তাইবুর রহমান সিলেট থেকেঃ
সিলেটে জেঁকে বসেছে শীত, কয়েকদিন থেকে সূর্যের দেখা নেই। ঘন কুয়াশায় শীতের মাত্রা অনেক বেড়ে গেছে। কুয়াশার সঙ্গে হিমেল বাতাসে জনজীবন অনেকটা থমকে দাঁড়িয়েছে। এতে সব থেকে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে খেটে খাওয়া স্বল্প আয়ের মানুষ।
সন্ধ্যায় পর থেকেই কুয়াশা বেড়ে যাওয়ায় রাতে শীতের মাত্রা বেড়ে যায়। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশা অন্ধকারে পরিণত হচ্ছে। কয়েক হাত দূরের কিছু দেখা যাচ্ছে না। তাই রাত যত গভীর হয় শীতের মাত্রা ততই বৃদ্ধি পায়। ভোরবেলা লাল আভা নিয়ে ভেসে ওঠা সূর্য যেন মুখ মেলে তাকাতে পারছে না।
হঠাৎ করে ঘন কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে, তাপমাত্রা নেমে আসছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও আবার দুপুরের পর থেকে তাপমাত্রা কমতে থাকে। সন্ধ্যার পর থেকেই কুয়াশা বাড়তে থাকে এবং তাপমাত্রা কমে আসতে শুরু করে।
খুব সকালে খেটে খাওয়া মানুষরা জীবিকার তাগিদে প্রচণ্ড কুয়াশা ও শীত উপেক্ষা করে ঘর থেকে বের হয়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে স্বল্প আয়ের মানুষ। হঠাৎ এই শীতে সাধারণ মানুষ যেন জবুথবু হয়ে পড়েছে।
একদিকে করোনা তার ওপর প্রচণ্ড শীত। শীত নিবারণের জন্য লেপ তোষকের দোকানে ভিড় করছে মানুষ। কৃষকরা চেষ্টা করছে তাদের গরু-ছাগলকে চটের তৈরি জামা দিয়ে শীতের হাত থেকে রক্ষা করতে। শীত বাড়ার সঙ্গে পিঠার কদর বেড়ে গেছে। সকাল সন্ধ্যা শহরের বিভিন্ন এলাকায় ভাপা-চিতইসহ হরেক রকম পিঠার পসরা নিয়ে বসছে নারী ও পুরুষরা। উনুনের তাপ নেওয়ার পাশাপাশি পিঠাও খাচ্ছেন তারা।
সিলেটের বালুচর এলাকার সৈয়দ মোহাদ্দিছ আহমদ ও শামীম মিয়া জানান, ইতোমধ্যেই দুস্থ ও অসহায়দের জন্য বিভিন্ন সংঘঠন উপহারস্বরূপ কম্বল বিতরণ করা হচ্ছে। করোনার হাত থেকে রক্ষা পেতে সরকারের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। সে কারণে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবাইকে বার বার মাস্ক পরিধানের বিষয়ে বলা হচ্ছে।