অনলাইন ডেস্ক
ইসলামিক বক্তা মুফতি আলী হাসান উসামা বলেছেন, এক মেয়াদে দেশের নেতৃত্ব বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামির আমির ডা. শফিকুর রহমানের হাতে থাকলে সারা দুনিয়ার জন্যও দেশ রোলমডেলে পরিণত হবে।
শুক্রবার ইসলামিক আলোচক ও জনপ্রিয় বক্তা উসামা তার ফেসবুক পোস্টে এ কথা বলেন।
উসামা বলেন- ‘দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মিডিয়াগুলো যেভাবে ডা. শফিকুর রহমান সাহেবকে নিয়ে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে, তা পুরোই বেনজির। দল-মতের সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠে সকল ধারার মানুষ যেভাবে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করছে, বরং করতে বাধ্য হচ্ছে, তাতে এ কথা বললে অত্যুক্তি হবে না, এক মেয়াদে দেশের নেতৃত্ব তার হাতে থাকলে লাখো অমুসলিমও দ্বিনের দিকে ধাবিত হবে, সারা দুনিয়ার জন্যও দেশ রোলমডেলে পরিণত হবে।’
এর আগে গত ১৮ আগস্ট কওমি আলেমদের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর আমিরের মতবিনিময় শেষে আরও একটি ফেসবুক পোস্ট দিয়েছেন উসামা সে সময় তিনি বলেন- দেশ, ধর্ম ও জাতির চরম সংকটে ঐক্যের প্রচেষ্টাগুলো সফল ও সার্থক হোক। শ্রদ্ধেয় আমিরে জামায়াতের আহ্বানে আজ কওমি ঘরানার আলিম-উলামার মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে।
‘ডা. শফিকুর রহমান সাহেবের ব্যক্তিত্ব যে-কাউকে মুগ্ধ করার মতো। এই বয়সেও কর্মচাঞ্চল্যে যেন উদ্যমী তরুণ। প্রথম সাক্ষাৎ হলো আজ; তবে মনে হলো, যেন কতকালের চেনা। দেখেই বুকে জড়িয়ে নিলেন। কপালে চুমু খেলেন। রাতে মহফিল থাকায় প্রোগ্রামের শেষ পর্যন্ত থাকতে পারিনি। আমার আলোচনায় রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক নব্য জাহিলি আধিপত্য রুখে দেওয়ার জন্য এবং সমস্ত নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা দূর করে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের আহ্বান জানালাম।’
ইখতিলাফ ছিল, আছে, থাকবে; তবে ইসলামকে সম্মিলিতভাবে বিজয়ী করতে হবে উল্লেখ করে উসামা বলেন, ঐক্যের ভিত্তি শাখাগত মাসআলা বা ইখতিলাফি বিষয় নয়; ঐক্যের ভিত্তি যা, তা নিয়ে দ্বিমত করার সুযোগ কোথায়! সুতরাং এক সরকার যাবে, আরেক সরকার আসবে; তবে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে ইসলামের বিকল্প কিছু হবে না। সুতরাং ইসলামপন্থিদের মাথায় কাঁঠাল রেখে সবাই খাবে, এটা হতে দেওয়া যাবে না। গুটিকয়েক নাস্তিক পর্যন্ত বিশাল জনগোষ্ঠীর ইসলামপন্থিদের চাপে ফেলে দেয়। অথচ সকলে মৌলিক বিষয়গুলোতে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা রাখলে ইসলামের পক্ষে গণআন্দোলন গড়ে তোলা সময়ের ব্যাপার মাত্র।’
উসামা আরও বলনে, বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ ইসলাম বিজয়ী হোক, এটা চায়ই না অজ্ঞতার কারণে। কারণ, তারা ইসলামের পূর্ণাঙ্গ চিত্র বুঝতে পারেনি। তাই নিজেদের অজান্তেই সেক্যুলার বিশ্বাস লালন করে। আর যারা ইসলামকে বিজয়ী দেখতে চায়, তারা ইসলামি দলগুলোর কাদা ছোড়াছুড়ির কারণে বিরক্ত হয়ে ওঠে। তাই সব ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে জাতীয় সংকটে মৌলিক বার্তা তুলে ধরতে হবে মুসলিম জনসাধারণের সামনে। তাহলে ইসলামের পক্ষে বিপ্লব সময়ের ব্যাপার মাত্র। ‘