ঢাকারবিবার , ২০ এপ্রিল ২০২৫
  1. সর্বশেষ

জুমআর দিন যে সব আমল ফজিলতপূর্ণ

প্রতিবেদক
নিউজ ভিশন ধর্ম ডেক্স
২১ অক্টোবর ২০২২, ৬:৫৩ পূর্বাহ্ণ

Link Copied!

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, জুমআ এবং রমজানের মধ্যবর্তী সময়ে যে সব গোনাহ হয়ে থাকে তা পরবর্তী নামাজ, জুমআ এবং রমজান (পালনে) সে সব মধ্যবর্তী গোনাহসমূহের কাফফারা হয়ে থাকে। যদি কবিরা গোনাহ থেকে বেঁচে থাকে।’ (মুসলিম, তিরিমজি)

উল্লেখিত হাদিসেরর আলোকে বুঝা যায় যে, কোনো ব্যক্তি যদি ফজরের নামাজ পড়ার পর পরদিন ফজরের নামাজ আদায় করে তবে এ সময়ে মধ্যে করা সব (কবিরা গোনাহ ব্যতিত) গোনাহ আল্লাহ তাআলা ক্ষমা করে দিবেন। অনুরূপভাবে এক জুমআ থেকে অপর জুমআ এবং এক রমজানের রোজা আদায়ের পর থেকে পরবর্তী রমজানের রোজা আদায় করে তবে ওই ব্যক্তির দ্বারা সংঘটিত পূর্ণ এক বছরের সব (কবিরা গোনাহ ব্যতিত) গোনাহ মাফ করে দেয়া হবে।

জুমআর দিন মুসলিম উম্মাহর জন্য রয়েছে ফজিলতপূর্ণ অনেক আমল। এগুলো মধ্যে তিনটি আমল অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আর তাহলো-

> জুমআর দিনে ‘সুরা কাহফ’ তেলাওয়াত করা। পবিত্র কুরআনুল কারিমের ১৫তম পারার ১৮নং সুরা এটি। যদি কেউ সম্পূর্ণ সুরাটি তেলাওয়াত করতে না পারে তবে সে যেন এ সুরার প্রথম এবং শেষ ১০ আয়াত তেলাওয়াত করে।

ফজিলত 

  • যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহফ পাঠ করবে তার জন্য এক জুমা থেকে অপর (পরবর্তী) জুমা পর্যন্ত নূর হবে।

  • যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহাফ তেলাওয়াত করবে, সে আটদিন পর্যন্ত সর্বপ্রকার ফেতনা থেকে মুক্ত থাকবে। যদি দাজ্জাল বের হয় তবে সে দাজ্জালের ফেতনা থেকেও মুক্ত থাকবে।

  • এক জুমা থেকে অপর জুমা পর্যন্ত তার সব (কবিরা গোনাহ ব্যতিত) গোনাহ মাফ হয়ে যাবে।

> জুমআর দিনে বেশি বেশি দরূদ পাঠ করা উত্তম ও ফজিলতপূর্ণ। যদি কোনো ব্যক্তি একবার দরূদ পড়ে তবে তার প্রতি ১০টি রহমত নাজিল হয়।

আর যে ব্যক্তি জুমার দিন আসরের নামাজের পর ৮০ বার এ দরুদ পড়বে, তার ৮০ বছরের গোনাহ্ মাফ হবে এবং ৮০ বছর ইবাদতের সওয়াব তার আমলনামায় লেখা হবে।

দরূদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ দুরুদ হচ্ছে ‘দরূদে ইবরাহিম’; যা নামাজে পড়া হয়।

> জুমআর দিন দোয়া কবুলের কিছু সময় বা মুহূর্ত রয়েছে; সে সময়গুলোতে বেশি বেশি দোয়া ও ইসতেগফার করা।

বিশেষ করে জুমআর দিন ও জুমআর নামাজ আদায় মুসলিম উম্মাহর জন্য অনেক গুরুত্ব ও ফজিলতপূর্ণ দিন। এ দিনের প্রতিটি আমলই গুরুত্বপূর্ণ। এ কারণেই প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জুমআর নামাজ পরিত্যাগ করার ব্যাপারে সতর্কতা জারি করেছেন।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি (ইচ্ছা করে) অলসতাবশত তিনটি জুমআ ছেড়ে দেবে, আল্লাহ তাআলা তার হৃদয়ে মোহর মেরে দেন।’ (মুসলিম, তিরমিজি, নাসাঈ, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ, মুয়াত্তা মালেক)

পরিশেষে
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে জুমআর নামাজ আদায় করার তাওফিক দান করুন। জুমআর দিনের আমল ও করণীয়গুলো যথাযথ আদায় করার তাওফিক দান করুন। জুমআর দিনে মর্যাদা ও ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে সবাইতে মাফ করে দিন। আমিন।

315 Views

আরও পড়ুন

নালিতাবাড়ীতে কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে যুবক আটক

কাপাসিয়ায় বিরল রোগে আক্রান্ত শিশুর চিকিৎসায় সহায়তা করলেন জামায়াত নেতা আইউবী

মহেশখালী নৌঘাটে সী ট্রাক চালু ও পল্টুন স্হাপনকে স্বাগতম- ড. হামিদুর রহমান আযাদ

গরমে যেসব অসুখ বেশি হতে পারে

জামালপুরে তিন হাজার পাঁচশত পিস ইয়াবা সহ মাদক ব্যবসায়ী আটক

বাংলাদেশ স্কাউটস বোয়ালখালী উপজেলার নির্বাহী কমিটির সভা

রংপুরে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

দুর্গাপুরে আ.লীগ নেতা ফারুকসহ তিন কলেজ অধ্যক্ষের দুর্নীতি প্রমাণিত, দ্রুত বিচার দাবি

চট্টগ্রামে চলন্ত বাসে কিশোরীকে গনধর্ষণ : আটক ২ যুবক

সিডিএ’র আইন উপদেষ্টা হলেন মানবাধিকার আইনবিদ জিয়া হাবীব আহসান

সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীদের অবরোধ প্রত্যাহার,কর্মসূচী স্থগিত

ঠাকুরগাঁওয়ে ইএসডিও’র আরএমটিপি এবং গ্রীন ডেল্টা ইন্সুরেন্স লিমিটেডের সেবা বিষয়ক সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর কর্মশালা