(চুনতীর ১৯ দিনব্যাপী ৫২তম আন্তর্জাতিক মাহফিলে সীরতুন্নবী (সা.) ১২তম দিনের আলোচনায় বক্তারা)
সাত্তার সিকদার, লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
১৯ অক্টোবর ২০২২খ্রি. বুধবার শাহ্ সাহেব কেবলা চুনতী কর্তৃক প্রবর্তিত ১৯ দিনব্যাপী ৫২তম আন্তর্জাতিক মাহফিলে সীরতুন্নবী (সা.) এর ১২তম দিনের অনুষ্ঠান চট্টগ্রাম লোহাগাড়া চুনতীস্থ শাহ্ মনজিল সীরত ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে ছদরে মাহফিল ছিলেন চট্টগ্রাম দারুল মা’আরিফ আল ইসলামিয়ার সহকারি পরিচালক আলহাজ্ব মাওলানা ফোরকান উল্লাহ। কালামে পাক থেকে তেলাওয়াত করেন সাঈদুল ইসলাম, হাফেজ রবিউল হাসান, শরিফ বিন আনোয়ার। না’আতে রসূল (সা.) পরিবেশন করেন এ.বি.এম. গোলাম রব্বানী, মুহাম্মদ মুস্তাকিম ছিদ্দিক, মুহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মারুফ, মুহাম্মদ সাঈদুল ইসলাম। বাদ আছর অধিবেশনে “নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলাত। বে-নামাজীর বিভিন্ন ধরণের শাস্তির বিবরণ” বিষয়ে আলোচনা করেন লোহাগাড়া চুনতী হাকিমিয়া কামিল মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা আবদুল হামিদ। বাদ মাগরিব অধিবেশনে “মাযহাব অনুসরণের প্রয়োজনীয়তা ও হানাফী মাযহাবের বৈশিষ্ট্য বর্ণনা” বিষয়ে আলোচনা করেন চট্টগ্রাম জিরি আল জামিয়াতুল ইসলামিয়ার মুহাদ্দিস আলহাজ্ব মাওলানা শাহাদত হোছাইন। বাদ এশার অধিবেশনে “কিয়ামতের আলামত সমূহের বিবরণ” বিষয়ে আলোচনা করেন ঢাকা দক্ষিণ বাড্ডা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব আলহাজ্ব মাওলানা মুফতি মনজুর হোসাইন।বক্তারা বলেন, নবী করিম (আঃ) এরশাদ করেন মুমিন ও কাফেরের মধ্যে পার্থক্য করার মাধ্যম হল নামাজ। যে বান্দা নামাজ পড়বে আল্লাহ তায়ালা তার সকল কাজের জিম্মাদার হয়ে যান এবং তার সকল কাজে আল্লাহর সাহায্য নেমে আসে। আল্লাহ নামাজি ব্যাক্তিকে অধিক ভালবাসেন। ক্বিয়ামত দিবসের প্রতি এবং আখেরাতের শাস্তি কিংবা নেয়ামতের উপর বিশ্বাসই মানুষকে সকল প্রকার কল্যাণের পথে নিয়ে যায় এবং সকল অন্যায় পথ হতে বিরত রাখে। এজন্যই পবিত্র কুরআনে বারবার ক্বিয়ামত দিবসের কথা আলোচনা করা হয়েছে। মানুষের চরিত্র সংশোধনের জন্যে এবং তাদেরকে সঠিক পথে পরিচালনার জন্যে পরকালের প্রতি ঈমানের যে প্রভাব রয়েছে, মানব রচিত কোন বিধানেই তা খুঁজে পাওয়া যাবে না। এজন্যেই আল্লাহ ও পরকালের প্রতি বিশ্বাস এবং আল্লাহ ও পরকালে অবিশ্বাসী ব্যক্তি উভয়ের মাঝে আকাশ-পাতাল পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। বক্তারা আরো বলেন, এমনকি যখন অবস্থা করুণ হবে ও ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চলবে তখনও সৎ লোকেরা ইবাদত পালনে লিপ্ত থাকবে। রাসূল (সাঃ) বলেন, ফিতনা-দুর্যোগের সময় ইবাদত করা আমার নিকট হিজরত করার সমতুল্য। চুনতি হাকিমিয়া অনার্স মাস্টার্স মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা ফারুক হোসাইন ও সিনিয়র শিক্ষক জিয়াউল করিম এর যৌথ সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন চুনতী হাকিমিয়া কামিল মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ হাফিজুল হক নিজামী, মাহফিল মোতওয়াল্লী পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাদা আব্দুল মালেক ইবনে দিনার নাজাত, মাওলানা হেলাল উদ্দিন, আলহাজ্ব অলি উদ্দিন, শাহজাদা তৈয়বুল হক বেদার প্রমুখ।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০