ইরানের অন্যতম খ্যাতিমান উপস্থাপিকা সাহার ইমামি যখন ইসরাইলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিচ্ছিলেন, তখনই ঘটে প্রচণ্ড এক বিস্ফোরণ। অনুষ্ঠান চলার সময়েই টেলিভেশন স্টেশনে আছড়ে পড়ে ইসরাইলের ক্ষেপণাস্ত্র। হামলায় দুইজন নিহত হওয়ার তথ্য জানিয়েছে ইসলামিক রিপাবলিক নিউজ এজেন্সি (আইআরএনএ)।
সোমবার (১৬ জুন) ইরানের রাজধানী তেহরানে অবস্থিত ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরান ব্রডকাস্টিং-আইআরআইবি ভবনে এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরাইল। তবে এমন ভয়াবহ হামলার পরও থামেননি সাহার ইমামি। এই হামলার এক ঘন্টা না পেরোতেই আবার লাইভ অনুষ্ঠানে ফিরে আসেন সাহার ইমামি।
তার এই দৃঢ়তা ও পেশাদারিত্ব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে। অনেকেই তাকে "অপরাজেয়" ও "সাহসী" বলে অভিহিত করেছেন। সাহারকে ইরানের নতুন হিরো হিসেবেও আখ্যা দিচ্ছেন অনেকে।
সাহারের সাহসিকতার প্রতি সম্মান জানিয়ে তাকে নিজের গোল্ড মেডেল উতসর্গ করেন ইরানের অলিম্পিকজয়ী শুটার জাভাদ ফরৌঘি। ইরানের নারী ও পরিবার বিষয়ক উপ-রাষ্ট্রপতি জাহরা বাহরামজাদেহ আজার এক্স-এ (সাবেক টুইটার) পোস্টে সাহার ইমামিকে "ইরানি নারীর সাহসের প্রতীক" হিসেবে অভিহিত করেন এবং বলেন, তিনি "আগ্রাসনের মুখে সকল ইরানি নাগরিকের কণ্ঠস্বর হয়ে উঠেছেন"।
সাহার ইমামি মূলত ফুড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা করলেও ২০১০ সালে সংবাদ উপস্থাপনায় আসেন। তিনি ইরানের সরকারি চ্যানেলে খবর উপস্থাপনা করে জাতীয়ভাবে পরিচিতি পান। তার শান্ত-গম্ভীর ব্যক্তিত্ব, সাধারণ পোশাক ও মেকআপবিহীন উপস্থিতি বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০