জামায়াতের উগ্রপন্থী একটি অংশ এবি পার্টির বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন ধরনের ফতোয়াবাজি ও অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু।
শনিবার বিকালে সুপ্রিমকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। এ সময় সব শর্ত পূরণের পরও দলের নিবন্ধন নিয়ে ষড়যন্ত্র ও টালবাহানা করা হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে গণআন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দিয়েছে দলটি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- এবি পার্টির আহ্বায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরী, যুগ্ম আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. মেজর (অব.) আবদুল ওহাব মিনার, অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট গোলাম ফারুক, যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, ব্যারিস্টার যোবায়ের আহমেদ ভুইঁয়া, বিএম নাজমুল হক, সিনিয়র সহকারী সদস্য সচিব আবদুল্লাহ আল মামুন রানা, আনোয়ার সাদাত টুটুল, এবিএম খালিদ হাসান, আমিনুল ইসলাম এফসিএ, আবদুল বাসেত মারজান, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আলতাফ হোসাইন, ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ লোকমান, কেন্দ্রীয় নেত্রী বেবী পাঠান ও নাসরীন সুলতানা মিলি প্রমুখ।
ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি ও জামায়াত নেতা মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘আমরা দল ঘোষণার পর থেকেই জামায়াতের উগ্রপন্থী একটি অংশ আমাদের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন ধরনের ফতোয়াবাজি ও অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে, এমনকি কতল বা হত্যার ফতোয়া পর্যন্ত দিয়েছে।’
‘তার ওপর রয়েছে নির্বাচন কমিশনের নতুন রাজনৈতিক শক্তি বিকাশের পরিপন্থী কঠিন শর্তগুলো। যেখানে কমিশনের উচিত ছিল সহজ শর্তে রাজনৈতিক দল নিবন্ধন দিয়ে গণতান্ত্রিক পরিবেশকে সংহত করা, সেখানে কমিশন নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের প্রক্রিয়াকে আটকে দিয়েছে কঠিন ও অগণতান্ত্রিক শর্তের বেড়াজালে।’
মঞ্জু বলেন, ‘গোটা বাংলাদেশে কোনো রাজনৈতিক দলই স্বাধীনভাবে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছে না। সেখানে ২৩ জেলায় ও ১০০ উপজেলায় কমিটি গঠন ও দুইশ ভোটার পার্টির সদস্য অর্থাৎ বিশ-বাইশ হাজার মানুষকে পার্টির সদস্য হওয়ার দালিলিক প্রমাণ, কার্যকর অফিস স্থাপন একটি দুরূহ ব্যাপার। পুলিশি হয়রানি, সরকারি দলের হুমকি-ধামকিতে কোনো বাড়ির মালিক রাজনৈতিক দলকে অফিস ভাড়া দিতে আগ্রহী হয় না। এ অবস্থায় আমরা আমাদের জেলা, মহানগর, উপজেলা ও থানা পর্যায়ের নেতাদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও আন্তরিক ভূমিকার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের শর্তগুলো পূরণ করতে সক্ষম হয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, আগামী ১৬ অক্টোবর আমরা নির্বাচন কমিশনের শর্ত অনুযায়ী এই সব দলিল দস্তাবেজসহ নিবন্ধনের আবেদন নির্বাচন কমিশনে জমা দেব।
এবি পার্টি নিবন্ধন পাবে কি না জানতে চাইলে মঞ্জু বলেন, সব শর্ত পূরণের পরও ষড়যন্ত্রের ঘৃণ্যজালে দলের নিবন্ধন নিয়ে টালবাহানা করা হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে গণআন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
এর আগে এবি পার্টি নিবন্ধনের এই কার্যক্রমে অংশ নেওয়া সব জেলা, মহানগর, উপজেলা ও থানা প্রতিনিধিদের নিয়ে দিনব্যাপী প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রায় ছত্রিশ জেলা ও প্রায় দেড় শতাধিক উপজেলার কয়েক শত নেতাকর্মী অংশ নেন। সম্মেলন শেষে একটি শোভাযাত্রা নগরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।