আল্লাহ তায়ালা তাঁর ইবাদতের জন্য মানুষকে বিভিন্ন পন্থা দান করেছেন। নামাজ, রোজা ও হজ্ব। এগুলোর একেকটির নিয়ম পদ্ধতি সম্পূর্ণই ভিন্ন ভিন্ন। তেমনি ইতিকাফও একটি ভিন্ন ধরনের ইবাদত। মানুষ নিজের পার্থিব সব ব্যস্ততা ও কাজ পরিত্যাগ করে আল্লাহর দরবার তথা মসজিদে চলে যায়। আল্লাহ ছাড়া পার্থিব কাজ থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন রেখে একমাত্র আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে। ৯-১০ দিনের এই সংক্ষিপ্ত সময় সম্পূর্ণ মনোযোগ ও একাগ্রতার সঙ্গে আল্লাহর জিকির, দোয়া ও ইবাদতে নিয়োজিত থেকে আল্লাহর সঙ্গে বিশেষ সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং নৈকট্য লাভ করে।
যতক্ষণ মানুষ ইতিকাফে থাকে, তার পানাহার, ওঠা-বসা, ঘুমানো জেগে থাকা বরং প্রতিটি মুহূর্ত ইবাদতের মধ্যে গণ্য হয়। মনে হবে ইতিকাফকারী লোক দুনিয়ার যাবতীয় বস্তু ও কাজ ছেড়ে আল্লাহর ঘরে এসে বলছেন, আমি এসে পড়েছি, আমায় ক্ষমা করে দিন, যতক্ষণ আপনি আমাকে ক্ষমা করছেন না, আমি আপনার দরবার ছাড়ছি না। ইতেকাফ হলো বিশেষ নিয়তে, বিশেষ অবস্থায়, আল্লাহ তায়ালার আনুগত্যের উদ্দেশ্যে মসজিদে অবস্থান করাকে ইতেকাফ বলে।
রমজানের শেষ ১০ দিনে কেন?
শবেকদরকে পাওয়া এবং এই পবিত্র রাতের ঘোষিত ফজিলত থেকে উপকৃত হওয়ার জন্য ইতেকাফ থেকে উত্তম আর কোনো উপায় নেই। কারণ আল্লাহ তায়ালা কদরের রাতকে নির্দিষ্ট করে দেননি। বরং এর তারিখ গোপন রেখেছেন। যাতে মুসলমানরা রমজানের শেষ ১০ দিনের সব বেজোড় রাতে রাত জেগে আমল করতে থাকে। স্বাভাবিকভাবে মানুষের পক্ষে রাতের প্রতিটি মুহূর্ত ইবাদতে নিয়োজিত থাকা সম্ভব হয়ে ওঠে না। কিন্তু মানুষ ইতেকাফ অবস্থায় যদি রাতে ঘুমিয়েও থাকে, তবু তাকে ইবাদতকারীদের মধ্যে শামিল করা হবে। তখন শবেকদরের প্রতিটি মুহূর্ত ইবাদতে ব্যয় করার ফজিলত অর্জন করবেন তিনি। এটি এত মহান ফজিলত, যার তুলনায় ১০ দিনের এই মেহনত ও শ্রম কিছুই না।
নবী (সা.) যেভাবে ইতেকাফ করেন : 'হজরত আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, নবী (সা.) রমজানের শেষ ১০ দিন ইতেকাফ করতেন। ওফাত পর্যন্ত তিনি এভাবেই করে গেছেন। (অর্থাৎ মৃত্যু পর্যন্ত ইতেকাফের এই ধারা অব্যাহত ছিল) (বুখারি ও মুসলিম) হজরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) রমজানের শেষ ১০ দিন ইতেকাফ করতেন। হজরত নাফে বলেন, আমাকে হজরত ইবনে উমর (রা.) ওই স্থানটি দেখিয়েছেন যে স্থানে নবী (সা.) ইতেকাফ করতেন। (মুসলিম শরিফ)
