রফিকুল ইসলাম জসিম
আবারো দেশের নাম উজ্জ্বল করলেন দুই বাংলাদেশী শিক্ষার্থী হুজাইফা আওয়াদ ও আব্দুল্লাহ আল ফারুক। মিসরের বিশ্বখ্যাত ইসলামী বিদ্যাপীঠ আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘আরবী ভাষা ও সাহিত্য’ ফ্যাকাল্টির অধীন ‘হিস্ট্রি অ্যান্ড সিভিলাইজেশন’ বিভাগে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের কেন্দ্রীয় পরীক্ষায় প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছেন তারা।
স্থানীয় সময় সোমবার সন্ধ্যায় আল-আজহার তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানায়। ওয়েবসাইটের তথ্যমতে- এই পরীক্ষায় আব্দুল্লাহ আল ফারুকের সাথে যৌথভাবে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছেন মিসরের আব্দুল্লাহ মুস্তফা শাহহাত। আর তৃতীয় হয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার মোহাম্মদ শাওকী শাহীদ। বিশ্বের অন্তত ৩০টি দেশের প্রায় চার হাজার শিক্ষার্থীকে পেছনে ফেলে নিজ নিজ দেশের নাম বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার কীর্তি গড়লেন এই চার তরুণ।
গত ২৮ জুন শেষ হওয়া এই পরীক্ষায় প্রথম হওয়া হুজাইফা আওয়াদের গ্রামের বাড়ি চুয়াডাঙ্গা সদরে। তার বাবা মোহাম্মদ নাজমুল হক সদর থানার রেইলপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি চুয়াডাঙ্গা সদরের এগ্রিকালচার ডিপার্টমেন্টের সরকারি কৃষি কর্মকর্তা। হুজাইফা আওয়াদ রাজধানীর মোহাম্মদপুরস্থ ‘জামিয়াতুল উলুমিল ইসলামিয়া’য় ও এরপর ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দে পরপর দুইবার দাওরায়ে হাদিস সম্পন্ন করেন। তিনি ২০২০ সালে আল-আজহারে পড়ার জন্য মিসর গমন করেন। আর দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারী আব্দুল্লাহ আল ফারুকের বাড়ি গাজীপুরে। তার বাবার নাম মাওলানা হাবিবুল্লাহ।
এদিকে নিজের সফলতার ব্যাপারে হুজাইফা আওয়াদ নয়া দিগন্তকে বলেন, এই সাফল্যের জন্য প্রথমত আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি। তারপর আমার বাবা-মা ও উস্তাদদের কথা বিশেষভাবে স্মরণ করছি, যাদের দোয়া ও পথনির্দেশনা না থাকলে হয়তো এ জায়গায় আসা হতো না। দেশে এবং বিদেশে বহু শাস্ত্রজ্ঞ উস্তাদের নিকটসান্নিধ্য পেয়েছি, তবে দুয়েকজনের কথা বিশেষভাবে না বললেই নয়, যাদের কল্যাণে ইসলামী জ্ঞানশাখা সম্পর্কে কিছুটা জেনেছি। তাদের অন্যতম হলেন- মাওলানা তাহমিদুল মাওলা, মাওলানা যিকরুল্লাহ খান, মাওলানা হেমায়েতুল ইসলাম , দারুল উলুম দেওবন্দের মাওলানা নেয়ামাতুল্লাহ আজমী, ও মিশরের বিখ্যাত মুহাদ্দিস আহমাদ মা'বাদ আব্দুল কারীম।
তিনি আশাবদ ব্যক্ত করে বলেন, দেশ ও পরদেশের নক্ষত্রতুল্য এ সকল পণ্ডিত ব্যাক্তিদের জ্ঞান সমুদ্র থেকে পূর্বেও যেমন উপকৃত হয়েছি, মৃত্যু পর্যন্ত তাদের একান্ত সান্নিধ্যের পরশ লাভ করে আরো ধন্য হতে চাই।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০