ঢাকাসোমবার , ২৫ নভেম্বর ২০২৪
  1. সর্বশেষ

কোরআনের প্রতি বিশ্বাস খুঁজে পেয়ে ইসলাম গ্রহণ করেন বিজ্ঞানমনস্ক তরুণী

প্রতিবেদক
রফিকুল ইসলাম জসিম
১৪ অক্টোবর ২০২২, ৬:০৭ অপরাহ্ণ

Link Copied!

আমার জন্ম মুক্তচিন্তায় অভ্যস্ত একটি পরিবারে। এজন্য শৈশব থেকে আমি বাস্তবতা ও বিজ্ঞানে বিশ্বাসী ছিলাম। পবিত্র কুরআনে আমি আমার সেই বিশ্বাসের প্রতিধ্বনি খুঁজে পেয়েছি। কুরআনে বিজ্ঞানের অনুকূল বহু আয়াত রয়েছে।

আমার ইসলাম গ্রহণের পেছনে কুরআন পাঠের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। আমি গোপনে কুরআন পাঠ করতাম। একদিন মা আমাকে রুমের ভেতর কুরআন পড়তে দেখে অপ্রস্তুত হয়ে যান। এরপর কয়েক মাস দুজনের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক ছিল না। যখন তিনি বুঝতে পারলেন, আমাকে ইসলাম শেখা ও তার পরিপালন থেকে বিরত রাখতে পারবেন না, তখন এক রমজানে তিনি আমাকে ঘর থেকে বের হয়ে যেতে বললেন। অথচ আমি তখন রোজাদার। ২০১৪ সালে ২৬ বছর বয়সে আমি ইসলাম গ্রহণ করি। মুসলমানের ধর্মবিশ্বাস হলো, পৃথিবীর সব শিশু মুসলিম হিসেবেই জন্মগ্রহণ করে। সে হিসেবে আমি কেবল নিজ ধর্মে ফিরে এসেছি।

আমার পরিবর্তন ও ইসলাম গ্রহণ মায়ের পক্ষে মেনে নেয়া কঠিন ছিল। কেননা তিনি মুসলিমদের ব্যাপারে মিডিয়ার প্রচার দ্বারা প্রভাবিত ছিলেন। প্রথমে ভাবলাম, ইসলাম সম্পর্কে যথাযথ জ্ঞান না থাকায় তিনি হয়তো পরিবর্তন মেনে নিতে পারছেন না। তাই তাকে বোঝানোর চেষ্টা করলাম। কিন্তু আলোচনাগুলো ঝগড়া ও বিবাদে রূপ নিত। আমি বুঝে গেলাম বিষয়টি সমাধান হওয়ার নয়। তাই আমার ইসলাম গ্রহণের ব্যাপারে যাদের আপত্তি ছিল তাদের থেকে দূরে সরে গেলাম। চিন্তা করে দেখলাম, ইসলাম আমাকে একজন ভালো মানুষে পরিণত করেছে—এটা প্রমাণ করাই ইসলামের সৌন্দর্য তুলে ধরার সর্বোত্তম পথ। আমি সে চেষ্টা করে গেলাম। কিছুদিন পর তারা বুঝতে পারে, আমি আরো বেশি শ্রদ্ধাশীল হয়েছি। সব প্রতিকূলতার মধ্যে আমি শান্ত ছিলাম। কেননা আমার ভেতরে প্রশান্তি ছিল। সত্যিই ইসলাম আমার জীবনে অনেক পরিবর্তন এনেছে। ইসলাম একটি চমৎকার ধর্ম। ইসলামের সৌন্দর্য আমাকে শান্তি ও প্রশান্তি দিয়েছে। ইসলাম গ্রহণের কারণে পরিবারের সদস্যরা বিরূপ হলেও আমি এমন বহু মানুষ পেয়েছি, যারা সবাইকে উদার ও মুক্ত মনে গ্রহণ করতে পেরে আনন্দিত।

যখন আমি অন্যদের আমার ইসলাম গ্রহণের ব্যাপারে জানালাম, তাদের বেশির ভাগই ছিল বিস্মিত ও আহত। তারা ঘৃণামিশ্রিত নানা প্রশ্ন ছুড়ে দিত। যেমন—তারা বলত, তুমি কি জানো না যে তুমি আর কখনো শূকরের গোশত খেতে পারবে না? তুমি কি জানো না যে তোমার স্বামী চারটি বউ রাখতে পারবে? তুমি কি জানো না যে ইসলাম একটি সন্ত্রাসী ধর্ম? আমি হাসিমুখে এসব প্রশ্ন এড়িয়ে যেতাম। এ ক্ষেত্রে কুরআনের একটি আয়াত আমার অন্তরের গভীরে প্রতিধ্বনিত হতো—‘ধর্মে কোনো বাড়াবাড়ি নেই। বস্তুত সত্য পথ স্পষ্ট হয়ে গেছে অসত্য পথ থেকে।’ আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, প্রতিটি মানুষকে জীবনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা ও জ্ঞান দেয়া হয়েছে—সেটা ধর্মের ক্ষেত্রে হোক বা অন্য কোনো ক্ষেত্রে। আপনি যদি চান মানুষ আপনার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত না নিক, তবে আপনারও উচিত তাদের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে মন্তব্য না করা।

সূত্র অ্যাবাউট ইসলাম 

326 Views

আরও পড়ুন

পাঠকের অনূভুতিতে ❝কলিজার আধখান❞

অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রমে বিএনপি সন্দেহ করছে–ড. হুমায়ুন কবির

বিশ্বরূপ চন্দ্র বিশ্বাসের কবিতা:- হাসি

শান্তিগঞ্জে জমিয়তের গণসংবর্ধনা ও কাউন্সিল শুক্রবার

শান্তিগঞ্জে জমিয়তের গণ সমাবেশ সফল করার লক্ষে সংবাদ সম্মেলন

আইডিইবির ৫৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আধুনগর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের র‌্যালি ও আলোচনা সভা

দোয়ারাবাজারে এফআইভিডিবি’র স্বাস্থ্য সামগ্রী বিতরণ

বোয়ালখালীর নব যোগদানকৃত শিক্ষা অফিসার হারুন উর রশীদকে বরণ

জামালপুরে মৃত আইনজীবী হলেন অতিরিক্ত জিপি

তানযীমুল উম্মাহ হিফয মাদ্রাসা, সাইনবোর্ড শাখার বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সম্পন্ন

সাইফুল ইসলামের কবিতা : শীতের আমেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ইসলামি বক্তা আব্দুল হাই মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