ইতেকাফের ফজিলত :
হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ইতেকাফকারী গোনাহ থেকে মুক্ত থাকে। তাঁর সব নেক আমল এমনভাবে লিপিবদ্ধ করতে থাকে, যেভাবে তিনি নিজে করতেন। (ইবনে মাজাহ, মিশকাত) অর্থাৎ সে ইতেকাফের বাইরে থাকতে যেসব ভালো কাজ আনজাম দিত, যা সে ইতেকাফ থাকার কারণে করতে পারছে না, সেসব আমল আগের মতোই লিপিবদ্ধ হতে থাকে।
ইতেকাফ যাঁরা করবেন : ইতেকাফের জন্য জরুরি হলো, মুসলমান হওয়া, সুস্থ মস্তিষ্কের অধিকারী হওয়া। সুতরাং কাফের এবং মাতাল লোকের ইতেকাফ জায়েজ নেই। নাবালেগ তবে বুঝ হয়েছে- এমন বাচ্চা যেরূপ নামাজ, রোজা পালন করতে পারে, তেমনি ইতেকাফও করতে পারে। (বাদায়েউস সানায়ে) নারীরাও ঘরে কোনো স্থান নির্দিষ্ট করে ইতেকাফ করতে পারে। তবে তার জন্য স্বামীর অনুমতি আবশ্যক। সঙ্গে সঙ্গে তাকে হায়েজ ও নেফাস থেকে পাক থাকতে হবে। ওয়াজিব ইতেকাফ এবং সুন্নাত ইতেকাফে শর্ত হলো রোজাদার হতে হবে। যার রোজা হবে না তার ইতেকাফ শুদ্ধ হবে না। তবে নফল ইতেকাফে রোজা আবশ্যক নয়।
ইতেকাফের স্থান :
পুরুষরা শুধু মসজিদেই ইতেকাফ করতে পারে। ইতেকাফের সর্বোত্তম স্থান হলো মসজিদে হারাম, তারপর মসজিদে নববী, তারপর মসজিদে আকসা, এরপর যেকোনো জামে মসজিদ। জামে মসজিদে ইতেকাফ উত্তম। কারণ জুমার জন্য অন্যত্র যেতে হবে না। কিন্তু জামে মসজিদে ইতেকাফ করা জরুরি নয়। বরং যেসব শরয়ী মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ হয়, সে মসজিদে ইতেকাফ করতে পারে। (শামী ২/১২৯)
তিন প্রকার ইতেকাফ :
রমজানুল মুবারকের শেষ ১০ দিনের ইতেকাফই সুন্নাত। ২১ তারিখের রাত থেকে ঈদুল ফিতরের চাঁদ দেখা পর্যন্ত এই ইতেকাফের সময়। কারণ নবী (সা.) প্রত্যেক বছর এই দিনগুলোতেই ইতেকাফ করতেন। এ কারণে এটাকে সুন্নাত ইতেকাফ বলা হয়।
ওয়াজিব ইতিকাফ :
মান্নতের ইতেকাফ ওয়াজিব। সুন্নাত ইতেকাফ ভঙ্গ হয়ে গেলে তা কাজা করা ওয়াজিব।
নফল ইতেকাফ :
