আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
চীনে করোনা আবারও উদ্বেগ সৃষ্টি করছে। নতুন ঢেউ মোকাবিলায় টিকাদান বাড়ানোর কথা ভাবছে চীনের প্রশাসন। আশঙ্কা করা হচ্ছে, করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট জুন মাসে তার শীর্ষে পৌঁছাতে পারে। এক সপ্তাহের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ছয় কোটিতে পৌঁছাতে পারে। ওয়াশিংটন পোস্টের এক সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানায় এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নতুন 'এক্সবিবি' ভ্যারিয়েন্টের কারণে এই উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। গত বছর চীন তার 'জিরো কোভিড' নীতি থেকে সরে আসার পর নতুন ভ্যারিয়েন্টটি ইমিউন সিস্টেমকে দমন করছে বলে মনে করা হচ্ছে।
গত শীতে চীন তার কঠোর জিরো-কোভিড নীতি পরিত্যাগ করার পর নতুন ভ্যারিয়েন্টের প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে বড় তরঙ্গ হতে পারে। যদিও চীনের সরকারী সূত্র দাবি করছে, সাম্প্রতিক উত্থান সেই অর্থে মারাত্মক হবে না।
তবে দেশের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দেশে করোনায় বয়স্কদের মৃত্যু রোধে টিকা দান কর্মসূচির প্রয়োজন রয়েছে। পাশাপাশি হাসপাতালগুলোতে অ্যান্টিভাইরাল সরবরাহ করা প্রয়োজন। প্রসঙ্গত, করোনা মহামারিতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিল গোটা বিশ্ব। যার কারণে বহু মানুষ মারা যায়।
২০১৯ সালে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাবের পর এর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য এর ভ্যাকসিন তৈরির জন্য বিজ্ঞানীদের তাড়াহুড়ো করতে হয়েছিল। প্রায় তিন বছর পর পৃথিবী স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে। তবে বিজ্ঞানীরা ইতোমধ্যে পরবর্তী মহামারী নিয়ে উদ্বিগ্ন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধানের সাম্প্রতিক একটি সতর্কবার্তা উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছে। তিনি সতর্কতা দিয়ে জানান, পুরো বিশ্বকে পরবর্তী মহামারির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। যা করোনার চেয়েও ভয়ংকর হতে পারে
তার এই মন্তব্যের পর এই স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে কোন কোন রোগকে অগ্রাধিকার দেয়া হয় সে বিষয়ে আগ্রহ দেখা দিয়েছে। সংক্ষিপ্ত তালিকায় থাকা নামগুলোই পরবর্তী ভয়াবহ মহামারির কারণ হতে পারে। এই তালিকার বেশিরভাগ রোগের নামের সঙ্গে আমরা কমবেশি পরিচিত।
যেমন- ইবোলা, সার্স, জিকা। এই তালিকার শেষ রোগটির নাম 'ডিজিজ এক্স', যা এখন উদ্বেগের কারণ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়েবসাইট অনুসারে, শব্দটি এমন একটি মহামারীকে বোঝায় যা এমন একটি প্যাথোজেনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিকভাবে ছড়িয়ে পড়তে পারে যা বর্তমানে মানুষের মধ্যে রোগের কারণ হিসেবে পরিচিত নয়। এটি একটি ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাকের রোগ হতে পারে। যার কোনো পরিচিত চিকিৎসা নেই।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০