অনলাইন ডেস্ক :
ইসলামবিদ্বেষ রুখে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ঐক্যের ডাক দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।
গত শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) মেক্সিকো, ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, তুরস্ক ও অস্ট্রেলিয়ার সমন্বয়ে গঠিত সংস্থা মিকটার সভায় এ ঐক্যের ডাক দেন তিনি। এ সময় তিনি বিভিন্ন দেশের নেতাদের ইসলামবিদ্বেষের ক্রমবর্ধমান হুমকির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
ইসলামবিদ্বেষিদের বিরুদ্ধে বরাবরই সোচ্চার তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। এ জন্য তিনি মুসলিম বিশ্বের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়। এবার ইসলামবিদ্বেষীর বিরুদ্ধে ঐক্যের ডাক দিয়েছেন তিনি।
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট ওই মিকটা সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে দেখা করেন। ইসলামের সুরক্ষায় আলোচনাও করেছেন বিশ্বনেতাদের সঙ্গে। তিনি বলেন, এখন ঘৃণামূলক অপরাধ, বৈষম্য ও ইসলামবিদ্বেষের পরিবর্তে আমাদের পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং সহাবস্থানের সংস্কৃতিকে প্রাধান্য দিতে হবে। কোনোভাবেই ইসলামকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। এ জন্য রাষ্ট্রপ্রধানদের এগিয়ে আসতে হবে।
এরদোগান আরও বলেন, বিশ্বব্যবস্থায় অন্যায় যত বাড়ছে, আন্তর্জাতিক সংস্থার এ সমস্যাগুলো সমাধান করার ক্ষমতা তত হ্রাস পাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আরও ন্যায়সঙ্গত বিশ্ব গড়ে তোলার জন্য শান্তিপূর্ণ উপায়ে সংঘাত বন্ধের উদ্যোগ নিতে হবে।
মুসলিম এই নেতা ক্ষোভ ঝেড়ে বলেন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার নামে প্রায় প্রতিদিনিই বিশ্বের কোথাও না কোথাও কোরআন অবমাননা করা হচ্ছে, যা ২০০ কোটি মুসলিম জনগণের সবচেয়ে পবিত্র মূল্যবোধে আঘাত করা হচ্ছে; যা অগ্রহণযোগ্য। কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
এরদোয়ান তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক উগ্রবাদের সঙ্গে ইসলামের প্রতি বৈরিতার বৃদ্ধি এবং তার বিস্তার উদ্বেগজনক। এই নেতিবাচক ঘটনাগুলো আমাদের আবার মনে করিয়ে দিয়েছে যে আমাদের আরও সংহতি, বোঝাপড়া ও সহনশীলতার প্রয়োজন।
সম্প্রতি সুইডেনে প্রকাশ্যে পবিত্র কোরআন শরিফ অবমাননা করা হয়। এরপরই ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে গোটা মুসলিম বিশ্ব। সেই সময়ও সুইডেন সরকারের সমালোচনায় সরব হন এরদোয়ান। এমনকি রুশ প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির পুতিনও কোরআন অবমাননার সমালোচনা করে মুসলিমদের পাশে দাঁড়ান।