অনলাইন ডেস্ক :
টানা ছয়দিন ধরে ইরানে নজিরবিহীন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। থেমে নেই ইরানও; পাল্টা জবাবে ঘাম ছুটিয়ে দিচ্ছে শত্রুপক্ষের। ইরানের বিশাল ক্ষেপণাস্ত্র বহরের সামনে ইসরায়েল যে এখনও দাঁড়িয়ে আছে, তার বেশিরভাগ কৃতিত্বই সর্বাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার, যা শক্তিশালী তিনটি স্তরে বিন্যস্ত। কিন্তু এভাবে আর কতদিন ইসরায়েল সুরক্ষিত থাকতে পারবে তা নিয়ে দেখা দিয়েছে প্রশ্ন। কারণ, ইরানের টানা হামলা ঠেকাতে গিয়ে ফুরিয়ে আসছে তাদের অ্যারো মিসাইলের মজুত।
বুধবার (১৮ জুন) ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা ও রয়টার্স।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানায়, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা প্রতিহতের কাজে ব্যবহৃত অ্যারো মিসাইলের মজুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে, ইরান থেকে ধেয়ে আসা দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকানোর সক্ষমতাও কমে আসছে ইসরায়েলের।
অবশ্য নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তা ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র এ সম্পর্কে বেশ কয়েক মাস আগে থেকেই অবগত। সে অনুযায়ী ওয়াশিংটন ইসরায়েলি স্থল, নৌ ও বিমানবাহিনীর প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বেশ কয়েকবার বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে।
তাছাড়া, ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেবল অ্যারো সিস্টেমের ওপরই নির্ভরশীল নয়। আয়রন ডোম এবং ডেভিডস স্লিং নামে আরও দুটি শক্তিশালী স্তর রয়েছে এ ব্যবস্থায়। তবে, ছয়দিন ধরে ইরানের বিশাল ক্ষেপণাস্ত্রের বহর ঠেকাতে গিয়ে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ক্ষয় হয়েছে এ দুই স্তরেরও।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের যৌথ উদ্যোগে ১৯৯১ সালে অ্যারো ক্ষেপণাস্ত্রের উৎপাদন শুরু হয় ইসরায়েলে। ১৯৯১ সালের উপসাগরীয় যুদ্ধে ইরাক ইসরায়েলের দিকে রাশিয়ায় নির্মিত অসংখ্য স্কাড ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার পর অ্যারো মিসাইল উৎপাদনের উদ্যোগ নেয় ইসরায়েল। ২০১৭ সালে এটি প্রথমবারের মতো ব্যবহার হয়।
অপরদিকে, দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে পারে অ্যারো ৩। এটি ২০২৩ সালে প্রথম ব্যবহার হয়। হুতিদের ছোড়া ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতে ইসরায়েল এটি ব্যবহার করে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০