এশিয়া, আফ্রিকা এবং ইউরোপের কিছু অংশে মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) দেখা গিয়েছিল সূর্যগ্রহণ। ইসলামি সুন্নাহ অনুসারে এ সময় কুসুফ বা সূর্যগ্রহণের নামাজ আদায় করা হয়েছে সৌদি আরবের বায়তুল্লাহ শরিফসহ বিভিন্ন মসজিদে।
আরবনিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সৌদি আরবে সূর্যগ্রহণের ব্যাপ্তি ছিল স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ৫৮ মিনিট থেকে বিকাল ৪টা ২ মিনিট পর্যন্ত মোট চার ঘণ্টা চার মিনিট। সৌদি আরবের সব স্থানেই কমবেশি বিভিন্ন মাত্রায় সূর্যগ্রহণ দেখা গেছে।
আরব বিশ্ব, ইউরোপ, পশ্চিম এশিয়া এবং উত্তর-পূর্ব আফ্রিকার বেশিরভাগ অংশে আংশিক সূর্যগ্রহণ দেখা গেছে। এ সূর্যগ্রহণ সবচেয়ে বেশি দেখা যায় রাশিয়ার সাইবেরিয়ার নিজনেভার্তোভস্ক শহরে। এটি ছিল বছরের দ্বিতীয় ও শেষ গ্রহণ।
এদিকে জোহর নামাজের পর দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে কাবা শরিফে সূর্যগ্রহণের বিশেষ নামাজ ও খুতবা পাঠ করা হয়। খুতবা পাঠ করেন কাবা শরীফের অন্যতম সিনিয়র ইমাম শেখ বন্দর বালিলাহ।
কাবা শরীফ ছাড়াও দেশটির অধিকাংশ মসজিদে এ নামাজ আদায় করা হয়েছে। সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণের সময় নামাজ আদায় করা মহানবী হযরত মুহাম্মদের (সা.) অন্যতম সুন্নাত।
হযরত আয়েশার (রা.) উদ্ধৃতি দিয়ে বুখারী শরীফের হাদিসে বলা হয়েছে, ‘রাসূলুল্লাহর (সা.) যুগে একবার সূর্যগ্রহণ হলো। তখন তিনি লোকজনকে সাথে নিয়ে নামাজ পড়লেন। এতে তিনি দীর্ঘক্ষণ ধরে কিয়াম, রুকু ও সিজদা করেন। মোটকথা অনেক দীর্ঘসময় ধরে তিনি এ নামাজ আদায় করেন। অতঃপর সূর্যগ্রহণ কেটে যাওয়ার পর তিনি নামাজ বন্ধ করলেন। এরপর তিনি মানুষের সামনে বয়ান দেন। আল্লাহর প্রশংসা ও গুণাবলি বর্ণনা করে বলেন, নিশ্চয় সূর্য ও চাঁদ আল্লাহর নিদর্শনসমূহের মধ্যে দু’টি নিদর্শন। কারো মৃত্যু বা জীবনের কারণে এদের গ্রহণ লাগে না। সুতরাং তোমরা যখন তা দেখবে, তখন আল্লাহকে ডাকবে, তাকবির দেবে, নামাজ পড়বে এবং সদকা করবে।’
উল্লেখ থাকে যে, আগামী ৮ নভেম্বর সম্পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে। তবে আরব বিশ্ব থেকে এ চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে না। এটি মূলত দেখা যাবে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পশ্চিম উপকূলীয় এলাকায়।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০