ঢাকারবিবার , ১৯ মে ২০২৪
  1. সর্বশেষ
  2. আন্তর্জাতিক

মণিপুরে বুধবার রাত থেকেই এখনও উত্তপ্ত!

প্রতিবেদক
রফিকুল ইসলাম জসিম
৫ মে ২০২৩, ১০:৫৯ অপরাহ্ণ

Link Copied!

 

দীর্ঘ দুই দিনের রক্তক্ষয়ী হিংসা শেষে কিছুটা শান্ত হয়েছে ভারতের উত্তর পূর্বের গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য মনিপুর। চাপা উত্তেজনা থাকলেও নতুন করে হিংসার ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছে ভারতীয় সেনা। বৃহস্পতিবার এরপর শুক্রবারেও মনিপুর জুড়ে ফ্ল্যাগমার্চ করছে সেনা এবং আধা-সামরিক বাহিনী।

সেনা সূত্রে জানানো হয়েছে নতুন করে বিএসএফ ও সিআরপিএফ-সহ আরও ২০ কোম্পানি আধা-সামরিক বাহিনী হিংসা-কবলিত রাজ্যেটিতে পাঠানো হয়েছে। জানানো হয়েছে হিংসা এখনো পর্যন্ত মারা গিয়েছে দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন ১০ জন। যদিও বেসরকারি মতে মৃতের সংখ্যা দুই অঙ্কের বেশি।

শুক্রবারেও সেনা নজরদারি এড়িয়ে রাজধানী ইম্ফলে মুখোমুখি হয় বিবাদমান দুই পক্ষ। তবে দুই পক্ষের তরফেই নারীরা নিজের পক্ষের হয়ে মানব প্রাচীর গড়ে তুললে অশান্তি তীব্র আকার ধারণ করতে পারেনি। পরে সেনা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায় উঠে আসে এই ছবি।

পরে সেনার তরফে লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহেন্দর রাওয়াত এক প্রেস বিবৃতির মাধ্যমে জানিয়েছেন, যেসব এলাকায় হিংসা ছড়িয়ে ছিল সেসব এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু করেছে সেনা। আধা-সামরি বাহিনী মোতায়ের জন্য সিআরপিএফের ডিআইজি পদমর্যাদার পাঁচ অফিসার, কমান্ডান্ট পদমর্যাদার সাত কমান্ডার ও সেকেন্ড-ইন-কমান্ডকে (এসপি পদমর্যাদার) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁরা উত্তর-পূর্ব ভারতে সিআরপিএফের অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেলের সঙ্গে সমন্বয়ের কাজ করছেন। দিল্লি ও রাঁচি থেকে বেশকিছু অফিসারকে উড়িয়ে আনা হয়েছে। সেনা ও আধা-সামরিক বাহিনীর বাড়তি কলাম মোতায়েনের কাজ বৃহস্পতিবার রাত থেকেই শুরু হয়েছে। যে সব হিংসা-কবলিত এলাকা থেকে প্রায় ১১৫০০ মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। আপাতত তাদের প্রায় ২২টি সেনা ক্যাম্পে রাখা হয়েছে।

Advertisement

সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতেইদের তফসিলি জনজাতি গোষ্ঠীর মর্যাদা প্রদানের দাবি ঘিরে বুধবার রাত থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মনিপুর। মাত্র ৩২ লাখ জনসংখ্যার রাজ্যটির বিভিন্ন এলাকায় দফায় দফায় উত্তেজনা দেখা দেয় মেইতেই, কুকি, নাগা সহ একাধিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে। ১০জেলায় Tribal Solidarity March-এর কারণে বিভিন্ন জায়গায় যুবকদের মধ্যে সংঘর্ষ চরম আকার ধারণ করে।পুড়িয়ে দেওয়া হয় হাজার হাজার ঘরবাড়ি, গাড়ি, দোকান। একাধিক মন্দির, গির্জায় অগ্নিকাণ্ডের অভিযোগ উঠেছ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ও আসাম রাইফেলসের।

ছাইচাপা আগুন জ্বলছে মনিপুরে 

এর পরেই মণিপুরের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাজ্যটির ৮টি জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করে মনিপুর প্রশাসন। গুজব প্রতিরোধে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয় আগামী পাঁচদিনের জন্য। একইসঙ্গে বিক্ষোভকারীদের দেখামাত্রই গুলি করার নির্দেশও জারি করেছে মণিপুরের বিজেপি সরকার।

মণিপুরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির কারণে মনিপুরের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে প্রতিবেশী রাজ্যগুলি। নিরাপত্তার কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে মণিপুরগামী সমস্ত ট্রেন। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের সি পি আর ও সব্যসাচী দে জানান- “পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত কোনও ট্রেন মণিপুরে প্রবেশ করছে না৷ মণিপুর সরকার ট্রেন চলাচল বন্ধ করার পরামর্শ দেওয়ার পরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” ভারতীয় রেল শুক্রবার জানিয়েছে, বাতিল করা হয়েছে ৪টি ট্রেন। প্রাথমিকভাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে শুধুমাত্র ৫ ও ৬ মে-র জন্য।তবে সেনা জানিয়েছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার জন্য অসমের দুটি এয়ারফিল্ড থেকে লাগাতার কাজ করে যাচ্ছে ভারতীয় বায়ুসেনার সি১৭ গ্লোবমাস্টার এবং এএন৩২ বিমান।’সেখান থেকে সেনা ট্রাকে সড়ক পথে সেনা পরিবহন, শুকনো খাবার, পানীয়, ঔষুধ ও জরুরি পণ্য পৌঁছানোয় কাজ চলছে।

কেন্দ্রের পাশাপাশি হিংসায় বিধ্বস্ত মনিপুরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে মনিপুরের তিন প্রতিবেশী রাজ্য মিজোরাম, অসম ও  নাগাল্যান্ড সরকার। তিন রাজ্যের যেসব বাসিন্দারা মনিপুরে আটকে পড়েছেন,বা যারা আহত যাদের উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন তাঁদেরও ফেরানোর চেষ্টা চলছে বলে জানান হয়েছে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে। কেন্দ্রের পাশাপাশি তিন রাজ্যের তরফেই খোলা হয়েছে হেল্পলাইন নম্বর।

এদিকে মণিপুরে হিংসা নিয়ে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছে কংগ্রেস। মনিপুর জ্বলছে, রাজ্যেটিতে চলমান সঙ্কটের জন্য বি জেপির ঘৃণার রাজনীতি দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন কংগ্রেস নেতা অজয় মাকেন , পবন খেরা ও রণদীপ সুরজেওয়ালা। যৌথ সাংবাদিক সম্বেলনে তারা বলেন। “মণিপুরে আইন-শৃঙ্খলা এবং সাংবিধানিক কাঠামোর সম্পূর্ণ ভাঙ্গনের কারণে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে বরখাস্ত করা উচিত,মনিপুরে বিজেপি সরকারকে বরখাস্ত করা উচিত এবং রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা উচিত।
মণিপুর জ্বলছে। বিজেপি সাম্প্রদায়িক ফাটল সৃষ্টি করেছে এবং একটি সুন্দর রাজ্যের শান্তি নষ্ট করেছে”

কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খার্গ টুইটারে লিখেছেন। “বিজেপির ঘৃণা, বিভাজন এবং ক্ষমতার লোভের রাজনীতি এই বিশৃঙ্খলার জন্য দায়ী। আমরা সব পক্ষের লোকদের সংযম হওয়া এবং শান্তির সুযোগ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি,”

জে

 

363 Views

আরও পড়ুন

বিচ্ছুর বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

শারমিন মীমের কবিতা “ভেজাল”

শেরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২

শার্শায় ভোটগ্রহণ নিয়ে কর্মকার্তাদের সাথে নির্বাচন কমিশনারের ব্রিফিং

নাগরপুরে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী বিএনপি নেতা দুলাল বহিষ্কার

গাজায় চলমান গণহত্যার বিরুদ্ধে বুটেক্স শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

রূপগঞ্জের জাঙ্গীর কুদুর মার্কেট-নদীরঘাট রাস্তাসহ ড্রেন নির্মাণ কাজের উদ্বোধন

নাগরপুরে হেভিওয়েট প্রার্থী না থাকায় জমেনি উপজেলা নির্বাচন

“রাখে আল্লাহ, মারে কে” : নাইক্ষ্যংছড়ি ছালামী পাড়ায় মোটরসাইকেল মার্কার সমর্থনে উঠান বৈঠকে চেয়ারম্যান প্রার্থী তোফাইল

কবি ফিরোজ খানের কবিতা

নাইক্ষংছড়িতে প্রিজাইডিং সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ !!

লোহাগাড়ার আজিজ কাতারে মারা গেলো স্ট্রোকে