পরে আল্লাহর নিকট কায়োমনো বাক্যে দোয়া করতে হয়।
হাদিসে বর্ণিত হয়েছে,হজরত ইরবায ইবনে সারিয়া রা.হতে বর্ণিত,রাসুলে করিম সা.এরশাদ করেন,যে ব্যক্তি ফরজ নামাজ পড়লো,তার দোয়া কবুল হয়। আর যে ব্যক্তি কোরআন খতম করলো তার দোয়াও কবুল হবে।’ (আল-মু’জামুল কাবীর: ৬৪৭)