আরবের মরুর বুকে কোরাইশ বংশে আব্দুল্লাহর ঘরে ৫৭০ সালে পৃথিবীতে এসেছিলেন এক টুকরো চাঁদ। মা আমেনার কোলের সেই চাঁদের টুকরোটি আর কেউ ছিলেন না, তিনি ছিলেন মানবতার মুক্তির দূত, রাহমাতুল্লিল আলামিন, সর্বকালের সর্ব শ্রেষ্ঠ মহামানব হজরত মুহাম্মদ (স.)। অন্যায়, অবিচার, দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙে তাঁর আগমন পৃথিবীকে এনে দেয় মুক্তি ও শান্তির সার্বজনীন বার্তা।
আব্দুল্লাহর সেই ঘরটি ছিল শিআবে আলী’র প্রবেশমুখে। বিশ্ব-মুসলমানের পবিত্র স্থান মসজিদুল হারাম থেকে সামান্য দূরে। বনু হাশেম গোত্র যেখানে বাস করত সেটিই ‘শিআবে আলী’ হিসেবে তখন পরিচিত ছিল।
দীর্ঘ ২৩ বছরের নবুয়তি জীবনের পর তিনি মানবজাতির জন্য রেখে গেলেন মহাগ্রন্থ আল কোরআন। যার মধ্যে রয়েছে মানুষের ইহকালীন ও পরকালীন মুক্তির পথ নির্দেশিকা। মাত্র ৬৩ বছরে পৃথিবী থেকে বিদায় নিলেও এখনো তার আদর্শে অনুপ্রাণিত পৃথিবীর প্রতিটি প্রান্তর।
ইতিহাসবিদদের মতে, বাবা আবদুল্লাহর যে ঘরে মহানবী (স.) জন্মগ্রহণ করেছিলেন সেটি এই জায়গাতেই ছিলো। মক্কায় অবস্থানকালীন সময়ে রাসুল (স.) এ ঘরেই বসবাস করতেন বলে জানা যায়। যদিও এ সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য কোনো ঐতিহাসিক তথ্য বা প্রমাণ নেই। তবুও মক্কা নগরীতে এটি রাসুল (স.)-এর জন্মস্থান হিসেবে পরিচিত।
ওসমানি শাসনামলে এ বাড়িটি মসজিদ হিসেবে ব্যবহৃত হত। পরে এখানে একটি লাইব্রেরি স্থাপন করা হয়। সৌদির বিখ্যাত শায়খ আব্বাস কাত্তান ১৩৭১ হিজরিতে ব্যক্তিগত সম্পদ ব্যয় করে এটি নির্মাণ করেন।
মসজিদুল হারামের নতুন সম্প্রসারণ-কার্যক্রমে এই লাইব্রেরিটি অন্তর্ভুক্ত হয়ে পড়েছে। সম্প্রসারণের নতুন নকশা ও মডেল থেকে যতটুকু জানা যায়, এ স্থানে কোনো স্থাপনা তৈরি না করে খালি ও উন্মুক্ত স্থান হিসেবে রাখা হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০