এ ইতেকাফ মানুষ যেকোনো সময় করতে পারে। অর্থাৎ কিছু সময়ের জন্য ইতেকাফের নিয়তে মসজিদে অবস্থান করা। এর জন্য নির্দিষ্ট কোনো সময় নেই। যতক্ষণ চায় করতে পারে। রোজারও প্রয়োজন নেই। এমনকি যখনই মসজিদে প্রবেশ করবে নফল ইতেকাফের নিয়ত করা সুন্নাত। এই তিন ধরনের ইতেকাফের ভিন্ন ভিন্ন বিধান আছে। এখানে শুধু সুন্নাত ইতেকাফের কিছু বিধান আলোচনা করা হলো। সুন্নাত ইতেকাফকারীদের ২০ রমজানের সূর্যাস্তের আগে মসজিদের সীমানায় প্রবেশ করতে হবে। শেষ ১০ দিনের ইতেকাফ সুন্নাতে মুআক্কাদা কিফায়া। অর্থাৎ মহল্লার যেকোনো একজন ইতেকাফ করলে পুরো মহল্লাবাসীর পক্ষ থেকে ইতেকাফ আদায় হয়ে যাবে। কিন্তু মহল্লার একজন ব্যক্তিও যদি ইতেকাফ না করে তবে মহল্লার সবার সুন্নাত পরিত্যাগের গোনাহ হবে। (শামী)
ইতেকাফের সবচেয়ে বড় রুকন হলো ইতেকাফের পুরো সময় মসজিদের সীমানায়ই অবস্থান করা। শরয়ী হাজত তথা শরিয়তস্বীকৃত বাধ্যবাধকতা ছাড়া মসজিদের সীমানা থেকে বাইরে না যাওয়া। শরয়ী প্রয়োজন ছাড়া মসজিদের সীমানার বাইরে সামান্য সময়ও অবস্থান করলে ইতেকাফ নষ্ট হয়ে যাবে।
মসজিদের সীমানা : অনেক লোক মসজিদের সীমানা সম্পর্কে অবগত নন। এ কারণে অনেকে ইতেকাফ নষ্ট করে থাকেন। অতএব মসজিদের সীমানা সম্পর্কে অবগত হওয়া অতীব প্রয়োজন।
সাধারণত মসজিদের পুরো বাউন্ডারিকেই মসজিদ বলে। অথচ মসজিদের পুরো বাউন্ডারি মসজিদের শরয়ী সীমানা হওয়া আবশ্যক নয়। বরং শরিয়তের দৃষ্টিতে মসজিদের সীমানা ওই টুকুই, যেটুকু স্থান মসজিদ প্রতিষ্ঠাতা ওয়াকফ করার সময় মসজিদের নিয়ত করেছেন।
জমিনের কোনো অংশ মসজিদ হওয়া এক জিনিস আবার মসজিদের বিভিন্ন প্রয়োজনে ওয়াকফ করা আরেক জিনিস। শরিয়তের দৃষ্টিতে মসজিদ শুধু ওই স্থানকে বলা হয়, যে স্থানকে শুধু নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা মসজিদ বলে সাব্যস্ত করেছেন। কিন্তু প্রতিটি মসজিদেই এমন কিছু জায়গা থাকে, যে জায়গা মসজিদের বিভিন্ন প্রয়োজনীয়তায় ওয়াকফ করা হয়। যেমন ওযুর স্থান, ইস্তিঞ্জার স্থান, হাম্মাম, গোসলখানা, ইমাম সাহেবের হুজরা ইত্যাদি। এগুলো মসজিদের হুকুমের বাইরে। ইতেকাফকারী শরিয়তস্বীকৃত প্রয়োজন ব্যতিরেকে এসব স্থানে গেলে ইতেকাফ নষ্ট হয়ে যাবে।
কিছু কিছু মসজিদে তো এসব স্থান মসজিদ থেকে পৃথক থাকে। তাই এই স্থানগুলো যে মসজিদের বাইরের অংশ তা সহজে অনুমান করা যায়। কিন্তু বেশির ভাগ মসজিদে এসব প্রয়োজনীয় অংশ মসজিদের সঙ্গে লাগানো ও সম্পৃক্ত থাকে। তাই প্রত্যেকে জ্ঞাত হয় না যে, এসব মসজিদের অন্তর্ভুক্ত নয়। অনেক সময় মসজিদের সিঁড়ি, যা দিয়ে মসজিদে প্রবেশ করা হয় তা মসজিদের সীমানার অন্তর্ভুক্ত থাকে না। সেরূপ স্থানেও ইতেকাফকারী বিনা কারণে গেলে ইতেকাফ নষ্ট হয়ে যায়। সে কারণে মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা বা ইমামের কাছে মূল মসজিদের সীমানা কতটুকু, তা জেনে নেওয়া ইতেকাফকারীদের জন্য আবশ্যক।
