– রফিকুল ইসলাম জসিম
গত এক দশকে বিশ্বে ইসলাম ধর্মের অনুসারী সংখ্যা বেড়েছে সবচেয়ে দ্রুত হারে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান পিউ রিসার্চ সেন্টারের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
‘গ্লোবাল রিলিজিয়াস ল্যান্ডস্কেপ’ শীর্ষক এই গবেষণা অনুযায়ী, ২০১০ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে মুসলিম জনসংখ্যার প্রবৃদ্ধি ছিল অন্যান্য সব ধর্মের সম্মিলিত বৃদ্ধির চেয়ে বেশি। এই প্রবৃদ্ধির প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে প্রাকৃতিক জনসংখ্যা বৃদ্ধি, অর্থাৎ জন্মহার।
প্রতিবেদনে বলা হয়, একজন মুসলিম নারীর গড় সন্তান সংখ্যা ২.৯, যেখানে অমুসলিম নারীদের গড় সন্তান সংখ্যা ২.২। মুসলিমরা তুলনামূলকভাবে কম বয়সী হওয়ায় জনসংখ্যা বৃদ্ধির সম্ভাবনাও বেশি।
পিউ রিসার্চের প্রধান গবেষক কনরাড হ্যাকেট বলেন, "মাত্র এক দশকে এমন প্রবৃদ্ধি বিস্ময়কর। মুসলিম ও খ্রিষ্টান জনসংখ্যার ব্যবধান দিন দিন কমে আসছে।"
প্রতিবেদনে দেখা যায়, বিশ্বের বৃহত্তম ধর্ম এখনো খ্রিষ্টধর্ম (প্রায় ২৩০ কোটি অনুসারী), তবে মুসলমানদের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। মুসলিম জনসংখ্যা সবচেয়ে বেশি বেড়েছে কাজাখস্তান, বেনিন ও লেবাননের মতো দেশে। অপরদিকে ওমান ও তানজানিয়ায় মুসলমানদের অনুপাত কিছুটা কমেছে।
গবেষণাটি ধর্মান্তর এবং ধর্মত্যাগের হারও বিশ্লেষণ করেছে। এতে বলা হয়, খ্রিষ্টধর্মে ধর্মত্যাগের হার তুলনামূলকভাবে বেশি—বিশ্বব্যাপী গড়ে একজন খ্রিষ্টান নতুন ধর্ম গ্রহণ করলেও তিনজন খ্রিষ্টান ধর্ম ত্যাগ করছেন।
সবশেষে প্রতিবেদনে পূর্বাভাস দেওয়া হয়, বর্তমান প্রবণতা অব্যাহত থাকলে আগামী দশকগুলোতে ইসলাম ধর্মই হতে পারে বিশ্বের বৃহত্তম ধর্ম। তবে এ পরিবর্তন নির্ভর করবে ভবিষ্যতের জনসংখ্যা গতি, বয়স কাঠামো ও ধর্মান্তরের প্রবণতার ওপর।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০