অবশেষে জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে উদ্বোধন করা হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্য নির্মিত সবচেয়ে বড় মন্দির। সম্প্রতি সবার জন্য মন্দিরের দরজা উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
প্রথম দিকে কিউআর কোড স্ক্যান করে মন্দিরের ভেতরে ঢুকেছিলেন পর্যটকরা। জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়ার পর উপচেপড়া ভিড় দেখা গিয়েছিল মন্দিরে। এজন্য শৃঙ্খলা বজায় রাখতে মন্দিরে প্রবেশে অনলাইন বুকিং সিস্টেম চালু করা হয়। এরপর থেকে অনলাইনে টিকিট বুক করে মন্দিরে যাচ্ছেন পুণ্যার্থীরা।
প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকে এই মন্দির।
সংযুক্ত আরব আমিরশাহির সবচেয়ে বড় হিন্দু মন্দির এটি। এক নজরে দেখলে যেকোনো বিলাসবহুল আবাসনকেও হার মানাবে এই মন্দির। ৭০ হাজার বর্গফুট এলাকার ওপর নির্মিত এ মন্দিরে খরচ হয়েছে বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৩১ কোটি ৪১ লাখ টাকা।
গত ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি থেকেই এই মন্দির তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। দুবাইয়ে ‘ওয়ারশিপ ভিলেজ’ নামে পরিচিত জেবেল আলি এলাকায় গড়ে উঠেছে এই বিশালাকার মন্দির।
এ মন্দিরের মূল আকর্ষণ হলো দেবতাদের মূর্তির সংখ্যা। ১৬ দেবতার মূর্তি থাকছে মন্দিরটিতে। একসঙ্গে ১ হাজার থেকে ১২০০ দর্শনার্থী এই মন্দিরে প্রবেশ করতে পারেন এখানে।
মন্দিরের দেওয়ালের নকশা লক্ষ্য করলে দেখা যায়, এখানে রয়েছে আরব এবং হিন্দু সংস্কৃতির মেলবন্ধন। সাদা মার্বেলের তৈরি এই মন্দিরের সঙ্গে গুজরাটের সোমনাথ মন্দিরের সাদৃশ্য রয়েছে।
মন্দির নির্মাতার মতে, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবাইকে এক ছাদের নিচে নিয়ে আনার জন্যই এই মন্দির তৈরি করা হয়েছে।