টানা ৯ দিন ধরে ইসরায়েলের সঙ্গে ভয়ংকর সংঘাত চলছে ইরানের। এরই মধ্যে ইসরায়েলের হামলায় প্রায় ৭০০ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে দেশটিতে। পাশাপাশি সামরিক বাহিনীর বহু শীর্ষ কমান্ডারও হারিয়েছে তারা। এক কথায় ইরানের কোমর ভেঙে দেওয়ার সংকল্প নিয়ে লাগাতার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এতকিছুর মধ্যেও এখন পর্যন্ত শক্তভাবেই দাঁড়িয়ে আছে ইরান; জবাব দিয়ে যাচ্ছে শত্রুপক্ষের চোখে চোখ রেখে। এরই মধ্যে ইসরায়েলকে নিরঙ্কুশ সমর্থন জানিয়ে ইরানে হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও।
এমন অবস্থায় সমগ্র মুসলিম বিশ্বকে ইরানের পাশে চাইছে তুরস্ক। দেশটির রাজধানী ইস্তানবুলে ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) ৫১তম পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে এ আহ্বান জানানো হয়। খবর বিবিসির।
বৈঠকে মুসলিম বিশ্বের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের উদ্দেশ্য করে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান বলেন, ইরানে হামলার মধ্য দিয়ে ইসরায়েল এ অঞ্চলকে পুরোপুরি ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে। এ সংঘাত বন্ধে বিশ্ব শক্তিকে এখনই পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
এ সময় সমগ্র মুসলিম বিশ্বকে ইসরায়েলের হামলার বিরুদ্ধে ইরানের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ইসরায়েলের হামলার কারণে গাজা, লেবানন, সিরিয়া, ইয়েমেনের পর এবার ইরানও সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে।
একই সম্মেলনে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলাচনার নতুন ধাপ শুরু হওয়ার আগেই ইরানে হামলা চালায় ইসরায়েল। এর মধ্যে দিয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনার বিষয়টি ভণ্ডুল করে দিয়েছে তেল আবিব।
তিনি বলেন, ইরানে হামলা চালিয়ে অপরাধ করেছে ইসরায়েল। একইসঙ্গে দেশটি মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, গত ১৩ জুন হামলার মধ্য দিয়ে নেতানিয়াহু সরকার প্রকৃত পক্ষে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আলোচনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে। প্রকৃতপক্ষে এই নেতানিয়াহু সরকারই মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০