বুধবার আল-জাজিরা মুবাশিরকে দেয়া এক সাক্ষাত্কারে তিনি এ আহ্বান জানান। এ সময় অধিকৃত জেরুসালেমে ইসরাইলের ক্রমবর্ধমান আগ্রাসন ও মসজিদে আকসায় মুসল্লিদের ওপর বর্বরোচিত হামলার বিষয়টি সামনে এনে ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন ফিলিস্তিনি এই মুসলিম নেতা।
শেখ নাজেহ বাকিরাত বলেন, ‘আল-আকসা মসজিদকে দখল করার জন্য দখলদার শক্তি আন্তর্জাতিক সকল নীতিমালা লঙ্ঘন করেছে। তারা মসজিদে আকসায় হামলাকারীদের পুলিশি নিরাপত্তা প্রদান করছে। দিয়ে যাচ্ছে সব ধরনের অস্ত্র সহায়তাও। ইসরাইলি ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করার জন্য তাই মুসলিম বিশ্বের সম্মিলিত প্রচেষ্টা এখন সময়ের দাবি।’
সম্মিলিত প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি আরো বলেন, ‘মুসলিম বিশ্বের জন্য ফিলিস্তিনিদেরকে মাঠে একা ছেড়ে দেয়া উচিত নয়; বরং সবাইকে সম্মিলিতভাবে দখলদার শক্তির মোকাবেলায় এগিয়ে আসতে হবে।’
বুধবার ইসরাইলি পুলিশ কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে শত শত অবৈধ বসতি স্থাপনকারীকে টানা তৃতীয় দিনের মতো মসজিদে আকসায় হামলার সুযোগ করে দিয়েছে। এ ব্যাপারে ‘জেরুজালেম ইসলামিক ওয়াকফে’র এক বিবৃতিতে বলা হয়, কঠোর পুলিশি নিরাপত্তায় ৭৭৬ জন অবৈধ বসতি স্থাপনকারী সকালবেলা মসজিদে আকসাতে হামলা চালিয়েছে।
ইহুদিদের নববর্ষ ‘রোশ হাশানা’ উদযাপন উপলক্ষে ইসরাইলের চরমপন্থী দলগুলো মসজিদে আকসায় হামলার তীব্রতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে। রোশ হাশানা উৎসব আগামী সোমবার থেকে শুরু হবে। এক সপ্তাহ পর্যন্ত তা চলমান থাকবে।
শেখ নাজেহ বাকিরাত বলেন, ‘জেরুজালেমের তাৎপর্য, বিশেষকরে মসজিদে আকসার স্পর্শকাতরতা বোঝার জন্য দুটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। প্রথমটি হলো, ইহুদিরা মসজিদে আকসা দখল করে ঐতিহ্যবাহী ইহুদি স্থাপনা ও সিনাগগ বানাতে চায়। যেকোনো মূল্যে তারা এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চায়।’
তিনি আরো বলেন, ‘এছাড়াও ইসরাইলের বর্তমান সরকার আসন্ন নির্বাচনে জনসাধারণের সমর্থন আদায়ের উদ্দেশে এসব কার্যক্রমে উস্কানি দিচ্ছে। অবারিত করে দিচ্ছে মসজিদে আকসার পর হামলার সবধরনের সুযোগ। ইতোমধ্যে পশ্চিম তীরে অভিযান বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামী ১ নভেম্বর ইসরাইলে সাধারণ নির্বাচন। সে উপলক্ষে হামলা আরো বাড়তে পারে।’
দ্বিতীয় বিষয়টি হলো, ইহুদিরা জেরুসালেমকে তাদের রাজধানী বানাতে চায়। তারা মসজিদে আকসাকে অবিভাজ্য দেখতে চায়।
সূত্র : আল জাজিরা মুবাশির