তানভীরুল ইসলাম :
আত্মীয়তার বন্ধন দেখানো যেন এখন বিলাসিতা! কারন ছাড়া কারো বাসায় বেড়াতে গেলে ভূত দেখার মতো চমকে উঠেন, সন্দীহান হয়ে পড়েন, আত্মীয়তার দোহায় দিয়ে অসময়ে এ আমাদের এখানে কেন; কোন ফাঁদ নয়তো!
আপদটা কখন বিদায় করতে পারবে সে চিন্তা! কেমন যেন এককেন্দ্রিক আমিত্বের মাঝে সীমাবদ্ধ হয়ে যাচ্ছে আমাদের জীবন! ", এসব কথা আপসোস করে বলছিলেন এক নিকটাত্মীয়।
আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষা করার ফলে পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও ভালোবাসা বৃদ্ধি পায়। ব্যক্তির উদারতা, কৃতজ্ঞতা, নিষ্ঠা,ধৈর্য্য, মানসিক স্বচ্চতা ও মানুষের প্রতি সদ্ব্যবহার বিশেষ গুণাবলীর পরিচায়ক।
বাস্তবিক আত্মার সম্পর্ক গুলোকে যদি সিনেমার ঐ কূট চরিত্রের সাথে মিলাতে যান তবে আপনার মনে সর্বদা সন্দেহ বিরাজ করবে, সামষ্টিক ভারসাম্যহীন হবেন তাতে।
ভুল গুলো শুধরে দিন একান্তে,
কারো ব্যক্তিগত ত্রুটি অন্যকে বলে লোকমুখে রস লাগিয়ে আত্মীয়তার বন্ধনে সন্দেহ-দূরত্ব সৃষ্টিতে অগ্রগামী না হই ।
সীমা অতিক্রম করে অন্যের চক্ষুশূলে পরিণত না হয়ে; মানবিক দুর্বলতা কাটিয়ে একই ভুলের পুনরাবৃত্তি না করি।
যদি আপনার কোন ভুল হয়েই যায়, তবে দাম্ভিকতা বা আত্মসম্মানের দোহায়ে কপটতা,মিথ্যা-গোঞ্জামিলের আশ্রয় না নিয়ে ক্ষমা চেয়ে নিন।
সংসারে একে অপরকে প্রতিদ্বন্দ্বী না ভেবে সহযোগী ভাবুন।
স্বার্থপর হয়ে বাঁচার মধ্যে যদিও বাহ্যিক সার্থকতা থাকে বটে কিন্তু আত্মার খোরাক মিটে না! প্রত্যাশা না রাখি পথচলায়, অন্যজন আমার জন্য কিছু করুক বা না করুক আমি আমার সাধ্য থেকে ভালো কাজে সহযোগী হবো, এটার মাঝে একটা তৃপ্তি আছে! যেটা একা একা স্বার্থপর হয়ে ভালো থাকার মাঝে পাওয়া যায় না! সবার ভালো কামনা করে, সবাইকে ভালো রাখার প্রচেষ্টার মাঝেই জীবনের বেঁচে থাকার অর্থ খুঁজে পাই।
অপ্রাপ্তি বা কোন বিষয়ে অভিযোগ না করার চেষ্টা করি, দোষারোপ-সন্দেহ না করে প্রথমেই ইতিবাচক হই যদিও তা ভুল হয়! এই পজিটিভ চিন্তার লালনে আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায়। "ইতিবাচক" মন্তব্য সম্পর্ক উন্নতির অদৃশ্য শক্তির বাহক।
ন্যায়ের পথে থেকে আত্মার বন্ধন রক্ষায় সর্বোচ্চ উদার হোন, উপকারের বিপরীতে অন্যের কাছ থেকে কিছু পাওয়ার প্রত্যাশা না রাখলে কষ্ট-তিক্ততা বা হতাশা-অভিযোগ অনেটায় কেটে যায়।
নিজেকে এমনভাবে গড়ে তুলো, যেন লোকে তোমায় বোঝা না ভেবে
''হারানো সম্পদ ফিরে পাওয়ার স্বাদ"
অনুভব করে তোমাকে পেয়ে।
কুপ্রবৃত্তির লালসা দুরীভূত করে অন্ধকার বা আলোতে "ভরশা আর বিশ্বাসের" প্রতীক হয়ে উঠো।
তানভীরুল ইসলাম
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০