নুরুল ইসলাম সুমন চকরিয়া(কক্সবাজার)
সাবেক এমপি জাফর আলমকে চকরিয়া থানায় ১৪ দিনের রিমান্ড শেষে, পেকুয়া থানায় সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
আজ বুধবার সকাল নয়টার দিকে চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল মাজিস্ট্রেট আদালতে নিরাপত্তা দিয়ে আনা হয় কক্সবাজার -১ আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্য জাফর আলম কে।
চকরিয়া থানায় ১৪ দিনের রিমান্ড শেষে আজ (বুধবার) পেকুয়া থানায় নেওয়া হচ্ছে। সেখানে তাঁকে চার দিনের রিমান্ডে রাখা হবে।
এর আগে গত ১৮ জুন চকরিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রে আদালতে শুনানী শেষে আদালত চকরিয়া থানার পাঁচটি এবং পেকুয়া থানার দুটি মামলায় জাফর আলমের ১৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর মধ্যে চকরিয়ার পাঁচটি মামলায় ১৪ দিনের রিমান্ড মঙ্গলবার শেষ হয়েছে। আজ পেকুয়া থানা পুলিশ দুটি মামলায় তাঁকে ৪ দিনের রিমান্ডে নিচ্ছে।
জেলা পুলিশের একজন কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
প্রশাসনের একাধিক সূত্র জানায়, জাফর আলমকে প্রথমে নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে পেকুয়া থানায় না নেওয়ার সিদ্ধান্ত ছিল। তবে হঠাৎ করেই সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়েছে। তাঁকে পেকুয়া নেওয়া হচ্ছে।
গোয়েন্দা প্রতিবেদনেও বলা হয়েছে তাঁকে পেকুয়া থানায় নেওয়া হলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে। তাঁর নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে।
জাফর আলমের পরিবার তাঁকে পেকুয়া নেওয়ার খবরে উদ্বিগ্ন। পরিবারের দাবি, ৬৯ বছর বয়সী, পিত্তথলি অপসারণ করা এবং উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়বেটিসে ভুগছেন- এমন একজন সিনিয়র সিটিজেন ও সাবেক এমপিকে টানা ১৮ দিন রিমান্ডে রাখা অমানবিক ও নজিরবিহীন।
তাঁদের অভিযোগ, একজন প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতার প্রভাবে আদালত ও প্রশাসন বিবেকবর্জিত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগে তাঁকে ঢাকায় একটি মামলায় চার দিন রিমান্ডে নিয়েছিল।
পরিবার আরও জানায়, পেকুয়া থানার নিরাপত্তা ব্যবস্থা খুবই দুর্বল। বিশ্বস্ত সূত্রে তারা জানতে পেরেছেন, রিমান্ড চলাকালে বিএনপি ও যুবদলের দু'জন সিনিয়র নেতা থানায় প্রবেশ করে মব সন্ত্রাস চালানোর পরিকল্পনা করেছে। থানাটি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদের বাড়ির নিকটবর্তী হওয়াও নিরাপত্তা ঝুঁকির একটি বড় কারণ বলে মনে করছেন তাঁরা।
এছাড়া, পেকুয়ায় কোনো মানসম্পন্ন হাসপাতাল না থাকায় জাফর আলমের স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তাও প্রশ্নের মুখে পড়েছে।
এমপি জাফরের পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁকে জেল গেটে অথবা প্রয়োজনে চকরিয়া বা কক্সবাজার সদর থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করার দাবি জানানো হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০