-মুনিরুল আলম মুনির।।
#আসুন_একটু_নিজের_সাথে_মিলিয়ে_নিই!!
সাধারণত কোন নগণ্য ব্যক্তি যদি কোন মহৎ বা বিশাল ক্ষমতাবান মানুষের আত্মীয় হতে পারে কিংবা কোনভাবে তার সাথে রিলেশন তৈরি করতে পারে নগণ্য লোকটিও নিজেকে একটু আলাদা ভাব নিয়ে দেখে।আর তার সাথে সম্পর্ক তৈরির কোন আভাস পেলে যতকিছুই করার প্রয়োজন হোক সব করে হলেও তা করতে সে রাজি।
অনুরূপভাবে আল্লাহ তায়ার সৃষ্ট নগণ্য মানুষগুলো যদি রাজাধিরাজ আল্লাহ তায়ালা আত্মীয় হতে চায় তবে তাকে কিছু গুণ অর্জন করতে হবে।নিচে বর্ণিত গুণগুলো থাকলে সে আল্লাহর আত্মীয় হিসেবে স্বীকৃতি পেতে পারে।অর্থাৎ,আল্লাহর বান্দা বা গোলাম হিসেবে স্বীকৃতি পেতে পারে।প্রকৃতপক্ষে একজন মানুষ আল্লাহর গোলাম হতে পারার মধ্যেই তার সত্যিকার স্বার্থকতা নিহিত।এটাকে মনপ্রাণ দিয়ে বিশ্বাস করুন,মেনে নিন।
পবিত্র কুরআনের ২৫ নং সূরা আল ফুরকানের আলোকে গুণগুলো সন্নিবেশিত হলো।যা সূরাটির ৬৩ নং আয়াত থেকে ৭৪ নং আয়াত পর্যন্ত বিস্তৃত।
#গুণগুলো-
১.
যমীনে নম্রতা ও ভদ্রতার সাথে চলাফেরা করা।
২.
মূর্খরা বিবাদে লিপ্ত হতে চাইলে 'সালাম' বলে চলে যাওয়া।
৩.
আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে রুকু-সিজদায়(রাতের নামাজ) রাত্রিযাপন করা।
৪.
জাহান্নামের আযাব হতে আশ্রয় চাওয়া(রাতের নামাজে)
৫.
মিতব্যয়ী হওয়া।অপচয় ও অপব্যয় না করা।মধ্যমপন্থী হওয়া(ব্যয়ের ক্ষেত্রে)
৬.
সবকিছু একমাত্র আল্লাহর কাছেই চাওয়া।এমনকি জুতার ফিতা হলেও।মাজার বা বাবার কাছে নয়।
৭.
কাউকে হত্যা না করা।তবে ইসলামী রাষ্ট্রের সরকার তার অপরাধের কারণে তাকে হত্যা করতে হলে তা ভিন্ন কথা।
৮.
সবধরণের যিনা তথা ব্যভিচার থেকে বেচে থাকা।যেমন:হাত,পা,চোখ ইত্যাদির যিনা হতেও।
৯.
সবসময় তাওবা করা।
১০.
সৎকাজ করা।
১১.
মিথ্যা সাক্ষ্য না দেয়া।
১২.
বাজে আসর,আড্ডা,আলাপ বা মন্দ,কাজ বৈঠক ইত্যাদি থেকে দূরে থাকা।
১৩.
আল্লাহ, রাসূল ও ইসলাম বিষয়ক আলোচনা মনোযোগ দিয়ে শোনা।
১৪.
নেক সন্তানাদির জন্য আল্লাহর কাছে আন্তরিকতা দিয়ে দোয়া করা।
যারা আপাতত এসব গুণের অধিকারী হতে পারবে তারা আল্লাহ পাকের গোলাম হওয়ার মোটামুটি যোগ্যতা অর্জন করবেন।এমন গোলামদের জন্য নিয়ামতে পরিপূর্ণ জান্নাত অপেক্ষমান আর সেখানে তারা সাক্ষাত হলেই পরস্পরকে সালাম দিয়ে অভিবাদন জানাবে।
লেখক- মুনিরুল আলম মুনির।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
1:55 PM
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০