শরিয়াহ মতে, জরুরত হলো যেসব প্রয়োজন পূরণে ইতেকাফকারীকে মসজিদ থেকে বের হওয়ার জন্য শরিয়ত অনুমতি দিয়েছে। যেমন প্রস্রাব-পায়খানার প্রয়োজনে। যদি মসজিদে অবস্থানকালে গোসল করা সম্ভব না হয়। যদি মসজিদে অবস্থান করে ওজু করা সম্ভব না হয়। খাওয়া-পরার জিনিস বাইরে থেকে আনা লাগে। যদি এনে দেওয়ার মতো লোক না থাকে। মুয়াজ্জিনের আজান দেওয়ার জন্য বাইরে যাওয়া লাগে। যে মসজিদে ইতেকাফ করা হচ্ছে, সে মসজিদে যদি জুমার ব্যবস্থা না থাকে তবে জুমা আদায়ের জন্য অন্য মসজিদে যাওয়া। মসজিদ ভেঙে যাওয়া ইত্যাদির কারণে অন্য মসজিদে স্থানান্তরিত হওয়া। এসব প্রয়োজনীয়তা ছাড়া ইতেকাফকারীদের জন্য বাইরে যাওয়া নাজায়েজ এবং এতে ইতেকাফ ভেঙে যাবে।
যে কারণে ইতেকাফ নষ্ট হয় : যেসব প্রয়োজনীয়তার কথা ওপরে উল্লেখ করা হলো, এসব ছাড়া অন্য কোনো উদ্দেশ্যে ইতেকাফকারী মসজিদের সীমানা থেকে বের হলে তা এক মুহূর্তের জন্য হলেও ইতেকাফ নষ্ট হয়ে যাবে। (হেদায়া) সেটা ইচ্ছায় হোক বা ভুলক্রমে। তবে ভুলক্রমে হলে ইতেকাফ নষ্ট করার গোনাহ হবে না। (শামী)
রোজা ইতেকাফের জন্য শর্ত। যদি কেউ ইতেকাফ অবস্থায় রোজা ভেঙে দেয়, হোক তা কোনো ওজর বা অপারগতার কারণে, ইচ্ছায় বা ভুলক্রমে ইতেকাফ নষ্ট হয়ে যাবে। (শামী ও দুররুল মুখতার) কোনো ইতেকাফকারী কোনো প্রয়োজনীয়তার কারণে বাইরে গেছেন, কিন্তু প্রয়োজন সেরে বাইরেই কিছুক্ষণ অবস্থান করলেন, তাতেও ইতেকাফ নষ্ট হয়ে যাবে। (শামী)
ইতেকাফকারী যদি বেহুঁশ বা পাগল হয়ে যায়, জিন-ভূতের আছরের কারণে হতবুদ্ধি হয়ে পড়ে এবং এ অবস্থা যদি এক দিন এক রাত বিদ্যমান থাকে তবে ধারাবাহিকতা খতম হয়ে যাওয়ার কারণে ইতেকাফ নষ্ট হয়ে যাবে। যদি এক দিন এক রাত পূর্ণ হওয়ার আগেই হুঁশ বা বুদ্ধি ফিরে আসে, তবে ইতেকাফ নষ্ট হবে না। (আলমগীরি)
ইতেকাফ ভাঙা জায়েজ যে কারণে : ইতেকাফকারী যদি অসুস্থ হয়ে পড়ে, যার চিকিৎসা মসজিদের বাইরে যাওয়া ছাড়া সম্ভব নয় তবে তার জন্য ইতেকাফ ভেঙে দেওয়ার অনুমতি আছে। (শামী) বাইরে কোনো লোক ডুবে যাচ্ছে বা আগুনে দগ্ধ হচ্ছে তাকে বাঁচানোর আর কেউ নেই, অনুরূপ কোথাও আগুন লেগেছে, নেভানোর কেউ নেই তবে অন্যের প্রাণ বাঁচানোর এবং আগুন নেভানোর জন্য ইতেকাফকারীর ইতেকাফ ভেঙে দেওয়ার অনুমতি আছে।
