অনলাইন ডেস্ক :
ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাস। জবাবে পাল্টা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলের সশস্ত্র বাহিনী। ফলে যুদ্ধ এখন চরমে। এরমধ্যে বিভিন্ন দেশ বিভিন্নভাবে পাশে দাঁড়িয়েছে। পাল্টা হামলায় ফিলিস্তিনের পক্ষে অংশ নিয়েছে হিজবুল্লাহ। ফলে যুদ্ধ পরিস্থিতি কোনদিকে গড়াবে তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম হারেতজের সাংবাদিক জিডিওন লেভি বলেছেন, লেবাননের সশস্ত্র বাহিনী হিজবুল্লাহ এ যুদ্ধে অংশ নিলে বিপাকে পড়বে ইসরায়েল। আমাদের একটি ভিন্ন বাস্তবতার মুখে পড়তে হবে। হিজবুল্লাহ অংশ নিলে ইসরায়েলকে দুটি ফন্টে যুদ্ধ করতে হবে।
আলজাজিরার এক সাক্ষাৎকারে জিডিওন বলে, হিজবুল্লাহ সাথে যদি অধিকৃত পশ্চিম তীরও যুক্ত হয় তাহলে একটি নতুন খেলা শুরু হবে। ইসরায়েলকে এমন এক পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে যা তারা আগে কখনো হয়নি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যাকায় হামলা চালালে বা কোনো স্থলে আক্রমণ হলে সংঘর্ষ অন্যদিকে মোড় নেবে এমন বার্তা দেওয়ার পরপরই শেবা ফার্মে হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। মূলত এ অঞ্চলটি লেবাননের অধিকৃত এলাকা। ফলে সীমানা অতিক্রম না করেই এ অঞ্চলে হামলা চালিয়েছে দলটি।
আলজাজিরা বলছে, গত কয়েক বছর ধরে নিজেদের অস্ত্র ভাণ্ডার সমৃদ্ধ করছে হিজবুল্লাহ। ফলে দলটির কাছে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্রসহ বিভিন্ন অস্ত্র রয়েছে। এসব অস্ত্র দিয়ে ইসরায়েলের যে কোনো স্থানে হামলা করতে সক্ষম হিজবুল্লাহ। এ ছাড়া দলটির সেনাদের অত্যাধুনিক প্রশিক্ষণ রয়েছে। ফলে এ সংঘর্ষে তারা অংশ নিলে আঞ্চলিক সংঘর্ষের দিকে গড়াতে পারে।
উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাস ও ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর মধ্যে এখনো লড়াই চলছে। হামলা-পাল্টা হামলায় দুই দেশে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এমন মুহূর্তে আরেক প্রতিবেশী দেশ লেবানন থেকে ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। এরপর লেবানন ভূখণ্ডের দিকে পাল্টা হামলা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।
ইসরায়েলি সশস্ত্র বাহিনীর (আইডিএফ) এক মুখপাত্র বলেছেন, মাউন্ট ডভ এলাকা থেকে গুলি চালানো হয়েছে। এই এলাকাটি ইসরায়েল, লেবানন ও সিরিয়ার সংযোগস্থল। এই তিন দেশই এই এলাকার মালিকানা দাবি করে আসছে। হিজবুল্লাহর হামলার পরপর মাউন্ট ডভ এলাকায় অবস্থিত হিজবুল্লাহর আস্তানায় ড্রোন হামলা করা হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০