চুনতীর ১৯ দিনব্যাপী ৫২তম আন্তর্জাতিক মাহফিলে সীরতুন্নবী (সা.) ১৬তম দিনের আলোচনায় বক্তারা
সাত্তার সিকদার, লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
২৩ অক্টোবর (রবিবার) শাহ্ সাহেব কেবলা চুনতী কর্তৃক প্রবর্তিত ১৯ দিনব্যাপী ৫২তম আন্তর্জাতিক মাহফিলে সীরতুন্নবী (সা.) এর ১৬তম দিনের অনুষ্ঠান চট্টগ্রাম লোহাগাড়া চুনতীস্থ শাহ্ মনজিল সীরত ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে ছদরে মাহফিল ছিলেন পটিয়া আল জামিয়াতুল ইসলামিয়ার নায়েবে মুহতামিম আলহাজ্ব মুফতি মাওলানা আবু তাহের নদভী। কালামে পাক থেকে তেলাওয়াত করেন ইকবাল হোছাইন, হাফেজ মুহাম্মদ ফারদিন আরফাত রাযিন, হাফেজ মুহাম্মদ জাহেদুল্লাহ। না’আতে রসূল (সা.) পরিবেশন করেন হাসিবুল ইসলাম, মুহাম্মদ মুজাহিদুর রহমান, মুহাম্মদ সাফওয়ান, আবু শামা মুহাম্মদ নুরুদ্দিন। বাদ আছর অধিবেশনে “কালিমা তাইয়্যবাহ এর পরিচয়, তাৎপর্য ও শিক্ষ বর্ণনা”
বিষয়ে আলোচনা করেন চকরিয়া বায়তুল সালাম স্টেশন জামে মসজিদের হাফেজ মাওলানা আবদুর রহিম। বাদ মাগরিব অধিবেশনে “ইসলামে নিকাহের গুরুত্ব ও শরয়ী বিধান, বর্তমানে প্রচলিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানাদী ও যৌতুক প্রথার কুফল বর্ণনা” বিষয়ে আলোচনা করেন লোহাগাড়া রাজঘাটা হোছাইনিয়া আজিজুল উলুম মাদরাসার মুহাদ্দিস আলহাজ্ব মাওলানা সৈয়্যদুল আলম আরমানি। বাদ এশার অধিবেশনে আলোচনা করেন সীতাকুণ্ড কামিল মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ আলহাজ্ব মাওলানা মাহমুদুল হক ও “সূরা কাউসারের তাফসীর ও শিক্ষ” বিষয়ে আলোচনা করেন ঢাকা মারকাযু তাহরিকে খতমে নবুয়্যত কারামাতিয়া মাতলাউল উলুম মাদরাসার মুহাদ্দিস আলহাজ্ব হাফেজ মাওলানা আবদুর রহিম।বক্তারা বলেন, বিবাহের সময় মেয়ের বাড়িতে শর্ত করে আপ্যায়ন গ্রহণ করা হারাম। ‘ছেলেপক্ষ যে অর্থ দেয় তা হলো মহর, মেয়েপক্ষ যা দেয় তা হলো যৌতুক।’ মেয়ের বাড়িতে শর্ত করে আপ্যায়ন গ্রহণ করাও হারাম যৌতুকের অন্তর্ভুক্ত। যৌতুক চাওয়া ভিক্ষাবৃত্তি অপেক্ষা নিন্দনীয় ও জঘন্য ঘৃণ্য অপরাধ। বিয়ের অনুষ্ঠানে আপনাকে দাওয়াত দেওয়া হলে আপনি তাতে অংশ নেবেন। যদি এ ধরনের অনুষ্ঠানে হারাম কিছু না থাকে তবে সেই দাওয়াত গ্রহণ করা সুন্নত।বক্তারা আর বলেন কেননা ইসলামের স্বীকৃতি মতে বিয়ে একটি ইবাদত ও আনুগত্যের স্মারক। তাই বিয়ের অনুষ্ঠানে আপনার অংশগ্রহণ মানে কাঙ্খিত ঘোষণার সফল বাস্তবায়ন এবং বিয়ে সংঘটিত হওয়ার সাক্ষীকে মজবুত করা। তাছাড়া এর মাধ্যমে আপনার মুসলিম ভাই ও বোনের এমন একটি সৎকাজে অংশগ্রহণ করা হচ্ছে, যে সৎকাজটি দ্বারা তারা দ্বীনের অর্ধাংশ অর্জন করেছে। আর এতে করে সহজ হয়ে যাবে দ্বীনের বাকি অংশ লাভ করা। তাই আপনি দাওয়াতে যাওয়ার সময় নিয়ত করে নেবেন যে, আপনি একটি বরকতমণ্ডিত কাজে অংশগ্রহণ করছেন।
শরিয়াসিদ্ধ একটি অনুষ্ঠানে আপনি উপস্থিত হচ্ছেন। যেখানে উপস্থিত হওয়ার জন্য নির্দেশ রয়েছে হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের।
চুনতি হাকিমিয়া অনার্স মাস্টার্স মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা ফারুক হোসাইন ও সিনিয়র শিক্ষক জিয়াউল করিম এর যৌথ সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন লোহাগাড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) এম ইব্রাহিম কবির, চুনতী হাকিমিয়া কামিল মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ হাফিজুল হক নিজামী, মাহফিল মোতওয়াল্লী পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাদা আব্দুল মালেক ইবনে দিনার নাজাত,মোহাম্মদ মাহবুবুল হক,শাহজাদা মাওলানা ইমাম বায়হাকী (ইতামাম),শাহজাদা তৈয়বুল হক বেদার,শাহযাদা আনোয়ার উল্লাহ সুজাত, শাহযাদা আসমাউল্লাহ ইমরাত প্রমুখ।