সোমবার (২৪ অক্টোবর স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় বাংলাদেশ দূতাবাস মিলনায়তনে এ চিত্রপ্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন স্পেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সারওয়ার মাহমুদ।
প্রদর্শনীর এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিক এবং উল্লেখযোগ্যসংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি উপস্থিত ছিলেন।
চিত্রপ্রদর্শনীতে চিত্রশিল্পী ব্লাজকেজের ৩৩টি চিত্রকর্ম ছাড়াও নির্মম নিপীড়ন ও গণহত্যার শিকার মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে বাংলাদেশে আশ্রয়দানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মহানুভবতা এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রামমুখর রাজনৈতিক জীবন, জাতিসংঘে ১৯৭৪ সালে তার প্রদত্ত ঐতিহাসিক বক্তৃতা ও বিশ্বনেতাদের সঙ্গে তার বৈঠকসমূহের অসাধারণ কিছু মুহূর্তের আলোকচিত্র প্রদর্শিত হচ্ছে।
চিত্রপ্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সারওয়ার মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু প্রনীত স্বাধীন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি-সকলের প্রতি বন্ধুত্ব, কারও প্রতি বৈরিতা নয়-আজও আদর্শ বৈদেশিক সম্পর্ক নিরূপণের উজ্জ্বল আলোকবর্তিকা।
রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের স্বদেশে প্রত্যাবর্তনে আন্তর্জাতিক জনমতকে প্রভাবিত করতে ভূমিকা রাখার জন্য আগত অতিথিদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আরও বলেন, বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মায়ের মমতায় আশ্রয়দানের জন্য বৃটিশ গণমাধ্যম চ্যানেল ফোর নিউজ বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে মানবতার জননী আখ্যা দিয়েছে।
চিত্রশিল্পী ফ্রান্সিস্কা ব্লাজকেজ তার বক্তব্যে বলেন, ‘মাদ্রিদে বাংলাদেশ দূতাবাসের সহযোগিতায় বিশ্বশান্তি, স্বাধীনতা ও ভ্রাতৃত্বের পক্ষে আঁকা আমার চিত্রকর্মের এ প্রদর্শনী আমার জন্য সম্মানের। চিত্রপ্রদর্শনীটি স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে উৎসর্গ করলাম, যিনি আজীবন ন্যায় ও সাম্য, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার আদায়ে সংগ্রাম করেছেন।’
ফ্রান্সিসকো ব্লাজকেজ বাংলাদেশকে অপার সৌন্দর্য এবং অফুরন্ত সম্ভাবনার দেশ উল্লেখ করে আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের লোকেরা উদ্যোগী, সৃজনশীল, দৃঢ প্রতিজ্ঞ এবং কঠোর পরিশ্রমী। এবং সর্বোপরি তারা শান্তিপ্রিয়। আর শান্তিতেই মানবতার ভবিষ্যত নিহিত।’
বাংলাদেশ দূতাবাসের মিলনায়তনে আগামী ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত এ চিত্রপ্রদর্শনী চলবে। সোমবার থেকে শুক্রবার প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা এবং বিকাল ৩টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত প্রদর্শনীটি সবার জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সেলর (পলিটিক্যাল) দ্বীন মোহাম্মদ ইমাদুল হক।