জোরপূর্বক মসজিদ থেকে ইতেকাফকারীকে বের করে নিয়ে যাওয়া হয় যেমন ওয়ারেন্ট এসে গেলে ইতেকাফ ভেঙে দেওয়া জায়েজ। সেরূপ ইতেকাফকারীর যদি এমন সাক্ষ্য দেওয়া জরুরি হয়ে পড়ে, যা শরিয়তানুযায়ী তার জন্য ওয়াজিব সেরূপ সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য ইতেকাফ ছেড়ে যাওয়ার অনুমতি আছে।
মা-বাবা, স্ত্রী, সন্তান-সন্ততির অসুস্থতার কারণেও ইতেকাফ ভেঙে দেওয়া জায়েজ। তেমনি পরিবারের কারো প্রাণ, সম্পদ বা ইজ্জত আশঙ্কার সম্মুখীন হলে এবং ইতেকাফ অবস্থায় তা প্রতিরোধের ব্যবস্থা করা সম্ভব না হলে ইতেকাফ ভেঙে দেওয়া জায়েজ। এ ছাড়া যদি কোনো জানাজা হাজির হয় এবং জানাজা পড়ানোর কেউ না থাকে তখনো ইতেকাফ ভেঙে দেওয়া জায়েজ। (ফতহুল কবীর) উল্লিখিত প্রয়োজন পূরণ করতে বের হলেই ইতেকাফ ভেঙে যাবে, তবে গোনাহ হবে না। (বাহরুর রায়েক)
ইতেকাফ ভেঙে গেলে করণীয় : সুন্নাত ইতেকাফ নষ্ট হয়ে যাওয়ার পর মসজিদের বাইরে চলে আসা জরুরি নয়। বরং বাকি দিনগুলো নফলের নিয়ত করে ইতেকাফ করা যেতে পারে। এর দ্বারা সুন্নাতে মুয়াক্কাদা তো আদায় হবে না কিন্তু নফল ইতেকাফের সাওয়াব পাওয়া যাবে। যদি অনিচ্ছাকৃত ও ভুলক্রমে ইতেকাফ নষ্ট হয়, তবে হতে পারে আল্লাহ তায়ালা আপন রহমতে সুন্নাত ইতেকাফেরও সাওয়াব দিয়ে দিতে পারেন। সে কারণে ইতেকাফ নষ্ট হয়ে গেলে উত্তম হলো বাকি দিনগুলোও পূর্ণ করা। ইতেকাফ নষ্ট হয়ে যাওয়ার পর ইতেকাফকারী মসজিদ থেকে চলেও আসতে পারে, তাতে কোনো সমস্যা নেই। আবার এক দিন পরে গিয়ে নফল ইতেকাফের নিয়ত করে মসজিদে আবার ইতেকাফ শুরুও করতে পারে, তাও জায়েজ আছে। যেদিন ইতেকাফ নষ্ট হয়েছে শুধু সে দিনেরই কাজা করা ওয়াজিব। পুরো ১০ দিনের কাজা করা ওয়াজিব নয়। (শামী)
যদি রমজান মাস শেষ হয়ে যায় বা কোনো কারণে ওই সময় ইতেকাফ করা সম্ভব না হয় তবে রমজান ছাড়াও যেকোনো দিন রোজা রেখে এক দিনের জন্য ইতেকাফ করা যায়। যদি পরের রমজানেও কাজা করা হয় তাও হবে। কিন্তু যথাসম্ভব তাড়াতাড়ি কাজা করে নেওয়া উত্তম।
লেখকঃ মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোছাইন
শিক্ষার্থী চট্রগ্রাম কলেজ।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০